ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
করোনার মধ্যে ৪৭৫ টাকা মজুরি চুক্তিতে কাজ করে ৩০০ টাকা করে পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ঝিকরগাছা উপজেলা আনসার- ভিডিপির সদস্যরা। গতকাল তাঁদের ৩০০ টাকা হারে মজুরির টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
আনসার-ভিডিপির সদস্যরা জানিয়েছেন, করোনার মধ্যে ৪৭৫ টাকা প্রতিদিন মজুরি চুক্তিতে কোয়ারেন্টাইন, মহাসড়ক ও হাট-বাজারে রাতদিন ঝুঁকির মধ্যে কাজ করানো হয়। এ সময় তাঁদের মজুরির মাস্টার রুলে ৪৭৫ টাকা করে স্বাক্ষর করে নেওয়া হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে চুক্তি অনুযায়ী টাকা পেয়েছেন তাঁরা। তবে শেষের আড়াই মাসে তৃতীয় পর্বে ৪৭৫ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
আনসার-ভিডিপি সদস্য পৌর সদরের কাটাখাল এলাকার রেহেনা খাতুন বলেন, ‘করোনার সময় দুই মাস ১১ দিন কাজ করেছি। প্রতিদিন ৪৭৫ টাকা করে মাস্টার রুলে সে সময়ে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল। আজকে (মঙ্গলবার) টাকা দেওয়া হলো দিনে ৩০০ টাকা করে।’
একই এলাকার রিনা খাতুন বলেন, ‘স্যারেরা ৩০০ টাকা করে দিয়ে বলছেন, আর কোনো টাকা পাব না।’
রেহেনা খাতুনের ছেলে সম্রাট হোসেন বলেন, ‘একই চুক্তিতে আমি ২১ দিন ডিউটি করি। আমাকে ৩০০ টাকা করে ১০ দিনের টাকা দেওয়া হয়েছে। আর টাকা পাব না বলে জানিয়েছেন অফিসারেরা।’
উপজেলার ফুলবাড়ীয়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘৪৭৫ টাকা চুক্তিতে এক মাস ৫ দিন কাজ করেছি। টাকা পেলাম ৩০০ টাকা করে।’
নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘১৫ দিন কাজ করে টাকা পেলাম ১০ দিনের। খাতায় আছে নাকি ১০ দিন কাজ করেছি। গরিবের টাকা মেরে কি লাভ? আমরা এর বিচার চাই।’ উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের ফারুক হোসেনও একই অভিযোগ করেন।
অবশ্য এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার পর রেহেনা খাতুন ও রিনা খাতুনকে ডেকে নিয়ে আরও ২৬০০ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দুজনে বলেন, পরে অফিসের টিআই জাকির হোসেন আমাদের অফিসে ডেকে নিয়ে একটি সাদা কাগজে সই রেখে আরও ২৬০০ করে টাকা দিয়েছেন।’
আনসার ভিডিপির সদস্যরা জানান, আগে যে দুবার মজুরির টাকা ইউএনও কার্যালয়ের মাধ্যমে পেয়েছি, সে দুবারই চুক্তি অনুযায়ী ৪৭৫ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল।
উপজেলা প্রশিক্ষক আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘মজুরি দেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। জেলা কমান্ড্যান্ট এসে নিজে হাতে টাকা দিয়েছেন, আমার কিছুই করার নেই।’
জেলা কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, ‘সে সময় ৪৭৫ টাকা করে চুক্তি করা হয়েছিল ঠিক। সে মোতাবেক আমরা ঝিকরগাছা, শার্শা ও সদর উপজেলার বিল করে ডিসি অফিসে ২৭ লাখ টাকার চাহিদা পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু দীর্ঘদিন পর ১৫ লাখ টাকা পেয়েছি। এই টাকা থেকে তাঁদের টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে হয়তো আর টাকা পাওয়া যাবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘প্রথম দিকে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের মজুরি বাবদ বাজেট ছিল। আমরা চুক্তি অনুযায়ী তাঁদের মজুরি পরিশোধ করে দিয়েছি। আমাদের বাজেট শেষ হলে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে কী হয়েছে জানি না।’
করোনার মধ্যে ৪৭৫ টাকা মজুরি চুক্তিতে কাজ করে ৩০০ টাকা করে পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ঝিকরগাছা উপজেলা আনসার- ভিডিপির সদস্যরা। গতকাল তাঁদের ৩০০ টাকা হারে মজুরির টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
আনসার-ভিডিপির সদস্যরা জানিয়েছেন, করোনার মধ্যে ৪৭৫ টাকা প্রতিদিন মজুরি চুক্তিতে কোয়ারেন্টাইন, মহাসড়ক ও হাট-বাজারে রাতদিন ঝুঁকির মধ্যে কাজ করানো হয়। এ সময় তাঁদের মজুরির মাস্টার রুলে ৪৭৫ টাকা করে স্বাক্ষর করে নেওয়া হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে চুক্তি অনুযায়ী টাকা পেয়েছেন তাঁরা। তবে শেষের আড়াই মাসে তৃতীয় পর্বে ৪৭৫ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
আনসার-ভিডিপি সদস্য পৌর সদরের কাটাখাল এলাকার রেহেনা খাতুন বলেন, ‘করোনার সময় দুই মাস ১১ দিন কাজ করেছি। প্রতিদিন ৪৭৫ টাকা করে মাস্টার রুলে সে সময়ে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল। আজকে (মঙ্গলবার) টাকা দেওয়া হলো দিনে ৩০০ টাকা করে।’
একই এলাকার রিনা খাতুন বলেন, ‘স্যারেরা ৩০০ টাকা করে দিয়ে বলছেন, আর কোনো টাকা পাব না।’
রেহেনা খাতুনের ছেলে সম্রাট হোসেন বলেন, ‘একই চুক্তিতে আমি ২১ দিন ডিউটি করি। আমাকে ৩০০ টাকা করে ১০ দিনের টাকা দেওয়া হয়েছে। আর টাকা পাব না বলে জানিয়েছেন অফিসারেরা।’
উপজেলার ফুলবাড়ীয়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘৪৭৫ টাকা চুক্তিতে এক মাস ৫ দিন কাজ করেছি। টাকা পেলাম ৩০০ টাকা করে।’
নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘১৫ দিন কাজ করে টাকা পেলাম ১০ দিনের। খাতায় আছে নাকি ১০ দিন কাজ করেছি। গরিবের টাকা মেরে কি লাভ? আমরা এর বিচার চাই।’ উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের ফারুক হোসেনও একই অভিযোগ করেন।
অবশ্য এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার পর রেহেনা খাতুন ও রিনা খাতুনকে ডেকে নিয়ে আরও ২৬০০ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দুজনে বলেন, পরে অফিসের টিআই জাকির হোসেন আমাদের অফিসে ডেকে নিয়ে একটি সাদা কাগজে সই রেখে আরও ২৬০০ করে টাকা দিয়েছেন।’
আনসার ভিডিপির সদস্যরা জানান, আগে যে দুবার মজুরির টাকা ইউএনও কার্যালয়ের মাধ্যমে পেয়েছি, সে দুবারই চুক্তি অনুযায়ী ৪৭৫ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল।
উপজেলা প্রশিক্ষক আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘মজুরি দেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। জেলা কমান্ড্যান্ট এসে নিজে হাতে টাকা দিয়েছেন, আমার কিছুই করার নেই।’
জেলা কমান্ড্যান্ট সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, ‘সে সময় ৪৭৫ টাকা করে চুক্তি করা হয়েছিল ঠিক। সে মোতাবেক আমরা ঝিকরগাছা, শার্শা ও সদর উপজেলার বিল করে ডিসি অফিসে ২৭ লাখ টাকার চাহিদা পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু দীর্ঘদিন পর ১৫ লাখ টাকা পেয়েছি। এই টাকা থেকে তাঁদের টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে হয়তো আর টাকা পাওয়া যাবে না।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ‘প্রথম দিকে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের মজুরি বাবদ বাজেট ছিল। আমরা চুক্তি অনুযায়ী তাঁদের মজুরি পরিশোধ করে দিয়েছি। আমাদের বাজেট শেষ হলে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়। পরে কী হয়েছে জানি না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে