রিমন রহমান, রাজশাহী
বিদ্যালয়ে এসি না থাকায় রাজশাহীর গ্রামের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম এগোচ্ছে না। শহরের স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এসি পাওয়া গেলেও গ্রামে নেই। ফলে গ্রামের শিক্ষার্থীদের উপজেলা সদরে ডেকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এভাবে রাজশাহীর পবা ও দুর্গাপুর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। অন্য সাত উপজেলায় এখনো টিকা প্রয়োগ শুরুই হয়নি। জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনায় মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট উচ্চবিদ্যালয়ে নতুন একটি এসি কেনা হয়েছে। কিন্তু এখনো এসিটি প্রতিস্থাপন করা না হওয়ায় টিকা প্রয়োগ শুরু হয়নি।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শেষ করতে হবে। রাজশাহী শহরের স্কুলগুলোতে এক মাস আগেই টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। প্রথম ডোজের পর শহরে দ্বিতীয় ডোজও ইতিমধ্যে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু এসি সংকটে সব উপজেলায় এখনো টিকা প্রয়োগ শুরু হয়নি।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা প্রয়োগের আগে তরল ভ্যাকসিনের সঙ্গে পাউডার জাতীয় ওষুধ মিশিয়ে নিতে হয়। আর এটি করতে হয় এসি কক্ষে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) এভাবেই নির্দেশনা দেওয়া আছে।
গতকাল শনিবার সকালে মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক রাজশাহী নগরীর রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার উদ্বোধন করেন। তখন তিনি বলেন, সারা দেশের জেলা-উপজেলায় শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এসি কক্ষে এই টিকা প্রয়োগ করতে হবে। যেখানে এসি নেই, সেখানকার শিক্ষার্থীরা অন্য কোনো স্থানে গিয়ে টিকা নেবে। শিক্ষা অফিস এর ব্যবস্থা করবে।
বাঘা উপজেলার কালিদাসখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক জানান, বাঘা উচ্চবিদ্যালয়ে এসি আছে। সেখানে ১১ তারিখ থেকে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। তিনি তাঁর স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই স্কুলে টিকা নিতে যাবেন।
দুর্গাপুরের আমগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তসলিম উদ্দীন জানান, তাঁর স্কুলেও এসি নেই। তাই উপজেলা পরিষদের অফিসার্স ক্লাবে গিয়ে তিনি দুই দিনে ২৫৮ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়ে এনেছেন।
পবার বাগসারা উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, তাঁর স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে হবে উপজেলা পরিষদে। স্কুলে এসি থাকলে স্কুলেই শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে পারত। এসি না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়ছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. নাসির উদ্দীন বলেন, গ্রামের স্কুলগুলোতে এসি না থাকার কারণে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমে গতি আনা যাচ্ছে না। পবা ও দুর্গাপুর উপজেলা সদরে টিকা প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য উপজেলাগুলোতেও এভাবেই শুরু করতে হবে। এর মধ্যে মোহনপুর উপজেলার এক স্কুলে নতুন করে এসি কেনা হয়েছে। প্রতিস্থাপন না হওয়ায় টিকা প্রয়োগ শুরু হয়নি।
তবে শহরে জোরেশোরেই টিকা প্রয়োগ চলছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম। নগরীর রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম দেখতে গিয়ে তিনি জানান, মাউশির ব্যবস্থাপনায় তাঁরা স্কুলে স্কুলেই টিকা দিচ্ছেন। এরই মধ্যে শহরের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ৩২ হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছে। বাকিদের দ্বিতীয় ডোজও গ্রহণ করা হয়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টিকা কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।
বিদ্যালয়ে এসি না থাকায় রাজশাহীর গ্রামের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম এগোচ্ছে না। শহরের স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এসি পাওয়া গেলেও গ্রামে নেই। ফলে গ্রামের শিক্ষার্থীদের উপজেলা সদরে ডেকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এভাবে রাজশাহীর পবা ও দুর্গাপুর উপজেলায় শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। অন্য সাত উপজেলায় এখনো টিকা প্রয়োগ শুরুই হয়নি। জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনায় মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট উচ্চবিদ্যালয়ে নতুন একটি এসি কেনা হয়েছে। কিন্তু এখনো এসিটি প্রতিস্থাপন করা না হওয়ায় টিকা প্রয়োগ শুরু হয়নি।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শেষ করতে হবে। রাজশাহী শহরের স্কুলগুলোতে এক মাস আগেই টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। প্রথম ডোজের পর শহরে দ্বিতীয় ডোজও ইতিমধ্যে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু এসি সংকটে সব উপজেলায় এখনো টিকা প্রয়োগ শুরু হয়নি।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা প্রয়োগের আগে তরল ভ্যাকসিনের সঙ্গে পাউডার জাতীয় ওষুধ মিশিয়ে নিতে হয়। আর এটি করতে হয় এসি কক্ষে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) এভাবেই নির্দেশনা দেওয়া আছে।
গতকাল শনিবার সকালে মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক রাজশাহী নগরীর রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার উদ্বোধন করেন। তখন তিনি বলেন, সারা দেশের জেলা-উপজেলায় শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এসি কক্ষে এই টিকা প্রয়োগ করতে হবে। যেখানে এসি নেই, সেখানকার শিক্ষার্থীরা অন্য কোনো স্থানে গিয়ে টিকা নেবে। শিক্ষা অফিস এর ব্যবস্থা করবে।
বাঘা উপজেলার কালিদাসখালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক জানান, বাঘা উচ্চবিদ্যালয়ে এসি আছে। সেখানে ১১ তারিখ থেকে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। তিনি তাঁর স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই স্কুলে টিকা নিতে যাবেন।
দুর্গাপুরের আমগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তসলিম উদ্দীন জানান, তাঁর স্কুলেও এসি নেই। তাই উপজেলা পরিষদের অফিসার্স ক্লাবে গিয়ে তিনি দুই দিনে ২৫৮ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়ে এনেছেন।
পবার বাগসারা উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, তাঁর স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে হবে উপজেলা পরিষদে। স্কুলে এসি থাকলে স্কুলেই শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে পারত। এসি না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়ছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. নাসির উদ্দীন বলেন, গ্রামের স্কুলগুলোতে এসি না থাকার কারণে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমে গতি আনা যাচ্ছে না। পবা ও দুর্গাপুর উপজেলা সদরে টিকা প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য উপজেলাগুলোতেও এভাবেই শুরু করতে হবে। এর মধ্যে মোহনপুর উপজেলার এক স্কুলে নতুন করে এসি কেনা হয়েছে। প্রতিস্থাপন না হওয়ায় টিকা প্রয়োগ শুরু হয়নি।
তবে শহরে জোরেশোরেই টিকা প্রয়োগ চলছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম। নগরীর রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম দেখতে গিয়ে তিনি জানান, মাউশির ব্যবস্থাপনায় তাঁরা স্কুলে স্কুলেই টিকা দিচ্ছেন। এরই মধ্যে শহরের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পড়ুয়া ৩২ হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছে। বাকিদের দ্বিতীয় ডোজও গ্রহণ করা হয়ে গেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টিকা কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৩ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৫ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে