জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় এবার ২০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ পরেই পূজা। এর উদযাপনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই প্রতিমা শিল্পীদের নির্ঘুম রাত কাটছে।

উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে ঘুরে দেখা যায়, শিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। মাটি দিয়ে দেবীর অবয়ব নির্মাণ করছেন কারিগরেরা। পাশাপাশি চলছে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের প্রতিমা তৈরির কাজ।

রাখাল চন্দ্র মালাকার নামের এক কারিগর বলেন, ‘আমি শেরপুর থেকে এখানে কাজ করতে এসেছি। গত বছর করোনার কারণে আমাদের কাজ কম ছিল। তাই আয়ও কম হয়েছে। কিন্তু এ বছর প্রতিমা বেশি বানাচ্ছি। গত বছরের চেয়ে ইনকামটা এবার ভালো হবে। তাই আমরা খুশি।’

প্রতিমার কারিগর সুমন কুমার দেবনাথ বলেন, ‘কাজ প্রায় শেষের দিকে। তবুও ব্যস্ততায় সময় কাটছে আমাদের।’ গণেশ পাল নামের এক শিল্পী বলেন, ‘এবার আমি দুই জায়গায় কাজ করছি। গত বছর তেমন কাজ ছিল না। এবার কাজের চাপ বেশি। তাই রাতদিন কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু এবার প্রতিমা তৈরির সব মালামালের দাম দ্বিগুণ।’

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় এবার ২০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। তাঁদের এ ধর্মীয় উৎসব সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখবে।