আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
যশোরের মনিরামপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকার চাল) নতুন কার্ড তৈরির নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। সবুজ বিশ্বাস নামের ওই ডিলার হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন কার্ড তৈরি করতে ৫১২ জন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিয়েছেন উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ডিলার সবুজ বিশ্বাস। অথচ, উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে বিনা মূল্যে নতুন এসব কার্ড বিতরণ করার কথা। কিন্তু স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের অনুসারী হওয়ায় কার্ড হারানোর ভয়ে উপকারভোগীরা তাঁকে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
হরিদাসকাটি ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর প্রণব বিশ্বাস গত শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুকে এ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রণব বিশ্বাস দাবি করেন, ডিলার সবুজ গত অক্টোবর মাসে হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ৫, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৫১২ জন ভাতাভোগীর কাছ থেকে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে ২০০ টাকা নিয়েছেন। তিনি এ ডিলারের বিচার দাবি করেছেন।
গতকাল শনিবার কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে, ২ থেকে ৩ মাস আগে সবুজ বিশ্বাস নতুন কার্ড দেওয়ার নামে ৫১২ জনের কাছ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
কুচলিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী করুনা বিশ্বাস বলেন, ‘আমার ১০ টাকার চালের কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ডিলার সবুজ বললেন, নতুন কার্ড করতে টাকা লাগবে। এ কথা বলে তিনি আমার কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়েছেন।’
নেবুগাতি গ্রামের ভুক্তভোগী কবিতা বিশ্বাসের ছেলে মৃত্যানন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘আমার মায়ের নামে চালের কার্ড আছে। নতুন কার্ডের জন্য ডিলার সবুজ ২০০ করে টাকা নিয়েছেন। যাঁরা যাঁরা তাঁর কাছে এসেছিলেন তাঁদের সবার কাছ থেকেই তিনি টাকা নিয়েছেন।’
মৃত্যানন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। বাজারের দামে চাল কিনে খেতে পারব না। যদি আর চাল না পাই এ ভয়ে ২০০ টাকা দিয়েছি।’ একই অভিযোগ উপকারভোগী অনেকেরই।
এদিকে নতুন কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ডিলার সবুজ। তিনি দাবি করেন ২০০ টাকা না অফিস খরচ হিসেবে ৫০ টাকা করে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিলার সবুজ বিশ্বাস বলেন, ‘আমার উপকারভোগী সদস্য ৪৪৬ জন। নতুন কার্ড করাতে খাদ্য অফিস কার্ড লেখার খরচ বাবদ আমাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছে। আমিও উপকারভোগীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছি। ৫০ জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ায় পর এসব নিয়ে কথা ওঠে। তখন আমি বাকিদের উপজেলা খাদ্য অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। বলেছি, নিজেরা গিয়ে কার্ড করে নিয়ে আসেন।’
সবুজ বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমি নৌকার রাজনীতি করি। ইউপি নির্বাচনে নৌকা হেরে গেছে। এ জন্য এখন এসব কথা উঠছে। উপকারভোগীদের মাধ্যমে আমার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। কার্ড থাকবে না এই ভয়ে সুবিধাভোগীরা আমাকে ২০০ টাকা করে দিয়েছেন বিষয়টি মিথ্যা।’
মনিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় নতুন কার্ডের জন্য চাহিদাপত্র দিয়ে বরাদ্দ আনতে হয়। আমরা এখনো বরাদ্দ পাইনি। একটা কার্ড তৈরি করতে ৮ থেকে ১০ টাকা খরচ হয়। আমাদের অফিসে লোকবল কম।
তবে আমাদের অফিস ৫০ টাকা করে নেওয়ার কথা না।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক আরও বলেন, ‘ডিলাররা কার্ড প্রতি ২০০ করে টাকা নিয়েছেন বলে বেশ কয়েকজন সুবিধাভোগী অভিযোগ করেছেন। আমি ডিলারদের ফোন করে টাকা নিতে নিষেধ করেছি। এরপরও ডিলার সবুজ যদি অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২০১৬ সালে অসচ্ছল দুস্থদের জন্য ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির’ আওতায় ১০ টাকা মূল্যে মাসিক ৩০ কেজি করে চালের কার্ড চালু করে সরকার। এ চাল বিতরণের জন্য ইউনিয়ন প্রতি ৩ থেকে ৪ জন করে ডিলার নিয়োগ দেয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তর। কার্ড প্রতি ৩০০ টাকা দিয়ে বছরে ৬ মাস এ সুবিধা পান উপজেলার ২৭ হাজারের বেশি পরিবার। পাঁচ বছর আগে সরবরাহ কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে আবার কার্ড বিতরণ করছে উপজেলা খাদ্য দপ্তর।
যশোরের মনিরামপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকার চাল) নতুন কার্ড তৈরির নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। সবুজ বিশ্বাস নামের ওই ডিলার হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন কার্ড তৈরি করতে ৫১২ জন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিয়েছেন উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ডিলার সবুজ বিশ্বাস। অথচ, উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে বিনা মূল্যে নতুন এসব কার্ড বিতরণ করার কথা। কিন্তু স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের অনুসারী হওয়ায় কার্ড হারানোর ভয়ে উপকারভোগীরা তাঁকে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
হরিদাসকাটি ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর প্রণব বিশ্বাস গত শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুকে এ অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরেন। প্রণব বিশ্বাস দাবি করেন, ডিলার সবুজ গত অক্টোবর মাসে হরিদাসকাটি ইউনিয়নের ৫, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৫১২ জন ভাতাভোগীর কাছ থেকে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে ২০০ টাকা নিয়েছেন। তিনি এ ডিলারের বিচার দাবি করেছেন।
গতকাল শনিবার কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে, ২ থেকে ৩ মাস আগে সবুজ বিশ্বাস নতুন কার্ড দেওয়ার নামে ৫১২ জনের কাছ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
কুচলিয়া গ্রামের ভুক্তভোগী করুনা বিশ্বাস বলেন, ‘আমার ১০ টাকার চালের কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ডিলার সবুজ বললেন, নতুন কার্ড করতে টাকা লাগবে। এ কথা বলে তিনি আমার কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়েছেন।’
নেবুগাতি গ্রামের ভুক্তভোগী কবিতা বিশ্বাসের ছেলে মৃত্যানন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘আমার মায়ের নামে চালের কার্ড আছে। নতুন কার্ডের জন্য ডিলার সবুজ ২০০ করে টাকা নিয়েছেন। যাঁরা যাঁরা তাঁর কাছে এসেছিলেন তাঁদের সবার কাছ থেকেই তিনি টাকা নিয়েছেন।’
মৃত্যানন্দ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। বাজারের দামে চাল কিনে খেতে পারব না। যদি আর চাল না পাই এ ভয়ে ২০০ টাকা দিয়েছি।’ একই অভিযোগ উপকারভোগী অনেকেরই।
এদিকে নতুন কার্ড বিতরণে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ডিলার সবুজ। তিনি দাবি করেন ২০০ টাকা না অফিস খরচ হিসেবে ৫০ টাকা করে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিলার সবুজ বিশ্বাস বলেন, ‘আমার উপকারভোগী সদস্য ৪৪৬ জন। নতুন কার্ড করাতে খাদ্য অফিস কার্ড লেখার খরচ বাবদ আমাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছে। আমিও উপকারভোগীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নিয়েছি। ৫০ জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ায় পর এসব নিয়ে কথা ওঠে। তখন আমি বাকিদের উপজেলা খাদ্য অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। বলেছি, নিজেরা গিয়ে কার্ড করে নিয়ে আসেন।’
সবুজ বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমি নৌকার রাজনীতি করি। ইউপি নির্বাচনে নৌকা হেরে গেছে। এ জন্য এখন এসব কথা উঠছে। উপকারভোগীদের মাধ্যমে আমার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। কার্ড থাকবে না এই ভয়ে সুবিধাভোগীরা আমাকে ২০০ টাকা করে দিয়েছেন বিষয়টি মিথ্যা।’
মনিরামপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় নতুন কার্ডের জন্য চাহিদাপত্র দিয়ে বরাদ্দ আনতে হয়। আমরা এখনো বরাদ্দ পাইনি। একটা কার্ড তৈরি করতে ৮ থেকে ১০ টাকা খরচ হয়। আমাদের অফিসে লোকবল কম।
তবে আমাদের অফিস ৫০ টাকা করে নেওয়ার কথা না।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক আরও বলেন, ‘ডিলাররা কার্ড প্রতি ২০০ করে টাকা নিয়েছেন বলে বেশ কয়েকজন সুবিধাভোগী অভিযোগ করেছেন। আমি ডিলারদের ফোন করে টাকা নিতে নিষেধ করেছি। এরপরও ডিলার সবুজ যদি অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সত্যতা পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২০১৬ সালে অসচ্ছল দুস্থদের জন্য ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির’ আওতায় ১০ টাকা মূল্যে মাসিক ৩০ কেজি করে চালের কার্ড চালু করে সরকার। এ চাল বিতরণের জন্য ইউনিয়ন প্রতি ৩ থেকে ৪ জন করে ডিলার নিয়োগ দেয় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ দপ্তর। কার্ড প্রতি ৩০০ টাকা দিয়ে বছরে ৬ মাস এ সুবিধা পান উপজেলার ২৭ হাজারের বেশি পরিবার। পাঁচ বছর আগে সরবরাহ কার্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে আবার কার্ড বিতরণ করছে উপজেলা খাদ্য দপ্তর।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১২ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৫ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে