রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরের প্লাস্টিক কারখানার কুচি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। এতে পরিবেশরক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার লোকের। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই খাতের আরও বিকাশ সম্ভব বলে জানান কারখানার মালিক ও শ্রমিকেরা।
জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় ১১০টি প্লাস্টিক কারখানা। কারখানাগুলোতে মূলত প্লাস্টিকের পুরোনো বোতল এবং বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহৃত প্লাস্টিক মেশিনে ভেঙে তৈরি করা হয় কুচি। এসব কুচি এখান থেকে সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে। প্রতিটি কারখানায় প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করেন।
শহরের বাঙ্গালীপুর এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, একদিকে বোতল কিংবা ভাঙা প্লাস্টিক বর্জ্য স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে প্লাস্টিক কুচি শুকাতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা।
কামারপুকুর ইউনিয়নের আশুরখাই গ্রামের আতিয়া পারভীন নামের নারী শ্রমিক বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ায় অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতাম। তিন সন্তানকে নিয়ে একবেলা খেয়ে, আরেক বেলা না খেয়ে কোনো রকমে দিন কাটত। কিন্তু এখন প্লাস্টিক বর্জ্য কারখানায় কাজ করে সংসারে সচ্ছলতা এসেছে।’
কথা হয় কারখানার মালিক ইমরান হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, বিভিন্ন ভাঙারির দোকান থেকে তাঁরা প্লাস্টিকের পুরোনো বোতল কেনেন প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে। অন্যান্য প্লাস্টিক সামগ্রী কেনেন ৩৫ টাকা কেজি দরে। তারপর এগুলো মেশিনের সাহায্যে পানি দিয়ে ওয়াশ করেন। পরে মাড়াই করে প্লাস্টিকের কুচি মেশিনের মাধ্যমে শুকিয়ে বস্তায় ভরে সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন এ কারখানায় শতাধিক মণ প্লাস্টিক সামগ্রী কেনা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে এ শিল্পের আরও প্রসার ঘটানো যেত।
ইলিয়াস হোসেন নামের আরেক প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবসায়ী বলেন, ‘পথে-ঘাটে এবং নালা-নর্দমায় পড়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে এনে এগুলো পরিষ্কার করে আমাদের কাছে বিক্রি করা হয়। পরে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয় প্লাস্টিকের গুটি। এরপর নতুন করে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় নানা পণ্য। এখানে দুই-তিন ধরনের প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা থাকে।’
তিনি পুরো প্রক্রিয়াটি পরিবেশের উপকার করছে দাবি করে বলেন, কোটি কোটি বোতলসহ প্লাস্টিক বর্জ্য যদি খাল, নদী দখল করত, তাহলে তা পলিথিনের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠত।
পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুরের পরিদর্শক (নীলফামারী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত) মনোয়ার হোসেন বলেন, যত্রতত্র পড়ে থাকা প্লাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ ক্ষেত্রে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাত করায় পরিবেশদূষণের হাত থেকে এ এলাকা রক্ষা পাচ্ছে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হুসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি এ উপজেলায় নতুন এসেছেন। এ শিল্পের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে যদি তা পরিবেশের জন্য ইতিবাচক হয়, তাহলে সহযোগিতার বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
নীলফামারীর সৈয়দপুরের প্লাস্টিক কারখানার কুচি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। এতে পরিবেশরক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার লোকের। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই খাতের আরও বিকাশ সম্ভব বলে জানান কারখানার মালিক ও শ্রমিকেরা।
জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার পৌরসভা ও ৫টি ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় ১১০টি প্লাস্টিক কারখানা। কারখানাগুলোতে মূলত প্লাস্টিকের পুরোনো বোতল এবং বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহৃত প্লাস্টিক মেশিনে ভেঙে তৈরি করা হয় কুচি। এসব কুচি এখান থেকে সরবরাহ করা হয় দেশের বিভিন্ন বাজারে। প্রতিটি কারখানায় প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করেন।
শহরের বাঙ্গালীপুর এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, একদিকে বোতল কিংবা ভাঙা প্লাস্টিক বর্জ্য স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে প্লাস্টিক কুচি শুকাতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা।
কামারপুকুর ইউনিয়নের আশুরখাই গ্রামের আতিয়া পারভীন নামের নারী শ্রমিক বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ায় অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করতাম। তিন সন্তানকে নিয়ে একবেলা খেয়ে, আরেক বেলা না খেয়ে কোনো রকমে দিন কাটত। কিন্তু এখন প্লাস্টিক বর্জ্য কারখানায় কাজ করে সংসারে সচ্ছলতা এসেছে।’
কথা হয় কারখানার মালিক ইমরান হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, বিভিন্ন ভাঙারির দোকান থেকে তাঁরা প্লাস্টিকের পুরোনো বোতল কেনেন প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে। অন্যান্য প্লাস্টিক সামগ্রী কেনেন ৩৫ টাকা কেজি দরে। তারপর এগুলো মেশিনের সাহায্যে পানি দিয়ে ওয়াশ করেন। পরে মাড়াই করে প্লাস্টিকের কুচি মেশিনের মাধ্যমে শুকিয়ে বস্তায় ভরে সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন এ কারখানায় শতাধিক মণ প্লাস্টিক সামগ্রী কেনা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সহযোগিতা পেলে এ শিল্পের আরও প্রসার ঘটানো যেত।
ইলিয়াস হোসেন নামের আরেক প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবসায়ী বলেন, ‘পথে-ঘাটে এবং নালা-নর্দমায় পড়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে এনে এগুলো পরিষ্কার করে আমাদের কাছে বিক্রি করা হয়। পরে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয় প্লাস্টিকের গুটি। এরপর নতুন করে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় নানা পণ্য। এখানে দুই-তিন ধরনের প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা থাকে।’
তিনি পুরো প্রক্রিয়াটি পরিবেশের উপকার করছে দাবি করে বলেন, কোটি কোটি বোতলসহ প্লাস্টিক বর্জ্য যদি খাল, নদী দখল করত, তাহলে তা পলিথিনের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠত।
পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুরের পরিদর্শক (নীলফামারী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত) মনোয়ার হোসেন বলেন, যত্রতত্র পড়ে থাকা প্লাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ ক্ষেত্রে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাত করায় পরিবেশদূষণের হাত থেকে এ এলাকা রক্ষা পাচ্ছে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম হুসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি এ উপজেলায় নতুন এসেছেন। এ শিল্পের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিয়ে যদি তা পরিবেশের জন্য ইতিবাচক হয়, তাহলে সহযোগিতার বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে