ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন করায় মিলন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজনের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মিলন মিয়া (৬৭) ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় মিলন মিয়া বাদী হয়ে পানিয়ারুপ গ্রামের মামুন মিয়া (৩০), অন্তর হোসেন (২৮), খায়ের মিয়া (৩০), শান্ত (২২) ও কবির মিয়ার (২৭) নাম উল্লেখ করে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামে মিলন মিয়া বাড়ি থেকে তাঁর মৎস্য খামারে যাওয়ার পথে বাজারসংলগ্ন এলাকায় এলে একই গ্রামের মামুন মিয়ার নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা রড, লাঠি ও রামদা দিয়ে তাঁকে রক্তাক্ত করেন। এ সময় আক্রমণকারীরা তাঁর বাড়িঘরেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

এদিকে হামলাকারীদের বাধা দিলে মিলন মিয়ার ছেলে রুহুল আমিনকেও (৩০) পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। স্থানীয় বাসিন্দারা মিলন মিয়ার চিৎকার শুনে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মিলন মিয়া ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

মিলন মিয়া বলেন, ‘বর্তমান কায়েমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী ভূঁইয়াকে সমর্থন করায় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকতিয়ার আলম রনি ক্ষুব্ধ হন। পরে তাঁর সমর্থকদের দিয়ে আমাকে ও আমার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে। আমার বাড়িতেও হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকতিয়ার আলম রনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে অন্য এলাকায় ছিলাম। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে ঘটনার খবর পেয়েছি।’ ইকতিয়ার আলম আরও বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি নির্বাচন বা সমর্থনকে কেন্দ্র করে নয়। উভয় পক্ষের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের বিষয় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে।’

কসবা থানার ওসি আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’