মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
ধানের ভরা মৌসুমেও কুষ্টিয়ায় চড়া চালের দাম। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাঁরা দ্রুত চালের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন। এদিকে চালের দাম নিয়ে বরাবরের মতোই খুচরা বিক্রেতা এবং মিলমালিকেরা একে অপরকে দুষছেন।
কুষ্টিয়ার বড়বাজার, পৌরবাজার, চৌড়হাস বাজারসহ কয়েকটি বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দফায় চালের দাম বাড়ার পর আশা ছিল চলতি বোরো মৌসুমে নতুন ধান ওঠার পর চালের বাজার কমের দিকে যাবে। কিন্তু ধানের এই ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।
চালের দাম কয়েক দফায় বাড়ার কারণে গত ২০ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল কুষ্টিয়ার চালকলগুলো পরিদর্শনে আসেন এবং কুষ্টিয়ার মিল মালিক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে মিল মালিকদের প্রতি মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সামনের দিকে চালের দাম কমানোর জন্য নির্দেশ দেন। সেই সময় মন্ত্রীর সামনে মিল মালিকেরা চালের দাম কেজিপ্রতি ২ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলেও তা কার্যকর করেননি।
শুধু চালের দাম কমানোর ঘোষণাই না, বৈঠকে মিল মালিকেরা বলেছিলেন, কিছুদিন পর বোরো মৌসুম তখন নতুন ধান ওঠার পর চালের দাম আরও কমে যাবে। কিন্তু কুষ্টিয়ার খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, ধানের এ ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। বেশি দামে কিনে এনে বেশি দামেই বিক্রি করছেন।
কুষ্টিয়ার মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার টুটুল বলেন, ‘আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ, দফায় দফায় বেড়ে ৫০ টাকার চাল এখন ৬৪ টাকা। সরকার যখন চাপ দেয়, তখন চালের দাম কমালেও কমে কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা। এটা জনগণের সঙ্গে একটা ফাজলামি। যা আয় করি, তা যদি চাল কিনতে চলে যায়, তাহলে অন্যান্য জিনিস কিনব কীভাবে? চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
পৌরবাজারের কালাচাঁদ স্টোরের মালিক কালাচাঁদ বলেন, ‘আমরা দাম বাড়াতে পারি না। লাভও করি সীমিত। প্রতিদিনই চালের দাম বাড়তির দিকে থাকে। আমরা মিনিকেট নতুন চাল ৬০ টাকা এবং পুরোনো চাল ৬২ টাকা কেজি দরে কিনে ৬২ টাকা এবং ৬৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বেশি দামে বিক্রি করার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। মাঝেমধ্যেই এখানে অফিসাররা আসেন এবং দরদাম চেক করে যান।’
এদিকে মিল মালিকদের দাবি নতুন করে চালের দাম বাড়েনি। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় এখনো বাজারে নতুন ধান তেমনভাবে ওঠেনি। যে পরিমাণের ধান বাজারে উঠছে, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সেই কারণে ধানের দামও বেশি। আর বেশি দামে ধান কেনা লাগলে তো চালের দাম কমানো সম্ভব হয় না।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়া চালকল মালিক সমিতির নেতা ওমর ফারুক বলেন, ‘মিল গেট থেকে যে দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে, খুচরা বাজারে দাম তার চেয়ে অনেক বেশি। তদারকির অভাবে খুচরা বাজারে বেশি দামে চাল বিক্রি হলে এর দায়ভার মিল মালিকদের না।’
হাবিবুর রহমান নামে আরেক মিল মালিক বলেন, ‘এক সময় এ ব্যবসায় ভালো লাভ থাকায় এখন অনেক বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালের ব্যবসায় আসছে। আগে শুধু মিলারদের কাছে ধান মজুত থাকত, কিন্তু এখন ওই সব ব্যবসায়ীদের কাছেও মজুত আছে। আবার গ্রামে এবং মাঠ পর্যায়েও অনেক সিজনাল ব্যবসায়ী হয়েছেন, যাঁরা নিজ এলাকায় গুদাম করে ধানের মজুত করছেন। গত কয়েক বছর ধানের বাজার ভালো থাকায় অনেক চাষিও ধান আটকে রাখছেন। এসব কারণে এখন ধানের উৎপাদন ভালো হলেও সংকট দেখা দিচ্ছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে এখন মাঠ পর্যায় থেকে তদারকি দরকার।’
কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি রফিকুল ইসলাম টুকু বলেন, ‘চালের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মিল মালিকদের পাশাপাশি আরও অনেকেই দায়ী। তাই খাদ্য বিভাগ এবং কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। মনিটরিং আরও বেশি জোরদার করতে হবে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকটি দপ্তরের মাধ্যমে আমরা কঠোরভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। কেউ অবৈধভাবে মজুত বা অধিক মুনাফার জন্য বাজারে চালের দাম বাড়ানো বা বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধানের ভরা মৌসুমেও কুষ্টিয়ায় চড়া চালের দাম। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাঁরা দ্রুত চালের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন। এদিকে চালের দাম নিয়ে বরাবরের মতোই খুচরা বিক্রেতা এবং মিলমালিকেরা একে অপরকে দুষছেন।
কুষ্টিয়ার বড়বাজার, পৌরবাজার, চৌড়হাস বাজারসহ কয়েকটি বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দফায় চালের দাম বাড়ার পর আশা ছিল চলতি বোরো মৌসুমে নতুন ধান ওঠার পর চালের বাজার কমের দিকে যাবে। কিন্তু ধানের এই ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।
চালের দাম কয়েক দফায় বাড়ার কারণে গত ২০ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল কুষ্টিয়ার চালকলগুলো পরিদর্শনে আসেন এবং কুষ্টিয়ার মিল মালিক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে মিল মালিকদের প্রতি মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সামনের দিকে চালের দাম কমানোর জন্য নির্দেশ দেন। সেই সময় মন্ত্রীর সামনে মিল মালিকেরা চালের দাম কেজিপ্রতি ২ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলেও তা কার্যকর করেননি।
শুধু চালের দাম কমানোর ঘোষণাই না, বৈঠকে মিল মালিকেরা বলেছিলেন, কিছুদিন পর বোরো মৌসুম তখন নতুন ধান ওঠার পর চালের দাম আরও কমে যাবে। কিন্তু কুষ্টিয়ার খুচরা বিক্রেতাদের অভিযোগ, ধানের এ ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। বেশি দামে কিনে এনে বেশি দামেই বিক্রি করছেন।
কুষ্টিয়ার মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার টুটুল বলেন, ‘আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ, দফায় দফায় বেড়ে ৫০ টাকার চাল এখন ৬৪ টাকা। সরকার যখন চাপ দেয়, তখন চালের দাম কমালেও কমে কেজিতে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা। এটা জনগণের সঙ্গে একটা ফাজলামি। যা আয় করি, তা যদি চাল কিনতে চলে যায়, তাহলে অন্যান্য জিনিস কিনব কীভাবে? চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
পৌরবাজারের কালাচাঁদ স্টোরের মালিক কালাচাঁদ বলেন, ‘আমরা দাম বাড়াতে পারি না। লাভও করি সীমিত। প্রতিদিনই চালের দাম বাড়তির দিকে থাকে। আমরা মিনিকেট নতুন চাল ৬০ টাকা এবং পুরোনো চাল ৬২ টাকা কেজি দরে কিনে ৬২ টাকা এবং ৬৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বেশি দামে বিক্রি করার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। মাঝেমধ্যেই এখানে অফিসাররা আসেন এবং দরদাম চেক করে যান।’
এদিকে মিল মালিকদের দাবি নতুন করে চালের দাম বাড়েনি। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকায় এখনো বাজারে নতুন ধান তেমনভাবে ওঠেনি। যে পরিমাণের ধান বাজারে উঠছে, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সেই কারণে ধানের দামও বেশি। আর বেশি দামে ধান কেনা লাগলে তো চালের দাম কমানো সম্ভব হয় না।
জানতে চাইলে কুষ্টিয়া চালকল মালিক সমিতির নেতা ওমর ফারুক বলেন, ‘মিল গেট থেকে যে দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে, খুচরা বাজারে দাম তার চেয়ে অনেক বেশি। তদারকির অভাবে খুচরা বাজারে বেশি দামে চাল বিক্রি হলে এর দায়ভার মিল মালিকদের না।’
হাবিবুর রহমান নামে আরেক মিল মালিক বলেন, ‘এক সময় এ ব্যবসায় ভালো লাভ থাকায় এখন অনেক বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালের ব্যবসায় আসছে। আগে শুধু মিলারদের কাছে ধান মজুত থাকত, কিন্তু এখন ওই সব ব্যবসায়ীদের কাছেও মজুত আছে। আবার গ্রামে এবং মাঠ পর্যায়েও অনেক সিজনাল ব্যবসায়ী হয়েছেন, যাঁরা নিজ এলাকায় গুদাম করে ধানের মজুত করছেন। গত কয়েক বছর ধানের বাজার ভালো থাকায় অনেক চাষিও ধান আটকে রাখছেন। এসব কারণে এখন ধানের উৎপাদন ভালো হলেও সংকট দেখা দিচ্ছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে এখন মাঠ পর্যায় থেকে তদারকি দরকার।’
কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি রফিকুল ইসলাম টুকু বলেন, ‘চালের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে মিল মালিকদের পাশাপাশি আরও অনেকেই দায়ী। তাই খাদ্য বিভাগ এবং কৃষি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। মনিটরিং আরও বেশি জোরদার করতে হবে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকটি দপ্তরের মাধ্যমে আমরা কঠোরভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করছি। কেউ অবৈধভাবে মজুত বা অধিক মুনাফার জন্য বাজারে চালের দাম বাড়ানো বা বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে