আব্বাছ হোসেন, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম খুনের ঘটনায় গত বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জেহাদীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি একসময় জামায়াতের নেতা ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদীকে প্রধান আসামি করে মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাশেম জেহাদী শুরুতে ডাকাত ছিলেন। এরপর হন জামায়াত নেতা। পরে জামায়াত ত্যাগ করে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। এখন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ নানা অভিযোগে মামলা রয়েছে বেশ কয়েকটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাদ যাননি দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। জমি দখল, চাঁদাবাজি, হামলা, মামলা ছিল তাঁর নিত্যদিনের কাজ। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে নেমে আসত নির্মম নির্যাতন; খুনখারাবি। বশিকপুরসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ তাঁর ভয়ে তটস্থ থাকে।
পুলিশ জানায়, ১৯৯৮ সালের আগপর্যন্ত তাঁর নাম ছিল আবুল কাশেম। এরপর রকেট লঞ্চার চালানোসহ নানা কারণে তিনি জেহাদী কাশেম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অভিযোগ রয়েছে, নামের সঙ্গে ‘জেহাদী’ যুক্ত করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। সদর উপজেলার ৭ নম্বর বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে জামায়াত ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ ঘটে তাঁর। এরপর দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এই জেহাদী। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে চারটি হত্যাসহ দেড় ডজন মামলার আসামি হন তিনি। গত মঙ্গলবার রাতে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি করা হয় জেহাদীকে। তাঁর রয়েছে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। এ বাহিনীর নাম জেহাদী বাহিনী।
হত্যাকাণ্ডের শিকার রাকিব ইমামের বাবা রফিক উল্যাহ বলেন, ‘আবুল কাশেম জেহাদীর হাতে নিজ দলীয় নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আমার মাস্টার্সপড়ুয়া ছেলের কী দোষ ছিল! তাকে কেন গুলি করে মারতে হবে? সে তো সন্ত্রাসী ছিল না। সে ছাত্রলীগের রাজনীতি করত।’
হত্যাকাণ্ডের শিকার অপর ব্যক্তি আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘দুইবার নৌকার টিকিটে মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও সবশেষ নির্বাচনে আমার সঙ্গে হেরেই নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে সে (জেহাদী)।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক শত্রুতার জেরে বিভিন্ন সময়ে জেহাদী ও নোমান একে অপরকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করতেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১ অক্টোবর দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন। তিনি ছিলেন কাশেম জেহাদীর চাচাতো ভাই। আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধেও হত্যা, চাঁদাবাজির বেশ কয়েকটি মামলা ছিল। তিনি জেহাদীর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আলাউদ্দিনের খুনের ঘটনায় যুবলীগ নেতা নোমানকে দুষছিলেন কাশেম জেহাদী। তবে ওই হত্যা মামলায় নোমানকে আসামি করা হয়নি। পুলিশ এখনো সেই হত্যাকাণ্ডর রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
কাশেম জেহাদী পলাতক রয়েছেন। এ জন্য এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মহসিন কবির মুরাদ বলেন, আবুল কাশেম জেহাদী একসময় জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে তিনি একজন সন্ত্রাসী। তিনি এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।
হোসেন আহাম্মদ নামের বশিকপুরের এক বাসিন্দা বলেন, আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে এত অভিযোগের পর কীভাবে আওয়ামী লীগ তাঁকে দলে রাখে, সেটাই এখন প্রশ্ন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, সন্ত্রাসী কোনো দলের হতে পারে না। দলীয় নেতা-কর্মী হত্যার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনিও।
লক্ষ্মীপুরের জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম খুনের ঘটনায় গত বুধবার রাতে মামলা হয়েছে। আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জেহাদীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি একসময় জামায়াতের নেতা ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদীকে প্রধান আসামি করে মোট ৩৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আবুল কাশেম জেহাদী শুরুতে ডাকাত ছিলেন। এরপর হন জামায়াত নেতা। পরে জামায়াত ত্যাগ করে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। এখন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ নানা অভিযোগে মামলা রয়েছে বেশ কয়েকটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদী ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাদ যাননি দলীয় নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। জমি দখল, চাঁদাবাজি, হামলা, মামলা ছিল তাঁর নিত্যদিনের কাজ। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে নেমে আসত নির্মম নির্যাতন; খুনখারাবি। বশিকপুরসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ তাঁর ভয়ে তটস্থ থাকে।
পুলিশ জানায়, ১৯৯৮ সালের আগপর্যন্ত তাঁর নাম ছিল আবুল কাশেম। এরপর রকেট লঞ্চার চালানোসহ নানা কারণে তিনি জেহাদী কাশেম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অভিযোগ রয়েছে, নামের সঙ্গে ‘জেহাদী’ যুক্ত করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। সদর উপজেলার ৭ নম্বর বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ সালে জামায়াত ত্যাগ করে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ ঘটে তাঁর। এরপর দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এই জেহাদী। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে চারটি হত্যাসহ দেড় ডজন মামলার আসামি হন তিনি। গত মঙ্গলবার রাতে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি করা হয় জেহাদীকে। তাঁর রয়েছে বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী। এ বাহিনীর নাম জেহাদী বাহিনী।
হত্যাকাণ্ডের শিকার রাকিব ইমামের বাবা রফিক উল্যাহ বলেন, ‘আবুল কাশেম জেহাদীর হাতে নিজ দলীয় নেতা-কর্মীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আমার মাস্টার্সপড়ুয়া ছেলের কী দোষ ছিল! তাকে কেন গুলি করে মারতে হবে? সে তো সন্ত্রাসী ছিল না। সে ছাত্রলীগের রাজনীতি করত।’
হত্যাকাণ্ডের শিকার অপর ব্যক্তি আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপির চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘দুইবার নৌকার টিকিটে মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও সবশেষ নির্বাচনে আমার সঙ্গে হেরেই নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে সে (জেহাদী)।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক শত্রুতার জেরে বিভিন্ন সময়ে জেহাদী ও নোমান একে অপরকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করতেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১ অক্টোবর দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন। তিনি ছিলেন কাশেম জেহাদীর চাচাতো ভাই। আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধেও হত্যা, চাঁদাবাজির বেশ কয়েকটি মামলা ছিল। তিনি জেহাদীর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আলাউদ্দিনের খুনের ঘটনায় যুবলীগ নেতা নোমানকে দুষছিলেন কাশেম জেহাদী। তবে ওই হত্যা মামলায় নোমানকে আসামি করা হয়নি। পুলিশ এখনো সেই হত্যাকাণ্ডর রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
কাশেম জেহাদী পলাতক রয়েছেন। এ জন্য এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মহসিন কবির মুরাদ বলেন, আবুল কাশেম জেহাদী একসময় জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে তিনি একজন সন্ত্রাসী। তিনি এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।
হোসেন আহাম্মদ নামের বশিকপুরের এক বাসিন্দা বলেন, আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে এত অভিযোগের পর কীভাবে আওয়ামী লীগ তাঁকে দলে রাখে, সেটাই এখন প্রশ্ন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, সন্ত্রাসী কোনো দলের হতে পারে না। দলীয় নেতা-কর্মী হত্যার ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনিও।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে