মারুফুল হক
সংকট শুধু স্ট্রাইকারদের নিয়ে না; সব জায়গায় একই অবস্থা। স্ট্রাইকারদের বেশি চোখে পড়ে এই জন্য যে ওরা ফিনিশিং জোনে থাকে। পুরো দেশের ফুটবলের চিত্রই এটা।
আবাহনী-মোহামেডান ফাইনালে সুলেমান দিয়েবাতের গোলের উৎসগুলো যদি দেখেন, ওখানে চার গোলের দুটির উৎস বিদেশি ফুটবলার। চারটির উৎসই কেন স্থানীয়রা হলো না? দিয়েবাতের প্রথম গোলটা দেখুন। দুজন ডিফেন্ডার তার মার্কিংয়ে ছিল। একজনের মার্কিং ছেড়ে দিয়াবাতে বেরিয়ে গেল। এখানে একজন স্থানীয় ডিফেন্ডার। দেশের পুরো ফুটবলের মানই পড়ে গেছে। স্ট্রাইকারদের মান আরও পড়ে গেছে। বেশির ভাগ ক্লাব বিদেশি ফরোয়ার্ডদের ওপর বেশি আস্থা রাখে। স্থানীয়দের অতটা প্রাধান্য দেওয়া হয় না। সে মানের স্থানীয় স্ট্রাইকারও নেই।
আমাদের ইয়ুথ লেভেল, যেখান থেকে গ্রুমিং হয়, ওখানেই গলদ আছে। খেলোয়াড়দের টেকনিক্যাল-ট্যাকটিক্যালি শক্ত বানাতে পারছি না। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের যে দুই-তিনজন স্ট্রাইকার আছে, শারীরিক গঠন ঠিক আছে। কিন্তু টেকনিকে অনেক সমস্যা। তাদের ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্ট্রাইকার। খুব কাছ থেকে তাদের দেখেছি, কৌশল ও দক্ষতায় তাদের সেই সামর্থ্য নেই।
একজন স্ট্রাইকার যখন এ সমস্যা নিয়ে আরও সামনে যাবে, তত দিনে তাকে আর বহন করা সম্ভব হবে না। কারণ, শেখার বয়স সে পার করে ফেলবে। গোড়ায় গলদ, আর কিছু না। সর্বশেষ জাতীয় দলের ভালো স্ট্রাইকার ছিল জাহিদ হাসান এমিলি আর এনামুল। তারা দক্ষতা আর কৌশলে যথেষ্ট ভালো ছিল। এমিলি গড়পড়তা উচ্চতা নিয়েও আন্তর্জাতিক ফুটবলে অনেক গোল করেছে। সে ঘরোয়া ফুটবলে যে দলে খেলেছে, সেখানে বিদেশি স্ট্রাইকারও ছিল। তবু এমিলিকে মাঠে সুযোগ দিতে হয়েছে। এনামুলকে একইভাবে সুযোগ দিতে হয়েছে। আলফাজ আহমেদও বিদেশি স্ট্রাইকারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গোল করেছে।
আমাদের আসলে ভালো মানের ফুটবলার আসছে না। ক্লাব ফুটবলের কোচরা যে পর্যাপ্ত সুযোগ দিচ্ছে না বা তাদের ইচ্ছে করে এড়িয়ে যাচ্ছে, এমন কিছু না। আমাদের ভালো মানের স্ট্রাইকার আসছে না। টেকনিক্যালি-ট্যাকটিক্যালি অনেক ঘাটতি আছে তাদের। শারীরিক বিষয় যদি বাদ দেন, উঠতি স্ট্রাইকাররা টার্নিংয়ের সঙ্গে পরিচিত নয়। স্ট্রাইকাররা যখন বল পায় তখন তাদের ফেস থাকে নিজেদের রক্ষণভাগের দিকে। কিন্তু তাকে ফিনিশিং দিতে হয় ঠিক উল্টো দিকে। এখানে টার্নিংয়ে দক্ষ হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফার্স্ট টাচে খুব দুর্বল। একজন স্ট্রাইকারকে দুই-তিনজন ডিফেন্ডারের মাঝে বলটা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সেখানেও তারা দুর্বল। ১০টার মধ্যে ১টা ফার্স্ট টাচে যদি ভালো হয়, সেটা যখন শুট করে অন টার্গেটে থাকে না। দক্ষতা-কৌশলে কতটা পিছিয়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
স্ট্রাইকার সংকট কাটিয়ে উঠতে আমি একবার ‘১৯ এইচপি (হাইপারফরম্যান্স)’ নামের একটা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ‘১’ মানে গোলরক্ষক আর ‘৯’ মানে স্ট্রাইকার। দুঃখের বিষয়, মাত্র একজন নিবন্ধন করেছিল এটির জন্য। কেন তারা আগ্রহী হবে? ক্লাবে বসে থেকেই ৪০-৫০ লাখ টাকা পাচ্ছে। তার আর শেখার কী আছে! আসলে দেশের ফুটবলে সামনে আরও দুর্দিন অপেক্ষা করছে।
লেখক: সাবেক কোচ, বাংলাদেশ জাতীয় দল
সংকট শুধু স্ট্রাইকারদের নিয়ে না; সব জায়গায় একই অবস্থা। স্ট্রাইকারদের বেশি চোখে পড়ে এই জন্য যে ওরা ফিনিশিং জোনে থাকে। পুরো দেশের ফুটবলের চিত্রই এটা।
আবাহনী-মোহামেডান ফাইনালে সুলেমান দিয়েবাতের গোলের উৎসগুলো যদি দেখেন, ওখানে চার গোলের দুটির উৎস বিদেশি ফুটবলার। চারটির উৎসই কেন স্থানীয়রা হলো না? দিয়েবাতের প্রথম গোলটা দেখুন। দুজন ডিফেন্ডার তার মার্কিংয়ে ছিল। একজনের মার্কিং ছেড়ে দিয়াবাতে বেরিয়ে গেল। এখানে একজন স্থানীয় ডিফেন্ডার। দেশের পুরো ফুটবলের মানই পড়ে গেছে। স্ট্রাইকারদের মান আরও পড়ে গেছে। বেশির ভাগ ক্লাব বিদেশি ফরোয়ার্ডদের ওপর বেশি আস্থা রাখে। স্থানীয়দের অতটা প্রাধান্য দেওয়া হয় না। সে মানের স্থানীয় স্ট্রাইকারও নেই।
আমাদের ইয়ুথ লেভেল, যেখান থেকে গ্রুমিং হয়, ওখানেই গলদ আছে। খেলোয়াড়দের টেকনিক্যাল-ট্যাকটিক্যালি শক্ত বানাতে পারছি না। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের যে দুই-তিনজন স্ট্রাইকার আছে, শারীরিক গঠন ঠিক আছে। কিন্তু টেকনিকে অনেক সমস্যা। তাদের ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের স্ট্রাইকার। খুব কাছ থেকে তাদের দেখেছি, কৌশল ও দক্ষতায় তাদের সেই সামর্থ্য নেই।
একজন স্ট্রাইকার যখন এ সমস্যা নিয়ে আরও সামনে যাবে, তত দিনে তাকে আর বহন করা সম্ভব হবে না। কারণ, শেখার বয়স সে পার করে ফেলবে। গোড়ায় গলদ, আর কিছু না। সর্বশেষ জাতীয় দলের ভালো স্ট্রাইকার ছিল জাহিদ হাসান এমিলি আর এনামুল। তারা দক্ষতা আর কৌশলে যথেষ্ট ভালো ছিল। এমিলি গড়পড়তা উচ্চতা নিয়েও আন্তর্জাতিক ফুটবলে অনেক গোল করেছে। সে ঘরোয়া ফুটবলে যে দলে খেলেছে, সেখানে বিদেশি স্ট্রাইকারও ছিল। তবু এমিলিকে মাঠে সুযোগ দিতে হয়েছে। এনামুলকে একইভাবে সুযোগ দিতে হয়েছে। আলফাজ আহমেদও বিদেশি স্ট্রাইকারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গোল করেছে।
আমাদের আসলে ভালো মানের ফুটবলার আসছে না। ক্লাব ফুটবলের কোচরা যে পর্যাপ্ত সুযোগ দিচ্ছে না বা তাদের ইচ্ছে করে এড়িয়ে যাচ্ছে, এমন কিছু না। আমাদের ভালো মানের স্ট্রাইকার আসছে না। টেকনিক্যালি-ট্যাকটিক্যালি অনেক ঘাটতি আছে তাদের। শারীরিক বিষয় যদি বাদ দেন, উঠতি স্ট্রাইকাররা টার্নিংয়ের সঙ্গে পরিচিত নয়। স্ট্রাইকাররা যখন বল পায় তখন তাদের ফেস থাকে নিজেদের রক্ষণভাগের দিকে। কিন্তু তাকে ফিনিশিং দিতে হয় ঠিক উল্টো দিকে। এখানে টার্নিংয়ে দক্ষ হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফার্স্ট টাচে খুব দুর্বল। একজন স্ট্রাইকারকে দুই-তিনজন ডিফেন্ডারের মাঝে বলটা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সেখানেও তারা দুর্বল। ১০টার মধ্যে ১টা ফার্স্ট টাচে যদি ভালো হয়, সেটা যখন শুট করে অন টার্গেটে থাকে না। দক্ষতা-কৌশলে কতটা পিছিয়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
স্ট্রাইকার সংকট কাটিয়ে উঠতে আমি একবার ‘১৯ এইচপি (হাইপারফরম্যান্স)’ নামের একটা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ‘১’ মানে গোলরক্ষক আর ‘৯’ মানে স্ট্রাইকার। দুঃখের বিষয়, মাত্র একজন নিবন্ধন করেছিল এটির জন্য। কেন তারা আগ্রহী হবে? ক্লাবে বসে থেকেই ৪০-৫০ লাখ টাকা পাচ্ছে। তার আর শেখার কী আছে! আসলে দেশের ফুটবলে সামনে আরও দুর্দিন অপেক্ষা করছে।
লেখক: সাবেক কোচ, বাংলাদেশ জাতীয় দল
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে