রাজীব কুমার সাহা
দৈনন্দিন ভাষিক সংশ্রয়ে পণ্ড হওয়া বা নষ্ট করা প্রসঙ্গে আমরা অনেক শব্দ ব্যবহার করি। এর মধ্যে একটি অতি পরিচিত শব্দ হলো ‘বানচাল’। আরেকটু সুনির্দিষ্টভাবে বললে নির্বাচন প্রসঙ্গে এই শব্দটির ব্যবহার অধিক হারে পরিলক্ষিত হয়।
যেমন : ‘বিপক্ষ দল নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র আঁটছে’। কিন্তু এই বানচাল শব্দের মূল অর্থ কী? বাংলা ভাষায় এর আলংকারিক অর্থটির প্রবেশ কীভাবে ঘটলো। আজ জানবো বানচাল শব্দটির আদ্যোপান্ত।
‘বানচাল’ দেশি শব্দ। এটি বিশেষণ পদ। বান এবং চাল শব্দের সমন্বয়ে গঠিত শব্দটির আভিধানিক ও প্রচলিত অর্থ হলো পণ্ড বা বিপর্যস্ত, ভন্ডুল প্রভৃতি। বানচাল করা বা হওয়ার অর্থ হলো ভেস্তে যাওয়া, নষ্ট বা ওলটপালট করা, পণ্ড হওয়া প্রভৃতি। উল্লিখিত অর্থসমূহ আলংকারিক অর্থ। তাহলে এর আক্ষরিক অর্থ কী? চলুন জানি এর আক্ষরিক অর্থ।
‘বানচাল’ শব্দের বান শব্দটি এসেছে ‘বয়ন’ শব্দ থেকে। নৌকা নির্মাণের সময় একটি তক্তার সঙ্গে আরেকটি তক্তা জুড়ে এর ভিত্তিমূল তৈরি করা হয়। নৌকার তলদেশে আড়াআড়ি করে লাগানো কাঠের তক্তাসমূহের সন্ধি বা জোড়া দেওয়ার মুখটিকে বলা হয় ‘বান’। যে নৌকার বান যত শক্ত সেই নৌকা তত বেশি ঝুঁকিমুক্ত ও শক্তিশালী। আর ‘চাল’ শব্দটির অর্থ হলো আলগা বা শিথিল হওয়া।
সুতরাং আক্ষরিক অর্থে বানচাল শব্দের অর্থ দাঁড়ায় নৌকার তক্তার জোড়সমূহ ফাঁক বা আলগা হয়ে নৌকা ডুবে যাওয়া বা সলিলসমাধি ঘটা। মাঝনদীতে নৌকা বানচাল হলে একদিকে নৌকায় থাকা মূল্যবান সহায়সম্পদ যেমন ডুবে যায় তেমনি নৌকার মাঝিমাল্লারাও মাঝনদীতে ফেঁসে যান।বেশিরভাগে ক্ষেত্রে ঘটে প্রাণহানি। সুতরাং নৌকা বানচাল হওয়া মানে সামগ্রিকভাবে কোনোকিছু ভন্ডুল বা পণ্ড হওয়া।
নদীমাতৃক দেশ হিসেবে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধানতম মাধ্যম ছিল নৌকা। সুতরাং মাঝনদীতে নৌকা বানচালের ঘটনা তখনকার সময়ে প্রায়শই ঘটত। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অধিবাসীদের ভাষিক সংশ্রয়ে তাই খুব সহজেই স্থান করে নেয় বানচাল শব্দটি।
অপরদিকে আধুনিককালে আমরা কারো কোনো উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা পণ্ড করে দেওয়াকে বলি বানচাল করা। সাম্প্রতিক সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ফলে আক্ষরিক অর্থে আর বানচাল শব্দটি ব্যবহৃত না হলেও আলংকারিক অর্থে এর প্রয়োগ লক্ষণীয়।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
দৈনন্দিন ভাষিক সংশ্রয়ে পণ্ড হওয়া বা নষ্ট করা প্রসঙ্গে আমরা অনেক শব্দ ব্যবহার করি। এর মধ্যে একটি অতি পরিচিত শব্দ হলো ‘বানচাল’। আরেকটু সুনির্দিষ্টভাবে বললে নির্বাচন প্রসঙ্গে এই শব্দটির ব্যবহার অধিক হারে পরিলক্ষিত হয়।
যেমন : ‘বিপক্ষ দল নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র আঁটছে’। কিন্তু এই বানচাল শব্দের মূল অর্থ কী? বাংলা ভাষায় এর আলংকারিক অর্থটির প্রবেশ কীভাবে ঘটলো। আজ জানবো বানচাল শব্দটির আদ্যোপান্ত।
‘বানচাল’ দেশি শব্দ। এটি বিশেষণ পদ। বান এবং চাল শব্দের সমন্বয়ে গঠিত শব্দটির আভিধানিক ও প্রচলিত অর্থ হলো পণ্ড বা বিপর্যস্ত, ভন্ডুল প্রভৃতি। বানচাল করা বা হওয়ার অর্থ হলো ভেস্তে যাওয়া, নষ্ট বা ওলটপালট করা, পণ্ড হওয়া প্রভৃতি। উল্লিখিত অর্থসমূহ আলংকারিক অর্থ। তাহলে এর আক্ষরিক অর্থ কী? চলুন জানি এর আক্ষরিক অর্থ।
‘বানচাল’ শব্দের বান শব্দটি এসেছে ‘বয়ন’ শব্দ থেকে। নৌকা নির্মাণের সময় একটি তক্তার সঙ্গে আরেকটি তক্তা জুড়ে এর ভিত্তিমূল তৈরি করা হয়। নৌকার তলদেশে আড়াআড়ি করে লাগানো কাঠের তক্তাসমূহের সন্ধি বা জোড়া দেওয়ার মুখটিকে বলা হয় ‘বান’। যে নৌকার বান যত শক্ত সেই নৌকা তত বেশি ঝুঁকিমুক্ত ও শক্তিশালী। আর ‘চাল’ শব্দটির অর্থ হলো আলগা বা শিথিল হওয়া।
সুতরাং আক্ষরিক অর্থে বানচাল শব্দের অর্থ দাঁড়ায় নৌকার তক্তার জোড়সমূহ ফাঁক বা আলগা হয়ে নৌকা ডুবে যাওয়া বা সলিলসমাধি ঘটা। মাঝনদীতে নৌকা বানচাল হলে একদিকে নৌকায় থাকা মূল্যবান সহায়সম্পদ যেমন ডুবে যায় তেমনি নৌকার মাঝিমাল্লারাও মাঝনদীতে ফেঁসে যান।বেশিরভাগে ক্ষেত্রে ঘটে প্রাণহানি। সুতরাং নৌকা বানচাল হওয়া মানে সামগ্রিকভাবে কোনোকিছু ভন্ডুল বা পণ্ড হওয়া।
নদীমাতৃক দেশ হিসেবে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রধানতম মাধ্যম ছিল নৌকা। সুতরাং মাঝনদীতে নৌকা বানচালের ঘটনা তখনকার সময়ে প্রায়শই ঘটত। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অধিবাসীদের ভাষিক সংশ্রয়ে তাই খুব সহজেই স্থান করে নেয় বানচাল শব্দটি।
অপরদিকে আধুনিককালে আমরা কারো কোনো উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা পণ্ড করে দেওয়াকে বলি বানচাল করা। সাম্প্রতিক সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ফলে আক্ষরিক অর্থে আর বানচাল শব্দটি ব্যবহৃত না হলেও আলংকারিক অর্থে এর প্রয়োগ লক্ষণীয়।
লেখক: আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে