নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। পার্থক্য, দ্বিতীয় ইনিংসে গতকাল সাকিব আল হাসানের জায়গায় আসেন লিটন দাস। বিপর্যয় সামলানোর চিন্তা থেকেই হয়তো সাকিব গতকাল খেলা শেষেই হালকা ব্যাটিং অনুশীলন সেরে নিলেন। এরপর এলেন সংবাদ সম্মেলনে। সাকিবীয় মন্তব্যে জমজমাট হয়ে ওঠা সংবাদ সম্মেলনের চুম্বক অংশ এখানে—
ঢাকা টেস্ট বাঁচানো কি সম্ভব
‘মুশফিক ভাই আর লিটনের মতো যদি দ্বিতীয় ইনিংসে দুজন ব্যাটিং করতে পারে, তাহলে ম্যাচ বাঁচানোর আশা আছে। আমরা যারা আছি, সবাইকে আসলে এগিয়ে যেতে হবে। কাল (আজ) পঞ্চম দিনে এ রকম পরিস্থিতিতে যখন ওরা আসবে, প্রথম ঘণ্টা পুরো আক্রমণ করবে। ওদের জায়গায় থাকলে আমরাও তা-ই করতাম। আমাদের ওটা সামলাতে হবে। প্রথম ঘণ্টায় যদি উইকেট না ফেলি, লাঞ্চ পর্যন্ত যদি না পড়ে, তারপর একটা অবস্থানে আসার চেষ্টা করব।’
এ পরিস্থিতিতে কাজটা কত কঠিন
‘আমাদের জন্য পরিস্থিতিটা কঠিন। উইকেট খুব একটা কঠিন না হলেও যখন আড়াই দিন ফিল্ডিং করবেন (১৬০-৭০ ওভার), চতুর্থ দিনে এসে একটু তো কঠিন হবে। খেলোয়াড়েরা হয়তো ক্লান্ত। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করাটা কঠিন, বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। আমরা পরিস্থিতিটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি এবং বেশ কিছুদিন ধরেই এ সমস্যাটা হচ্ছে বাংলাদেশ দলে। দ্বিতীয় ইনিংসে অনেকবারই আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
চার বছর পর ইনিংসে ৫ উইকেট
‘পাঁচ উইকেট তো অবশ্য ভালো লাগবে। টেস্ট ম্যাচ খেলতে থাকলে বোলিংয়ের অনেক কিছু নিয়ে ম্যাচের ভেতর কাজ করা যায়। যেগুলো হয়তো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আমাকে সহায়তা করবে। স্বাভাবিকভাবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে থাকলে বলের শেপ-অ্যাকশন পরিবর্তন হতে থাকে। যখনই টেস্ট খেলা হয়, ওই জিনিসগুলোতে ছন্দটা ফিরে আসে।’
হঠাৎ চায়নাম্যান বোলিং
‘না, এটা নিয়ে ওভাবে কাজ করা হয়নি। কিন্তু (ম্যাচে) করার পর মনে হয়েছে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এই বৈচিত্র্য কাজে আসতে পারে। অনুশীলনও করা যেতে পারে।’
শারীরিক বা মানসিক ফিটনেস রহস্য
‘ম্যাচ ফিটনেস আর শারীরিক ফিটনেস দুটি দুই রকম। অনেকে আছে ম্যাচে অনেকক্ষণ ধরে বোলিং করতে পারে, একজন ফাস্ট বোলার ৬-৭-৮ ওভারের স্পেল করতে পারে। কিন্তু বিপ টেস্টে দেখা যাচ্ছে ১০ ছাড়াতে পারছে না। আবার অনেকে আছে (বিপ টেস্টে) ১২-১৩ দেয়, কিন্তু ৫ ওভারও বোলিং করতে পারে না। ফিটনেসের ব্যাখ্যাটা একেক জায়গায় একেক রকম। চারটা ম্যাচ খেলেছিলাম প্রিমিয়ার লিগে প্রচণ্ড গরমে, ওটা আমাকে সহায়তা করেছে। আমি জানতাম, চট্টগ্রামে প্রথম দুই দিন আমার অনেক কষ্ট হবে, পরে ধীরে ধীরে সহজ হয়ে যাবে। তো একটু সুযোগ নেওয়া বলতে পারেন। কিন্তু সুযোগটা হিসাব করে নেওয়া।’
১০ দিন খেলার সক্ষমতা আছে কি
‘আমরা টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে ফিট দল। কারণ, সবচেয়ে বেশি ফিল্ডিং আমরাই করি। শারীরিকভাবে আমরা ফিট, মানসিক সমস্যাটা হয়তো অনেক বেশি। এই জায়গায় অনেক বেশি কাজ করার আছে। দেখুন, তিন ইনিংসে ৪০০-৪৫০ ওভার ফিল্ডিং করেছি। লিটন ৪৫০ ওভার কিপিং করে ব্যাটিং করছে। মুশফিকও তাই। তারা আবার একজন ১৪০ করেছে, আরেকজন ১৭০ রানের বেশি। শারীরিকভাবে সবাই ফিট, সমস্যাটা মানসিক। যেখানে আমাদের অনেক বেশি কাজ করা দরকার। আমরা হয়তো ব্যর্থ হওয়ার ভয়টা বেশি পাই। ভাবি, যদি ভুলটা করি এই ফল হবে। উল্টোভাবে যদি আমরা চিন্তা করি, হয়তো অনেক সময় অনেক ভালো কিছু হবে।’
মুমিনুলের খারাপ সময়
‘একজন অধিনায়কের জন্য অবশ্যই এই পরিস্থিতিটা একটু কঠিন। এ সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা কীভাবে তার পাশে থাকি। কারণ, আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের যে পরিস্থিতি, মুমিনুলের চেয়ে ভালো বিকল্প আমাদের নেই। আমরা তাকে সাপোর্ট করি, একটা ইনিংস ওর সবকিছু বদলে দেবে।’
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। পার্থক্য, দ্বিতীয় ইনিংসে গতকাল সাকিব আল হাসানের জায়গায় আসেন লিটন দাস। বিপর্যয় সামলানোর চিন্তা থেকেই হয়তো সাকিব গতকাল খেলা শেষেই হালকা ব্যাটিং অনুশীলন সেরে নিলেন। এরপর এলেন সংবাদ সম্মেলনে। সাকিবীয় মন্তব্যে জমজমাট হয়ে ওঠা সংবাদ সম্মেলনের চুম্বক অংশ এখানে—
ঢাকা টেস্ট বাঁচানো কি সম্ভব
‘মুশফিক ভাই আর লিটনের মতো যদি দ্বিতীয় ইনিংসে দুজন ব্যাটিং করতে পারে, তাহলে ম্যাচ বাঁচানোর আশা আছে। আমরা যারা আছি, সবাইকে আসলে এগিয়ে যেতে হবে। কাল (আজ) পঞ্চম দিনে এ রকম পরিস্থিতিতে যখন ওরা আসবে, প্রথম ঘণ্টা পুরো আক্রমণ করবে। ওদের জায়গায় থাকলে আমরাও তা-ই করতাম। আমাদের ওটা সামলাতে হবে। প্রথম ঘণ্টায় যদি উইকেট না ফেলি, লাঞ্চ পর্যন্ত যদি না পড়ে, তারপর একটা অবস্থানে আসার চেষ্টা করব।’
এ পরিস্থিতিতে কাজটা কত কঠিন
‘আমাদের জন্য পরিস্থিতিটা কঠিন। উইকেট খুব একটা কঠিন না হলেও যখন আড়াই দিন ফিল্ডিং করবেন (১৬০-৭০ ওভার), চতুর্থ দিনে এসে একটু তো কঠিন হবে। খেলোয়াড়েরা হয়তো ক্লান্ত। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করাটা কঠিন, বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটাররা। আমরা পরিস্থিতিটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি এবং বেশ কিছুদিন ধরেই এ সমস্যাটা হচ্ছে বাংলাদেশ দলে। দ্বিতীয় ইনিংসে অনেকবারই আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
চার বছর পর ইনিংসে ৫ উইকেট
‘পাঁচ উইকেট তো অবশ্য ভালো লাগবে। টেস্ট ম্যাচ খেলতে থাকলে বোলিংয়ের অনেক কিছু নিয়ে ম্যাচের ভেতর কাজ করা যায়। যেগুলো হয়তো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আমাকে সহায়তা করবে। স্বাভাবিকভাবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে থাকলে বলের শেপ-অ্যাকশন পরিবর্তন হতে থাকে। যখনই টেস্ট খেলা হয়, ওই জিনিসগুলোতে ছন্দটা ফিরে আসে।’
হঠাৎ চায়নাম্যান বোলিং
‘না, এটা নিয়ে ওভাবে কাজ করা হয়নি। কিন্তু (ম্যাচে) করার পর মনে হয়েছে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এই বৈচিত্র্য কাজে আসতে পারে। অনুশীলনও করা যেতে পারে।’
শারীরিক বা মানসিক ফিটনেস রহস্য
‘ম্যাচ ফিটনেস আর শারীরিক ফিটনেস দুটি দুই রকম। অনেকে আছে ম্যাচে অনেকক্ষণ ধরে বোলিং করতে পারে, একজন ফাস্ট বোলার ৬-৭-৮ ওভারের স্পেল করতে পারে। কিন্তু বিপ টেস্টে দেখা যাচ্ছে ১০ ছাড়াতে পারছে না। আবার অনেকে আছে (বিপ টেস্টে) ১২-১৩ দেয়, কিন্তু ৫ ওভারও বোলিং করতে পারে না। ফিটনেসের ব্যাখ্যাটা একেক জায়গায় একেক রকম। চারটা ম্যাচ খেলেছিলাম প্রিমিয়ার লিগে প্রচণ্ড গরমে, ওটা আমাকে সহায়তা করেছে। আমি জানতাম, চট্টগ্রামে প্রথম দুই দিন আমার অনেক কষ্ট হবে, পরে ধীরে ধীরে সহজ হয়ে যাবে। তো একটু সুযোগ নেওয়া বলতে পারেন। কিন্তু সুযোগটা হিসাব করে নেওয়া।’
১০ দিন খেলার সক্ষমতা আছে কি
‘আমরা টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে ফিট দল। কারণ, সবচেয়ে বেশি ফিল্ডিং আমরাই করি। শারীরিকভাবে আমরা ফিট, মানসিক সমস্যাটা হয়তো অনেক বেশি। এই জায়গায় অনেক বেশি কাজ করার আছে। দেখুন, তিন ইনিংসে ৪০০-৪৫০ ওভার ফিল্ডিং করেছি। লিটন ৪৫০ ওভার কিপিং করে ব্যাটিং করছে। মুশফিকও তাই। তারা আবার একজন ১৪০ করেছে, আরেকজন ১৭০ রানের বেশি। শারীরিকভাবে সবাই ফিট, সমস্যাটা মানসিক। যেখানে আমাদের অনেক বেশি কাজ করা দরকার। আমরা হয়তো ব্যর্থ হওয়ার ভয়টা বেশি পাই। ভাবি, যদি ভুলটা করি এই ফল হবে। উল্টোভাবে যদি আমরা চিন্তা করি, হয়তো অনেক সময় অনেক ভালো কিছু হবে।’
মুমিনুলের খারাপ সময়
‘একজন অধিনায়কের জন্য অবশ্যই এই পরিস্থিতিটা একটু কঠিন। এ সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা কীভাবে তার পাশে থাকি। কারণ, আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের যে পরিস্থিতি, মুমিনুলের চেয়ে ভালো বিকল্প আমাদের নেই। আমরা তাকে সাপোর্ট করি, একটা ইনিংস ওর সবকিছু বদলে দেবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে