জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গারো সম্প্রদায়ের নিজস্ব সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অন্যতম উৎসব ওয়ানগালা উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল রোববার দিনব্যাপী উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিয়মনগর সাধু জর্জের ধর্মপল্লির গির্জা চত্বরে এই উৎসব হয়।
গারো সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, ‘মিশি সালজং’ বা শস্য দেবতার ওপর ভরসা রাখলে ফসলের ফলন ভালো হয়। এ জন্য দেবতাকে নতুন ফসলের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে গারো সম্প্রদায় এই ওয়ানগালা উৎসবের আয়োজন করে।
এবারের ওয়ানগালায় প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোমিনুর রশীদ। উপস্থিত ছিলেন- ডিসি পত্নী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
এদিন সকাল ৯টায় থক্কা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওয়ানগালা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার বিপুল ডেভিড দাস সিএসসি। উৎসবে ক্রুশচত্বরে বাণী পাঠ, খামালকে কুতুব পড়ানো ও থক্কা প্রদান, জনগণকে থক্কা দেয়া, পবিত্র খ্রিষ্টযাগ, দান সংগ্রহ, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
ওয়ানগালা উৎসব কমিটির আহ্বায়ক মরিয়মনগর ধর্মপল্লির পাল পুরোহিত ফাদার বিপুল ডেভিড দাস সিএসসি জানান, একসময় গারো পাহাড়ি এলাকায় জুমচাষ হতো এবং বছরে মাত্র একটি ফসল হতো। তখন ওই জুম বা ধান ঘরে ওঠানোর সময় গারোদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’ কে উৎসর্গ করে এ উৎসবের আয়োজন করা হতো।
তিনি আরও বলেন, গারোদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’ একসময় পাহাড়ি এলাকার গারোদের হাতে কিছু শস্য দিয়ে বলেছিল, ‘তোমরা এটা রোপণ কর। তাতে তোমাদের আহারের সংস্থান হবে এবং তোমরা যে শস্য পাবে তা থেকে সামান্য কিছু শস্য আমার নামে উৎসর্গ করবে।’ এরপর থেকেই গারোরা তাদের শস্য দেবতাকে এই ফসল উৎসর্গ করে আসছে।
জানা যায়, ১৯৮৫ সাল থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিয়মনগরে ওয়ানগালা উৎসব পালিত হচ্ছে। গত দুই বছর করোনার জন্য একেবারেই ঘরোয়া আয়োজনে পালিত হলেও এবার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাঁকজমকভাবে উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে সদর উপজেলাসহ শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী এবং জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার গারো সমাজের ৪৭টি গ্রামের মানুষ অংশ নেন। এসব এলাকায় প্রায় ২২ হাজার গারো সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। গারাগানজিং, কতচু, রুগা, মমিন, বাবিল, দোয়াল, মাতচি, মিগাম, চিবক, আচদং, মাতাবেং ও আরেং নামে ১২টি গোত্রের গারো সম্প্রদায়ের লোকজন এবার ওয়ানগালা উৎসবে উপস্থিত হন।
স্থানীয়রা জানান, খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর গারোরা তাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রথাটি এখন ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে একত্রে উদ্যাপন করেন।
এদিকে ওয়ানগালা উৎসব উপলক্ষে ধর্মপল্লির পাশে বসেছিল জমজমাট মেলা। মেলায় গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকসহ শিশুদের নানা রকমের খেলনা বিক্রি করা হয়। ফলে এখানে গারো শিশু ও তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন পসরার দোকানে তাদের পছন্দের জিনিস কিনতে ভিড় জমান।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গারো সম্প্রদায়ের নিজস্ব সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অন্যতম উৎসব ওয়ানগালা উদ্যাপিত হয়েছে। গতকাল রোববার দিনব্যাপী উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিয়মনগর সাধু জর্জের ধর্মপল্লির গির্জা চত্বরে এই উৎসব হয়।
গারো সম্প্রদায়ের বিশ্বাস, ‘মিশি সালজং’ বা শস্য দেবতার ওপর ভরসা রাখলে ফসলের ফলন ভালো হয়। এ জন্য দেবতাকে নতুন ফসলের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে গারো সম্প্রদায় এই ওয়ানগালা উৎসবের আয়োজন করে।
এবারের ওয়ানগালায় প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোমিনুর রশীদ। উপস্থিত ছিলেন- ডিসি পত্নী জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফারুক আল মাসুদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
এদিন সকাল ৯টায় থক্কা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওয়ানগালা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মরিয়মনগর ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার বিপুল ডেভিড দাস সিএসসি। উৎসবে ক্রুশচত্বরে বাণী পাঠ, খামালকে কুতুব পড়ানো ও থক্কা প্রদান, জনগণকে থক্কা দেয়া, পবিত্র খ্রিষ্টযাগ, দান সংগ্রহ, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
ওয়ানগালা উৎসব কমিটির আহ্বায়ক মরিয়মনগর ধর্মপল্লির পাল পুরোহিত ফাদার বিপুল ডেভিড দাস সিএসসি জানান, একসময় গারো পাহাড়ি এলাকায় জুমচাষ হতো এবং বছরে মাত্র একটি ফসল হতো। তখন ওই জুম বা ধান ঘরে ওঠানোর সময় গারোদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’ কে উৎসর্গ করে এ উৎসবের আয়োজন করা হতো।
তিনি আরও বলেন, গারোদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’ একসময় পাহাড়ি এলাকার গারোদের হাতে কিছু শস্য দিয়ে বলেছিল, ‘তোমরা এটা রোপণ কর। তাতে তোমাদের আহারের সংস্থান হবে এবং তোমরা যে শস্য পাবে তা থেকে সামান্য কিছু শস্য আমার নামে উৎসর্গ করবে।’ এরপর থেকেই গারোরা তাদের শস্য দেবতাকে এই ফসল উৎসর্গ করে আসছে।
জানা যায়, ১৯৮৫ সাল থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী মরিয়মনগরে ওয়ানগালা উৎসব পালিত হচ্ছে। গত দুই বছর করোনার জন্য একেবারেই ঘরোয়া আয়োজনে পালিত হলেও এবার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাঁকজমকভাবে উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে সদর উপজেলাসহ শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী এবং জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার গারো সমাজের ৪৭টি গ্রামের মানুষ অংশ নেন। এসব এলাকায় প্রায় ২২ হাজার গারো সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। গারাগানজিং, কতচু, রুগা, মমিন, বাবিল, দোয়াল, মাতচি, মিগাম, চিবক, আচদং, মাতাবেং ও আরেং নামে ১২টি গোত্রের গারো সম্প্রদায়ের লোকজন এবার ওয়ানগালা উৎসবে উপস্থিত হন।
স্থানীয়রা জানান, খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর গারোরা তাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রথাটি এখন ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে একত্রে উদ্যাপন করেন।
এদিকে ওয়ানগালা উৎসব উপলক্ষে ধর্মপল্লির পাশে বসেছিল জমজমাট মেলা। মেলায় গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকসহ শিশুদের নানা রকমের খেলনা বিক্রি করা হয়। ফলে এখানে গারো শিশু ও তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন পসরার দোকানে তাদের পছন্দের জিনিস কিনতে ভিড় জমান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে