সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের প্রান্তিক কৃষকেরা খেসারি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। খেসারি চাষে এখন আর তেমন লাভ দেখছেন না। এ কারণে তাঁরা অন্যান্য ফসল চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়নের তোফায়েল আহম্মদ এক একর জমিতে খেসারির চাষ করেছেন। খেতের খেসারি ডাল খড়ের পরিবর্তে গরুর খাদ্য হিসেবে খাওয়াচ্ছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, খড়ের দামের চেয়ে খেসারির ডালের খেত সস্তা। তাই গরুর খাদ্য হিসেবে ডালগাছ ব্যবহার করছেন। এ জন্য তারা খেসারি ডাল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
এ ছাড়া চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের কৃষক মো. মোস্তফা, চরক্লার্ক ইউনিয়নের মো. নূর হোসেন, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মো. সোলাইমান, চর ওয়াপদা ইউনিয়নের মো. সামছুদ্দিনসহ অনেক কৃষক বলেন, আগে তাঁরা কয়েক একর জমিতে খেসারির চাষ করেছেন। কিন্তু এখন সয়াবিন আর বোরো ধানের আবাদে তাঁরা ব্যস্ত।
সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের কৃষক মো. মোস্তফা বলেন, খেসারি ডাল চাষে তেমন একটা যত্নও করতে হয় না। খরচও তেমন বেশি না। কিন্তু এই ফসল থেকে লাভ আসে না। আগে দেখা যেত, গ্রামের প্রতিটি কৃষকের ঘরে কিংবা বাড়িতে খেসারিতে ভরে থাকত। এখন তা আর চোখে পড়ে না। হাতে গোনা কয়েকজন কৃষকই কেবল ছোট ছোট জমিতে খেসারি চাষ করেন শুধু পরিবারের সদস্যদের খাওয়ার জন্য।
মো. মোস্তফা আরও বলেন, জমি থেকে খেসারি সংগ্রহের কথা শুনলে গ্রামের মানুষ দল বেঁধে ছুটে যেত। জমির মালিক খেসারি ওঠাতে কাজ করা শ্রমিকদের মাঝে খেসারি ভাগ করে দিতেন। তখন তাদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করত। এখন তেমনটি চোখে পড়ে না।
চরজুবিলী ইউনিয়নের মো. হানিফ জানান, তিনি দুই একর জমিতে খেসারির চাষ করেছেন। পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতেই খেসারির চাষা করছেন তিনি। কিন্তু এখন আর খেসারি চাষে তেমন লাভবান হওয়া যায় না। খেসারির চেয়ে অন্যান্য ফসল চাষ বেশি লাভজনক। এ ছাড়া হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বেশ কিছু খেসারি নষ্ট হয়েছে। না হয় মোটামুটি একপর্যায়ে লাভবান হতাম। এখন অধিকাংশ কৃষক সয়াবিন, মরিচ, সরিষা, বাদাম, সূর্যমুখী, তরমুজ, বোরো ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলায় ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে খেসারি চাষের অক্ষ্যমাত্রা থাকলেও হঠাৎ বৃষ্টিতে ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমির খেসারি নষ্ট হয়। বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে খেসারির আবাদ রয়েছে। কিন্তু ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমির খেসারি নষ্ট হওয়ায় সেই পরিত্যক্ত জমি হালচাষ দিয়ে পুনরায় বোরো চাষ করে চাষিরা।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরের প্রান্তিক কৃষকেরা খেসারি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। খেসারি চাষে এখন আর তেমন লাভ দেখছেন না। এ কারণে তাঁরা অন্যান্য ফসল চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সুবর্ণচরের চরবাটা ইউনিয়নের তোফায়েল আহম্মদ এক একর জমিতে খেসারির চাষ করেছেন। খেতের খেসারি ডাল খড়ের পরিবর্তে গরুর খাদ্য হিসেবে খাওয়াচ্ছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, খড়ের দামের চেয়ে খেসারির ডালের খেত সস্তা। তাই গরুর খাদ্য হিসেবে ডালগাছ ব্যবহার করছেন। এ জন্য তারা খেসারি ডাল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
এ ছাড়া চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের কৃষক মো. মোস্তফা, চরক্লার্ক ইউনিয়নের মো. নূর হোসেন, মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের মো. সোলাইমান, চর ওয়াপদা ইউনিয়নের মো. সামছুদ্দিনসহ অনেক কৃষক বলেন, আগে তাঁরা কয়েক একর জমিতে খেসারির চাষ করেছেন। কিন্তু এখন সয়াবিন আর বোরো ধানের আবাদে তাঁরা ব্যস্ত।
সুবর্ণচরের চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের কৃষক মো. মোস্তফা বলেন, খেসারি ডাল চাষে তেমন একটা যত্নও করতে হয় না। খরচও তেমন বেশি না। কিন্তু এই ফসল থেকে লাভ আসে না। আগে দেখা যেত, গ্রামের প্রতিটি কৃষকের ঘরে কিংবা বাড়িতে খেসারিতে ভরে থাকত। এখন তা আর চোখে পড়ে না। হাতে গোনা কয়েকজন কৃষকই কেবল ছোট ছোট জমিতে খেসারি চাষ করেন শুধু পরিবারের সদস্যদের খাওয়ার জন্য।
মো. মোস্তফা আরও বলেন, জমি থেকে খেসারি সংগ্রহের কথা শুনলে গ্রামের মানুষ দল বেঁধে ছুটে যেত। জমির মালিক খেসারি ওঠাতে কাজ করা শ্রমিকদের মাঝে খেসারি ভাগ করে দিতেন। তখন তাদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করত। এখন তেমনটি চোখে পড়ে না।
চরজুবিলী ইউনিয়নের মো. হানিফ জানান, তিনি দুই একর জমিতে খেসারির চাষ করেছেন। পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতেই খেসারির চাষা করছেন তিনি। কিন্তু এখন আর খেসারি চাষে তেমন লাভবান হওয়া যায় না। খেসারির চেয়ে অন্যান্য ফসল চাষ বেশি লাভজনক। এ ছাড়া হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বেশ কিছু খেসারি নষ্ট হয়েছে। না হয় মোটামুটি একপর্যায়ে লাভবান হতাম। এখন অধিকাংশ কৃষক সয়াবিন, মরিচ, সরিষা, বাদাম, সূর্যমুখী, তরমুজ, বোরো ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান, ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলায় ৪ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে খেসারি চাষের অক্ষ্যমাত্রা থাকলেও হঠাৎ বৃষ্টিতে ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমির খেসারি নষ্ট হয়। বর্তমানে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে খেসারির আবাদ রয়েছে। কিন্তু ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমির খেসারি নষ্ট হওয়ায় সেই পরিত্যক্ত জমি হালচাষ দিয়ে পুনরায় বোরো চাষ করে চাষিরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে