ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মনোনয়নবঞ্চিতরা।

গত বুধবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার ভুইশ্বর বাজারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকশিমুল ইউপির চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী আব্দুল আহাদ, হাবিবুর রহমান জসিম ও আব্দুল্লাহ।

তৃণমূল নেতাদের ভোটে প্রথম হওয়া আব্দুল আহাদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী প্রার্থীদের পরিবর্তে তুলনামূলক কম ভোট পাওয়া প্রার্থীদের নাম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছে। আমি তৃণমূলের ১২ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছি। অথচ, আমার থেকে ৮ ভোট কম পেয়ে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাইফুল ইসলাম।’

উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাজি মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া, দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী আব্দুল্লাহ, আব্দুল মালেক, হাবিবুর রহমান জসিমসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা।

এ সময় বক্তারা বলেন, ১৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই করতে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সভায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের উপস্থিতিতে তৃণমূলের ভোটগ্রহণ করা হয়। তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোট যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে পছন্দমতো প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে। তাঁরা স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূলের চাহিদাকে মূল্যায়ন করে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চান বক্তারা।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ‘অভিযোগ কেউ করলে করতে পারেন। তৃণমূলের কোনো ভোট হয়নি। একটি ইউনিয়নে চারজন প্রার্থী, এর মধ্যে কোন প্রার্থী নাম বাদ যাবে, সেই নামটি তৃণমূল থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রার্থীর ব্যক্তিগত কোনো জনপ্রিয়তা যাচাই করা হয়নি।’