মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৭০০ একর বোরো ধানের জমির তলা ফেটে রোপণ করা চারা নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। রোপণের পাঁচ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও জমিতে পানি ও সেচের অভাবে চাষিদের ধানের চারা এখন গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বোরোচাষিদের সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে একরপ্রতি ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে উফশী জাতের বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন তাঁরা। মৌসুমের শুরুতে আগাম বৃষ্টি, জমিতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় এবং ছড়া দিয়ে পানি নামায় বোরো ধানের চারা রোপণ করতে কোনো দুশ্চিন্তা ছিল না চাষিদের। তবে কয়েক সপ্তাহ যাওয়ার পর সেচের অভাবে এসব জমি এখন চৌচির। কিছু এলাকায় উজান থেকে ছড়া দিয়ে পানি আসার ব্যবস্থা না থাকায় জমি খাঁ খাঁ করছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। যদি পানির সংকট দূর না হয়, তাহলে এসব জমির চারা শুকিয়ে মরে যাবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এ কারণে দ্রুত সময়ে সেচ প্রকল্প চালু করে সরকারিভাবে সেচব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী চাষিরা।
সরেজমিন উপজেলার শমশেরনগর, আদমপুর, পতনঊষার, মুন্সিবাজার, ইউনিয়নসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উজানে পানিশূন্য কালারাই বিল, লাঘাটা ছড়াসহ কয়েকটি ছড়া, দুই শতাধিক কৃষকের প্রায় ৭০০ একর বোরো ধানের চারা পানির অভাবে নষ্ট হওয়ার পথে। জমিতে পানি না থাকায় অনেক চাষি নিরুপায় হয়ে ধানের খেতে গরু চরাচ্ছেন।
উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে বোরো ধান চাষ করেছি। আগের চেয়ে এখন অনেক খরচ বেড়ে গেছে। ৩০ শতক জায়গায় শুধু ১ হাজার ২০০ টাকা সেচ খরচ আসে। আমরা টাকা দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করতে পারছি না। ছড়ার উজানে কোনো পানি নেই। পানি থাকলে আমরা নিজেরাই সেচের ব্যবস্থা করতে পারতাম। পানির অভাবে চোখের সামনে ফসল নষ্ট হচ্ছে, কিন্তু রক্ষা করতে পারছি না।’
লাঘাটা ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শুধু সতিজির গাঁও, বাদাইদেও, খেছুলুটি ও ধুপাটিলা এলায় প্রায় ১৫০ একর জমিতে পানির অভাবে বোরো ধান নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে এসব জমিতে পানি না দেওয়ায় জমি ফেটে যাচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে পানি না দিলে ধানগাছ মরে যাবে।
মৌলভীবাজার কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সরকারিভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুচ্চালিত ১২টি সেচযন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। কিছুসংখ্যক জায়গায় পানি ও সেচের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকেরা সমস্যায় পড়েছেন। নতুন করে বিদ্যুচ্চালিত সেচের বরাদ্দের জন্য প্রজেক্ট আকারে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উপজেলায় ৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে এ মৌসুমে।
উপজেলার উত্তর পূর্ব খেছুলুটি গ্রামের বর্গাচাষি শামসু মিয়া বলেন, শুরুতে জমিতে পানি ছিল, এখন পানির অভাবে জমি ফেটে গেছে। বাধ্য হয়ে এক মাস বয়সী ধানগাছ এখন গরুকে খাওয়াচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে বিদ্যুৎ আছে, সরকারিভাবে একটি সেচের ব্যবস্থা করলে আমাদের এলাকার ৭০-৮০ একর জমির ফসল রক্ষা হতো।
পানি ও সেচসংকটের বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, মৌসুমের শুরুতে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় আংশিক পানির সংকট নিয়ে বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণ করছেন কৃষকেরা। তাঁদের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। সেচের বিষয়টি কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখাশোনা করে। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব, তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।’
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মৌলভীবাজার জেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমলগঞ্জে সেচের যে সমস্যা, এই মুহূর্তে তা সমাধান করা সম্ভব হবে না। আমরা নতুন করে সেচ ও কয়েকটি ছড়া খননের জন্য প্রজেক্ট আকারে আবেদন করেছি। বরাদ্দ এলে আশা করি সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৭০০ একর বোরো ধানের জমির তলা ফেটে রোপণ করা চারা নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। রোপণের পাঁচ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও জমিতে পানি ও সেচের অভাবে চাষিদের ধানের চারা এখন গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বোরোচাষিদের সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে একরপ্রতি ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ করে উফশী জাতের বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন তাঁরা। মৌসুমের শুরুতে আগাম বৃষ্টি, জমিতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় এবং ছড়া দিয়ে পানি নামায় বোরো ধানের চারা রোপণ করতে কোনো দুশ্চিন্তা ছিল না চাষিদের। তবে কয়েক সপ্তাহ যাওয়ার পর সেচের অভাবে এসব জমি এখন চৌচির। কিছু এলাকায় উজান থেকে ছড়া দিয়ে পানি আসার ব্যবস্থা না থাকায় জমি খাঁ খাঁ করছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। যদি পানির সংকট দূর না হয়, তাহলে এসব জমির চারা শুকিয়ে মরে যাবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এ কারণে দ্রুত সময়ে সেচ প্রকল্প চালু করে সরকারিভাবে সেচব্যবস্থা চালু করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী চাষিরা।
সরেজমিন উপজেলার শমশেরনগর, আদমপুর, পতনঊষার, মুন্সিবাজার, ইউনিয়নসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উজানে পানিশূন্য কালারাই বিল, লাঘাটা ছড়াসহ কয়েকটি ছড়া, দুই শতাধিক কৃষকের প্রায় ৭০০ একর বোরো ধানের চারা পানির অভাবে নষ্ট হওয়ার পথে। জমিতে পানি না থাকায় অনেক চাষি নিরুপায় হয়ে ধানের খেতে গরু চরাচ্ছেন।
উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের কৃষক সুলতান মিয়া বলেন, ‘আমরা অনেক কষ্ট করে বোরো ধান চাষ করেছি। আগের চেয়ে এখন অনেক খরচ বেড়ে গেছে। ৩০ শতক জায়গায় শুধু ১ হাজার ২০০ টাকা সেচ খরচ আসে। আমরা টাকা দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করতে পারছি না। ছড়ার উজানে কোনো পানি নেই। পানি থাকলে আমরা নিজেরাই সেচের ব্যবস্থা করতে পারতাম। পানির অভাবে চোখের সামনে ফসল নষ্ট হচ্ছে, কিন্তু রক্ষা করতে পারছি না।’
লাঘাটা ছড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শুধু সতিজির গাঁও, বাদাইদেও, খেছুলুটি ও ধুপাটিলা এলায় প্রায় ১৫০ একর জমিতে পানির অভাবে বোরো ধান নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে এসব জমিতে পানি না দেওয়ায় জমি ফেটে যাচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে পানি না দিলে ধানগাছ মরে যাবে।
মৌলভীবাজার কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর সরকারিভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুচ্চালিত ১২টি সেচযন্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। কিছুসংখ্যক জায়গায় পানি ও সেচের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকেরা সমস্যায় পড়েছেন। নতুন করে বিদ্যুচ্চালিত সেচের বরাদ্দের জন্য প্রজেক্ট আকারে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। উপজেলায় ৪ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে এ মৌসুমে।
উপজেলার উত্তর পূর্ব খেছুলুটি গ্রামের বর্গাচাষি শামসু মিয়া বলেন, শুরুতে জমিতে পানি ছিল, এখন পানির অভাবে জমি ফেটে গেছে। বাধ্য হয়ে এক মাস বয়সী ধানগাছ এখন গরুকে খাওয়াচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে বিদ্যুৎ আছে, সরকারিভাবে একটি সেচের ব্যবস্থা করলে আমাদের এলাকার ৭০-৮০ একর জমির ফসল রক্ষা হতো।
পানি ও সেচসংকটের বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, মৌসুমের শুরুতে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় আংশিক পানির সংকট নিয়ে বোরো ধানের চারা জমিতে রোপণ করছেন কৃষকেরা। তাঁদের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। সেচের বিষয়টি কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দেখাশোনা করে। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব, তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।’
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মৌলভীবাজার জেলার সহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কমলগঞ্জে সেচের যে সমস্যা, এই মুহূর্তে তা সমাধান করা সম্ভব হবে না। আমরা নতুন করে সেচ ও কয়েকটি ছড়া খননের জন্য প্রজেক্ট আকারে আবেদন করেছি। বরাদ্দ এলে আশা করি সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে