নওগাঁর নিয়ামতপুরে শুভেচ্ছা ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। ভাবিচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক প্রতিদ্বন্দ্বী সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল ইসলামের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

গত রোববার বিকেল ৫টায় ভাবিচা গ্রামের নিমতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভাবিচা গ্রামের নিমতলা মোড়ে বিকেল ৫টার দিকে শরিফুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন একসঙ্গে তাঁর ব্যানার ও ফেস্টুন লাগাতে যান। এ সময় অতর্কিতভাবে ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক, ভাবিচা ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য তুষিদ সরকার ও তাঁর সঙ্গীরা ধাওয়া করেন। এরপর তাঁদের শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে পথরোধ করেন তাঁরা। সেখানে শরিফুল ইসলাম, ভাবিচা ইউপি ওয়ার্ড সদস্য জমসেদ ও কর্মী সাদেকুল ইসলামকে বেধড়ক পেটান ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর সঙ্গীরা। সেখানে শরিফুল ও জমসেদের দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেন তাঁরা। পরে তাঁদের নিয়ামতপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শরিফুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই ভাবিচা ইউপি ওয়ার্ড সদস্য জমসেদ বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নব্যাপী ব্যানার লাগানোর জন্য বের হই। কিন্তু আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালান বর্তমান ভাবিচা ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক ও ওয়ার্ড সদস্য তুষিদ সরকার ও তাঁর দল। হামলার সময় তাঁরা মারপিট করেন ও হুমকি দেন। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বলেন, ভাবিচাতে ব্যানার লাগাতে গেলে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে শরিফুল ইসলামদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ অবস্থায় তিনি ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের স্থানীয় জনগণ ধাওয়া করেন।

ওবায়দুল হক আরও বলেন, স্থানীয়রা তাঁদের ধাওয়া করে শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামে পথরোধ করেন। মারপিটের ঘটনা ঘটলে তিনি সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের ছত্রভঙ্গ করে দেন ও তাঁদের নিয়ে আসেন।

নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।