নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
বিএনপির সঙ্গে জোটের অন্যতম প্রধান মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না গত বেশ কয়েক বছর। সম্প্রতি জামায়াতের আমিরের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর জোট ও শরিকদের সঙ্গে দলটির সম্পর্কের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও বিএনপিসহ জোটের অনেকেই মনে করছেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি ও জোটের সম্পর্কের অনানুষ্ঠানিক ইতি ঘটেছে।
কয়েক মাস আগে জামায়াতের এক ঘরোয়া সভায় দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এত দিন একটা জোটের সঙ্গে ছিলাম। আপনারা ছিলাম শুনে হয়তো ভাবছেন, কিছু হয়ে গেল কি না। হাঁ, হয়ে গেছে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এটি দেশের জন্য একটি উপকারী জোট ছিল। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এই জোট তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এবং সেদিন বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। তা আর ফিরে আসেনি। আমরা বহু চিন্তা করে দেখেছি, এরপর থেকে এই জোট বাংলাদেশের জন্য আর উপকারী কিছু নয়। এই জোটের সঙ্গে বিভিন্ন দল যারা আছেন, বিশেষ করে প্রধান দল (বিএনপি), এই জোটকে কার্যকর করার কোনো চিন্তা নাই। বিষয়টা আমাদের কাছে স্পষ্ট দিবালোকের মতো।’
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের একেবারে শেষ দিকে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে মহাজোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ বাধে। এতে হামলায় জামায়াতের ছয়জন নিহত হন। আহত হন অনেকে।
বিএনপির সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে শফিকুর রহমান ওই সভায় বলেন, জোট নিয়ে বিএনপির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং বিএনপি ঐকমত্য পোষণ করেছে যে, তারা আর কোনো জোট করবে না।
জামায়াতের এই অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান গতকাল রোববার বলেন, জামায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। এখন পর্যন্ত ২০ দলীয় জোট আছে। কেউ চলে যায়নি।
জোটের প্রধান দুই শরিকের মধ্যে সম্পর্ক যে দীর্ঘ দিন ধরে ভালো যাচ্ছে না সেটা উঠে এসেছে অন্যতম শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের কথায়। ২০ দলীয় জোটের ভবিষ্যৎ দুই দলের ওপর নির্ভর করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতের আমির যা বলেছেন তা অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য। অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য হলেও এটা গুরুত্ব বহন করে। তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের শীতল সম্পর্কের কারণে ২০ দলীয় জোটের কর্মকাণ্ড স্তিমিত ছিল। এখন অপেক্ষার পালা প্রধান শরিক বিএনপি জোটটিকে কোন পথে নিয়ে যান।
বর্তমানে ২০ দলীয় জোট নেই বলেই মনে করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) একাংশের মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের নেতৃবৃন্দ নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে জোটভুক্ত সংগঠনগুলোর সবার সঙ্গেই আলোচনা করেছেন। যার যার অবস্থান থেকে যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএনপি ইতিমধ্যেই আলাদা কর্মসূচি নিচ্ছে। তিনি বলেন, জোটভুক্ত ও জোটের বাইরে সমমনা দলগুলোর লক্ষ্য হলো বর্তমান সরকারের পতন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।
জামায়াতের আমিরের বরাত দিয়ে এমন খবর এক ধরনের দ্বিধা বা ধোঁয়াশা তৈরি করেছে বলে করেন জোটের প্রভাবশালী শরিক ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব। তিনি বলেন, ‘জামায়াত তো ২০ দলের সঙ্গে ছিল, আছে, এটাই আমরা জানি। এখন তারা যদি ছাড়ে তাহলে তাদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না পেয়ে এটা নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তারা কী কারণে জোট ছাড়বে, সেটা তো স্পষ্ট নয়। আবার অতীতে তাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে যাওয়ার নজির আছে।’
২০ দলীয় জোটের আরেক শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, জামায়াত আসলেই জোট ছেড়েছে কিনা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। জামায়াত তো একটা শক্তিশালী দল। জোট থেকে যদি চলে যায় তাহলে ক্ষতি হবেই।
জোটবদ্ধ থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে মোটামুটি সংলাপ হয়েছে। সবাই এক সঙ্গে আছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকা না থাকা নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে জামায়াতের পক্ষ থেকেই তা জানানো হবে। তিনি বলেন, জোট এখনো আছে। তবে জোটবদ্ধ আন্দোলন নয়, দুই দলের পক্ষ থেকেই যুগপৎ আন্দোলন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপির সঙ্গে জোটের অন্যতম প্রধান মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না গত বেশ কয়েক বছর। সম্প্রতি জামায়াতের আমিরের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর জোট ও শরিকদের সঙ্গে দলটির সম্পর্কের বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। প্রকাশ্যে কেউ কিছু না বললেও বিএনপিসহ জোটের অনেকেই মনে করছেন, জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি ও জোটের সম্পর্কের অনানুষ্ঠানিক ইতি ঘটেছে।
কয়েক মাস আগে জামায়াতের এক ঘরোয়া সভায় দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা এত দিন একটা জোটের সঙ্গে ছিলাম। আপনারা ছিলাম শুনে হয়তো ভাবছেন, কিছু হয়ে গেল কি না। হাঁ, হয়ে গেছে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এটি দেশের জন্য একটি উপকারী জোট ছিল। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এই জোট তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এবং সেদিন বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। তা আর ফিরে আসেনি। আমরা বহু চিন্তা করে দেখেছি, এরপর থেকে এই জোট বাংলাদেশের জন্য আর উপকারী কিছু নয়। এই জোটের সঙ্গে বিভিন্ন দল যারা আছেন, বিশেষ করে প্রধান দল (বিএনপি), এই জোটকে কার্যকর করার কোনো চিন্তা নাই। বিষয়টা আমাদের কাছে স্পষ্ট দিবালোকের মতো।’
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের একেবারে শেষ দিকে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে মহাজোটের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জামায়াতের সংঘর্ষ বাধে। এতে হামলায় জামায়াতের ছয়জন নিহত হন। আহত হন অনেকে।
বিএনপির সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে শফিকুর রহমান ওই সভায় বলেন, জোট নিয়ে বিএনপির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে এবং বিএনপি ঐকমত্য পোষণ করেছে যে, তারা আর কোনো জোট করবে না।
জামায়াতের এই অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান গতকাল রোববার বলেন, জামায়াত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। এখন পর্যন্ত ২০ দলীয় জোট আছে। কেউ চলে যায়নি।
জোটের প্রধান দুই শরিকের মধ্যে সম্পর্ক যে দীর্ঘ দিন ধরে ভালো যাচ্ছে না সেটা উঠে এসেছে অন্যতম শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের কথায়। ২০ দলীয় জোটের ভবিষ্যৎ দুই দলের ওপর নির্ভর করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতের আমির যা বলেছেন তা অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য। অনানুষ্ঠানিক বক্তব্য হলেও এটা গুরুত্ব বহন করে। তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের শীতল সম্পর্কের কারণে ২০ দলীয় জোটের কর্মকাণ্ড স্তিমিত ছিল। এখন অপেক্ষার পালা প্রধান শরিক বিএনপি জোটটিকে কোন পথে নিয়ে যান।
বর্তমানে ২০ দলীয় জোট নেই বলেই মনে করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) একাংশের মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের নেতৃবৃন্দ নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে জোটভুক্ত সংগঠনগুলোর সবার সঙ্গেই আলোচনা করেছেন। যার যার অবস্থান থেকে যুগপৎ আন্দোলনের ব্যাপারে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএনপি ইতিমধ্যেই আলাদা কর্মসূচি নিচ্ছে। তিনি বলেন, জোটভুক্ত ও জোটের বাইরে সমমনা দলগুলোর লক্ষ্য হলো বর্তমান সরকারের পতন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।
জামায়াতের আমিরের বরাত দিয়ে এমন খবর এক ধরনের দ্বিধা বা ধোঁয়াশা তৈরি করেছে বলে করেন জোটের প্রভাবশালী শরিক ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব। তিনি বলেন, ‘জামায়াত তো ২০ দলের সঙ্গে ছিল, আছে, এটাই আমরা জানি। এখন তারা যদি ছাড়ে তাহলে তাদের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না পেয়ে এটা নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তারা কী কারণে জোট ছাড়বে, সেটা তো স্পষ্ট নয়। আবার অতীতে তাদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে যাওয়ার নজির আছে।’
২০ দলীয় জোটের আরেক শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, জামায়াত আসলেই জোট ছেড়েছে কিনা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। জামায়াত তো একটা শক্তিশালী দল। জোট থেকে যদি চলে যায় তাহলে ক্ষতি হবেই।
জোটবদ্ধ থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে মোটামুটি সংলাপ হয়েছে। সবাই এক সঙ্গে আছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, বিএনপির সঙ্গে জোটে থাকা না থাকা নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে জামায়াতের পক্ষ থেকেই তা জানানো হবে। তিনি বলেন, জোট এখনো আছে। তবে জোটবদ্ধ আন্দোলন নয়, দুই দলের পক্ষ থেকেই যুগপৎ আন্দোলন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে