শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংশ্লিষ্ট পদ সৃষ্টি না হওয়ায় আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি দিয়ে মাঝেমধ্যে এসব সেবা দেওয়া হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকলেও অসহায়-হতদরিদ্র রোগীর কথা বিবেচনা করে এসব পরীক্ষা করা হয় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই।
এ ছাড়া হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও, চালকের অভাবে সেবা দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের প্রথম দিকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন দেওয়া হয়। কিন্তু মেশিন থাকলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংশ্লিষ্ট পদ সৃষ্টি না হওয়া নেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ফলে তেমন কোনো আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয় না, বেশির ভাগ সময় তালাবদ্ধ থাকে কক্ষটি।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক দিয়ে মাঝেমধ্যে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় রিপোর্ট দানেও ক্ষেত্রে তৈরি হয় জটিলতা। সংঘর্ষ, মারামারিসহ মামলা-সংশ্লিষ্ট ঘটনায় নিরপেক্ষ প্রতিবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এসব পরীক্ষা বাইরে করতে হয়।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন থাকলেও নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তাই বেসরকারি ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা করতে হলো। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এই পদ সৃষ্টি করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিলে, আমাদের মতো হতদরিদ্র রোগীদের অনেক উপকার হতো।’
বরমী এলাকার নাঈমুল হাসান বলেন, ‘জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে আমার বাবাকে মারধর করে পা ভেঙে দিয়েছে। এর জন্য বেসরকারি ক্লিনিক থেকে এক্স-রে রিপোর্ট করিয়ে আনতে হয়েছে। এক্স-রে মেশিন থাকলেও নেই পদ, যার কারণে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। টাকা বড় কথা নয়, দৌড়াদৌড়ি করে বেসরকারি ক্লিনিক থেকে রিপোর্ট করিয়ে আনতে অনেক ভোগান্তি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, ‘সারা দেশের মতো আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ নেই। ফলে যেসব রোগীর আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে প্রতিবেদন জরুরি হয়ে পড়ে, তার পরীক্ষাও এই হাসপাতালে করা হয় না। এ ধরনের পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো ধরনের লিখিত দেয়নি। আমরা মাঝেমধ্যে ঝুঁকি নিয়ে এসব প্রতিবেদন করে থাকি। তবে আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে, দুটি পদ সৃষ্টি করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিলে সেবার মান আরও বেড়ে যাবে।’
প্রণয় ভূষণ দাস আরও বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও, নেই চালক। এ কারণে সেবা দিতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। আমার নিজস্ব চালক দিয়ে জরুরি রোগী আনা-নেওয়া করা হয়ে থাকে।’
গাজীপুর সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে পদ দুটি এখনো সৃষ্টি হয়নি। পদ সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেওয়া হবে।’ পদ সৃষ্টি ছাড়া দামি যন্ত্র দেওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে এসব পদ সৃষ্টি করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।’
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংশ্লিষ্ট পদ সৃষ্টি না হওয়ায় আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি দিয়ে মাঝেমধ্যে এসব সেবা দেওয়া হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকলেও অসহায়-হতদরিদ্র রোগীর কথা বিবেচনা করে এসব পরীক্ষা করা হয় অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই।
এ ছাড়া হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও, চালকের অভাবে সেবা দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের প্রথম দিকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন দেওয়া হয়। কিন্তু মেশিন থাকলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংশ্লিষ্ট পদ সৃষ্টি না হওয়া নেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ফলে তেমন কোনো আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয় না, বেশির ভাগ সময় তালাবদ্ধ থাকে কক্ষটি।
এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক দিয়ে মাঝেমধ্যে আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় রিপোর্ট দানেও ক্ষেত্রে তৈরি হয় জটিলতা। সংঘর্ষ, মারামারিসহ মামলা-সংশ্লিষ্ট ঘটনায় নিরপেক্ষ প্রতিবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এসব পরীক্ষা বাইরে করতে হয়।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা তাসলিমা আক্তার বলেন, ‘হাসপাতালে আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন থাকলেও নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তাই বেসরকারি ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা করতে হলো। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এই পদ সৃষ্টি করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিলে, আমাদের মতো হতদরিদ্র রোগীদের অনেক উপকার হতো।’
বরমী এলাকার নাঈমুল হাসান বলেন, ‘জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে আমার বাবাকে মারধর করে পা ভেঙে দিয়েছে। এর জন্য বেসরকারি ক্লিনিক থেকে এক্স-রে রিপোর্ট করিয়ে আনতে হয়েছে। এক্স-রে মেশিন থাকলেও নেই পদ, যার কারণে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। টাকা বড় কথা নয়, দৌড়াদৌড়ি করে বেসরকারি ক্লিনিক থেকে রিপোর্ট করিয়ে আনতে অনেক ভোগান্তি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, ‘সারা দেশের মতো আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ নেই। ফলে যেসব রোগীর আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে প্রতিবেদন জরুরি হয়ে পড়ে, তার পরীক্ষাও এই হাসপাতালে করা হয় না। এ ধরনের পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো ধরনের লিখিত দেয়নি। আমরা মাঝেমধ্যে ঝুঁকি নিয়ে এসব প্রতিবেদন করে থাকি। তবে আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে, দুটি পদ সৃষ্টি করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিলে সেবার মান আরও বেড়ে যাবে।’
প্রণয় ভূষণ দাস আরও বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও, নেই চালক। এ কারণে সেবা দিতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। আমার নিজস্ব চালক দিয়ে জরুরি রোগী আনা-নেওয়া করা হয়ে থাকে।’
গাজীপুর সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আলট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে পদ দুটি এখনো সৃষ্টি হয়নি। পদ সৃষ্টি হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেওয়া হবে।’ পদ সৃষ্টি ছাড়া দামি যন্ত্র দেওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে। আমাদের পক্ষ থেকে এসব পদ সৃষ্টি করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে