ডামুড্যা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে হলুদ রঙের তরমুজ চাষ করে সফল আনোয়ার ব্যাপারী। উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওঁগাও গ্রামে আধুনিক পদ্ধতিতে কীটনাশক ছাড়া চাষ করেও লাভের মুখ দেখেছেন তিনি।
আনোয়ার ব্যাপারী এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছর ইউটিউব দেখে সাতক্ষীরার এক কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। প্রথমে মাত্র ১০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করি। এতে আমার খরচ হয় ৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে প্রথম আবাদ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আমি দমে যাইনি। এরপর আবার শুরু করি। ঋণ করে ৯২ হাজার টাকা খরচ করে ২০ শতক জমিতে আবার চাষাবাদ শুরু করি। পরে সেই খেত থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ করি। তাই এবার নতুন করে আরও ২০ শতক জায়গা নিয়েছি। মোট ৪০ শতক জায়গায় এবার হলুদ তরমুজের চাষ শুরু করেছি। এবার ফলন আরও ভালো হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এ বছর প্রায় ৩–৪ লাখ টাকা লাভ হবে আশা করছি।’
এ সময় আনোয়ার ব্যাপারী ডামুড্যা কৃষি অফিসের ব্লক সুপারভাইজার মাসুদের বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘তাঁকে আমি ৫–৬ দিন ফোন করেছি। কিন্তু তাঁর কোনো সহযোগিতা পাইনি। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করছি।’
আনোয়ার ব্যাপারীর খেতে গিয়ে দেখা যায়, মাচার মধ্যে ঝুলে আছে বিভিন্ন সাইজের বাহারি রঙের তরমুজ। দেখেই মন ভরে যায়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খেতে ক্রেতাদের পদচারণা চোখে পড়ার মতো। ক্রেতারা আসছেন, খেত ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং পছন্দমতো তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। হলুদ তরমুজগুলো কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশি তরমুজ ও সৌদি আরবের ফল সাম্মামও চাষ করছেন চাষি আনোয়ার। বিকেল বেলা খেতে গেলে মনে হয়, কোনো পর্যটন এলাকায় ঘুরতে এসেছি।
তরমুজ কিনতে আসা স্থানীয় শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, ‘লোকমুখে শুনে নিজেই হাজির হয়েছি, আনোয়ার ভাইয়ের তরমুজ খেতে। নিজ হাতে বাছাই করে কেমিক্যালমুক্ত তরমুজ কিনলাম। আমরা চাই এলাকার কৃষকেরা আনোয়ার ব্যাপারীর মতো আধুনিক পদ্ধতিতে কেমিক্যালমুক্ত তরমুজের চাষ করেন।’
চাষি আনোয়ার এ সময় আরও বলেন, ‘সরকার যদি বিনা সুদে আমাদের মতো নতুন চাষিদের ঋণ দেয়, তাহলে হলুদ তরমুজ চাষকে বিপ্লবে পরিণত করা যাবে। এ তরমুজ দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার জানা মতে, উপজেলায় আনোয়ার ব্যাপারীই প্রথম হলুদ তরমুজের চাষ শুরু করেছেন। তাঁর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এ বিষয়ে আনোয়ার ভাইকে যত প্রকার সাহায্য করা প্রয়োজন তা করা হবে।’
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় মালচিং পদ্ধতিতে হলুদ রঙের তরমুজ চাষ করে সফল আনোয়ার ব্যাপারী। উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওঁগাও গ্রামে আধুনিক পদ্ধতিতে কীটনাশক ছাড়া চাষ করেও লাভের মুখ দেখেছেন তিনি।
আনোয়ার ব্যাপারী এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত বছর ইউটিউব দেখে সাতক্ষীরার এক কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। প্রথমে মাত্র ১০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করি। এতে আমার খরচ হয় ৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু অভিজ্ঞতার অভাবে প্রথম আবাদ নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আমি দমে যাইনি। এরপর আবার শুরু করি। ঋণ করে ৯২ হাজার টাকা খরচ করে ২০ শতক জমিতে আবার চাষাবাদ শুরু করি। পরে সেই খেত থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ করি। তাই এবার নতুন করে আরও ২০ শতক জায়গা নিয়েছি। মোট ৪০ শতক জায়গায় এবার হলুদ তরমুজের চাষ শুরু করেছি। এবার ফলন আরও ভালো হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, এ বছর প্রায় ৩–৪ লাখ টাকা লাভ হবে আশা করছি।’
এ সময় আনোয়ার ব্যাপারী ডামুড্যা কৃষি অফিসের ব্লক সুপারভাইজার মাসুদের বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘তাঁকে আমি ৫–৬ দিন ফোন করেছি। কিন্তু তাঁর কোনো সহযোগিতা পাইনি। এ বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করছি।’
আনোয়ার ব্যাপারীর খেতে গিয়ে দেখা যায়, মাচার মধ্যে ঝুলে আছে বিভিন্ন সাইজের বাহারি রঙের তরমুজ। দেখেই মন ভরে যায়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খেতে ক্রেতাদের পদচারণা চোখে পড়ার মতো। ক্রেতারা আসছেন, খেত ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং পছন্দমতো তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। হলুদ তরমুজগুলো কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশি তরমুজ ও সৌদি আরবের ফল সাম্মামও চাষ করছেন চাষি আনোয়ার। বিকেল বেলা খেতে গেলে মনে হয়, কোনো পর্যটন এলাকায় ঘুরতে এসেছি।
তরমুজ কিনতে আসা স্থানীয় শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, ‘লোকমুখে শুনে নিজেই হাজির হয়েছি, আনোয়ার ভাইয়ের তরমুজ খেতে। নিজ হাতে বাছাই করে কেমিক্যালমুক্ত তরমুজ কিনলাম। আমরা চাই এলাকার কৃষকেরা আনোয়ার ব্যাপারীর মতো আধুনিক পদ্ধতিতে কেমিক্যালমুক্ত তরমুজের চাষ করেন।’
চাষি আনোয়ার এ সময় আরও বলেন, ‘সরকার যদি বিনা সুদে আমাদের মতো নতুন চাষিদের ঋণ দেয়, তাহলে হলুদ তরমুজ চাষকে বিপ্লবে পরিণত করা যাবে। এ তরমুজ দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমার জানা মতে, উপজেলায় আনোয়ার ব্যাপারীই প্রথম হলুদ তরমুজের চাষ শুরু করেছেন। তাঁর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এ বিষয়ে আনোয়ার ভাইকে যত প্রকার সাহায্য করা প্রয়োজন তা করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে