ওয়েবে এসেই আলোচনায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২২, ০৬: ২৪

প্রিয়ন্তী উর্বী যে অভিনয়ে আসবেন, সেটা আগে থেকে একপ্রকার ঠিক হয়েই ছিল। তাঁর বাবা আইনজীবী, মা শিক্ষক, বোনেরাও উচ্চপদস্থ চাকরিজীবী। কিন্তু উর্বী এসব কিছুই হতে চাননি। সেই ক্লাস টু-থ্রি থেকে একটাই ইচ্ছা ছিল তাঁর—অভিনেত্রী হওয়া। উর্বী বলেন, ‘অভিনয় আর মডেলিংয়ের প্রতি এতই টান ছিল যে স্কুলবয়সেই নিজের নামের সঙ্গে প্রিয় অভিনেত্রীর নাম জুড়ে রেখেছিলাম—প্রিয়ন্তী ঐশ্বরিয়া রাই উর্বী।’

বলেই একটানা অনেকক্ষণ হাসলেন। হাসতে ভালোবাসেন উর্বী। শুটিংয়ে কারণে-অকারণে তাঁর হঠাৎ হেসে ওঠার সঙ্গে পরিচিত সবাই। নিজেকে সামলে নিয়ে উর্বী বললেন, ‘পরিবারের সবার চেয়ে আমি একদম আলাদা পথে হেঁটেছি। তবে আমার মা-বাবা কখনো কিছু চাপিয়ে দেননি। বলেননি, তুমিও বিসিএস ক্যাডার হও বা বড় চাকরি করো। তাঁরা আমার ইচ্ছাটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।’ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বড় হয়েছেন উর্বী। পরিবারের সঙ্গে সেখানেই থাকেন। ওখান থেকে রোজ উত্তরা-নিকেতনে শুটিংয়ে যেতে হয়। যাতায়াতের ধকলের কথা ভেবে মেয়েকে গাড়িও কিনে দিয়েছেন বাবা।

২০১৯ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চতুর্থ হয়েছিলেন উর্বী। পেয়েছিলেন ‘মিস ফেস অব বিউটি ইন্টারন্যাশনাল’ ক্রাউন। পরের বছর থেকে নিয়মিত বিজ্ঞাপনে কাজ শুরু করেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২০টি বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে উর্বীকে। গত বছর প্রথম অভিনয় করেন অনিরুদ্ধ রাসেলের ‘ভেজা বিড়াল’ নাটকে। এরপর আরও কিছু নাটকে কাজ করেছেন উর্বী। ‘স্বপ্নবাজী’ নামে একটি সিনেমার কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেটি থেমে গেছে মাঝপথে।

অভিনয় আর মডেলিংয়ের প্রতি এতই টান ছিল যে স্কুলবয়সেই নিজের নামের সঙ্গে প্রিয় অভিনেত্রীর নাম জুড়ে রেখেছিলাম—প্রিয়ন্তী ঐশ্বরিয়া রাই উর্বী। মামাকে (অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম) থিয়েটারে, টিভিতে দেখতাম। তিনি যখন আমাদের বাড়িতে আসতেন, লোকজন ফুল নিয়ে দেখা করতে আসত। এসব দেখে খুব ভালো লাগত আমার। —প্রিয়ন্তী উর্বী, অভিনেত্রী

তবে থামেননি উর্বী। হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে চলা উর্বী এবার আলোচনায় এসেছেন ‘এই মুহূর্তে’ অ্যান্থলজি সিনেমার ‘রূপবান’ গল্পে অভিনয় করে। গল্পটিতে এ সময়ের এক নারীর লড়াই দেখিয়েছেন নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন। কিছুদিন আগে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে ‘এই মুহূর্তে’। রূপবান হয়ে ভালোই প্রশংসা কুড়াচ্ছেন উর্বী। ওয়েবে এটি তাঁর প্রথম কাজ। অভিনেত্রী বলেন, ‘এ সিনেমার জন্য প্রায় তিন মাস ধরে আমার গ্রুমিং চলেছে। চরিত্রটি অফমুডের। তাই ওই সময়ে আমার হাসতে একেবারেই মানা ছিল। শুটিংয়ের সাত দিন ফোন ব্যবহারও ছিল নিষেধ। সব মিলিয়ে দারুণ এক অভিজ্ঞতা হয়েছে। গত কয়েক দিনে আমার মা-বাবা সিনেমাটি অনেকবার দেখেছেন।’

প্রশংসা পেয়েছেন বড় মামা অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিমের কাছ থেকেও। ছোটবেলায় মামাকে দেখেই প্রথম অভিনয়ের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। উর্বী বলেন, ‘মামাকে থিয়েটারে, টিভিতে দেখতাম। তিনি যখন আমাদের বাড়িতে আসতেন, লোকজন ফুল নিয়ে দেখা করতে আসত। এসব দেখে খুব ভালো লাগত আমার।’

প্রথম নাটকে অভিনয়ের পর মামা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেছিলেন, আরও ভালো করতে হবে। তবে ‘এই মুহূর্তে’ সিনেমায় অভিনয় করে মামার কাছ থেকে ফুল মার্কস পেয়েছেন। উর্বী তাই ভীষণ উচ্ছ্বসিত। উর্বী বলেন, ‘সামনে চরকিতে আমার আরেকটি বড় কাজ আসবে। শুটিংও হয়ে গেছে। নাটক কমিয়ে ওটিটি আর বিজ্ঞাপনেই রেগুলার হতে চাই। সব সময় ভালো কাজ দিয়ে দর্শকদের কাছাকাছি থাকার লক্ষ্য আমার।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড ভাঙল ১৪ বছর পর

৩ মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা

যানজটে গুলি করে ফেঁসে গেলেন জাপার সাবেক এমপি, অস্ত্রসহ আটক

শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি, কী ঘটেছিল সেখানে

এয়ারক্র্যাফটে স্বর্ণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত