চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন হতদরিদ্র বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বিতরণের সময় জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের পছন্দের ব্যক্তিদের কার্ড দিয়েছেন। ফলে প্রকৃত কার্ড পাওয়ার দাবিদাররা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে জনপ্রতিনিধিদের দাবি, কার্ড বিতরণে নিজস্ব পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। তবে সরকার যে পরিমাণ কার্ড দিচ্ছে তা খুবই সামান্য। এতে কার্ডবঞ্চিতরা এমন অভিযোগ তুলছেন।
গত রোববার থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জেও স্বল্প মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের এই উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। দুই কেজি করে চিনি, ডাল ও দুই লিটার সয়াবিন তেল পাচ্ছেন ভোক্তারা। টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। জেলায় পণ্য পাবেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৩২০ জন।
অভিযোগ উঠেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসব ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব বিবেচনা ছাড়া অন্য কোনো তদারকি ছিল না। এসব কার্ড বিতরণ করা হয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফ্যামিলি কার্ড পাওয়া অনেকেই বলেছেন, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে তাঁদের ভালো সম্পর্কের কারণে তাঁদের ডেকে নিয়ে কার্ড দিয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৫ ইউনিয়ন এবং ৪ পৌরসভার প্রায় একই চিত্র।
ইসলামপুর এলাকার আবদুল আওয়াল নামের এক ব্যক্তি বলেন, তাঁর পরিবারে স্ত্রী-সন্তান মিলিয়ে পাঁচজন সদস্য। অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে যে টাকা পান, তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাঁর দাবি, কখন, কীভাবে ও কার মাধ্যমে কার্ড তৈরি করা হয়েছে, তিনি কিছুই জানেন না।
ইসলামপুর এলাকার আবু তৈয়ব বলেন, করোনার পর থেকে তিনি পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারপরও তাঁকে কার্ড দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, ইউপি সদস্যরা (মেম্বার) পছন্দমতো তাঁদের লোকদের কার্ড দিয়েছেন।
ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ক্রেতাদের সারিতে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও চোখে পড়েছে। জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।
তবে জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম বা নিজস্ব পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। তাঁদের দাবি শতকরা ৮০ জন মানুষেরও এই সুবিধা প্রয়োজন। তবে সরকার যে পরিমাণ দিচ্ছে, তা খুবই সামান্য। এতে যাঁরা কার্ড পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা এমন অভিযোগ তুলছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মনিরুজ্জান মনির বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় যে পরিমাণ মানুষকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য দেওয়া হচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। যেহেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম মানুষ পাচ্ছেন, সেহেতু কারা অগ্রাধিকার পাবেন, সেটি ঠিক করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের ওপর ছেড়ে না দিয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের তালিকা তৈরি করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. সালেহ উদ্দীন বলেন, তাঁর এলাকায় একেবারে প্রান্তিক লোকজনকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। যাঁরা পাওয়ার যোগ্য তাঁদের কার্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করে আরও বলেন, কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো স্বজনপ্রীতি করা হয়নি। তবে পাওয়ার যোগ্য অনেককেই তাঁরা দিতে পারেননি। তাঁর ওয়ার্ডে ১ হাজার মানুষকে দেওয়া উচিত, কিন্তু মাত্র ৩০০ জনকে দিতে পেরেছেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইফফাত জাহান বলেন, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে নির্দেশনা ছিল নিম্নবিত্ত পরিবারকে যেন টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়। এ কার্ডের মাধ্যমে নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের লোকজন ন্যায্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। এতে করে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। যদি এই কার্ড বিতরণে কোনো অনিয়ম হয়, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফ্যামিলি কার্ড বিতরণে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন হতদরিদ্র বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বিতরণের সময় জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের পছন্দের ব্যক্তিদের কার্ড দিয়েছেন। ফলে প্রকৃত কার্ড পাওয়ার দাবিদাররা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবে জনপ্রতিনিধিদের দাবি, কার্ড বিতরণে নিজস্ব পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। তবে সরকার যে পরিমাণ কার্ড দিচ্ছে তা খুবই সামান্য। এতে কার্ডবঞ্চিতরা এমন অভিযোগ তুলছেন।
গত রোববার থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জেও স্বল্প মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। পবিত্র রমজান মাসে পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের এই উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ। দুই কেজি করে চিনি, ডাল ও দুই লিটার সয়াবিন তেল পাচ্ছেন ভোক্তারা। টিসিবির পণ্য কিনতে মানুষদের মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। জেলায় পণ্য পাবেন ১ লাখ ৩০ হাজার ৩২০ জন।
অভিযোগ উঠেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসব ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব বিবেচনা ছাড়া অন্য কোনো তদারকি ছিল না। এসব কার্ড বিতরণ করা হয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফ্যামিলি কার্ড পাওয়া অনেকেই বলেছেন, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে তাঁদের ভালো সম্পর্কের কারণে তাঁদের ডেকে নিয়ে কার্ড দিয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪৫ ইউনিয়ন এবং ৪ পৌরসভার প্রায় একই চিত্র।
ইসলামপুর এলাকার আবদুল আওয়াল নামের এক ব্যক্তি বলেন, তাঁর পরিবারে স্ত্রী-সন্তান মিলিয়ে পাঁচজন সদস্য। অন্যের জমিতে শ্রম দিয়ে যে টাকা পান, তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাঁর দাবি, কখন, কীভাবে ও কার মাধ্যমে কার্ড তৈরি করা হয়েছে, তিনি কিছুই জানেন না।
ইসলামপুর এলাকার আবু তৈয়ব বলেন, করোনার পর থেকে তিনি পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারপরও তাঁকে কার্ড দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, ইউপি সদস্যরা (মেম্বার) পছন্দমতো তাঁদের লোকদের কার্ড দিয়েছেন।
ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ক্রেতাদের সারিতে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও চোখে পড়েছে। জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে।
তবে জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম বা নিজস্ব পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। তাঁদের দাবি শতকরা ৮০ জন মানুষেরও এই সুবিধা প্রয়োজন। তবে সরকার যে পরিমাণ দিচ্ছে, তা খুবই সামান্য। এতে যাঁরা কার্ড পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা এমন অভিযোগ তুলছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব মনিরুজ্জান মনির বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় যে পরিমাণ মানুষকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য দেওয়া হচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয়। যেহেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম মানুষ পাচ্ছেন, সেহেতু কারা অগ্রাধিকার পাবেন, সেটি ঠিক করতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের ওপর ছেড়ে না দিয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের তালিকা তৈরি করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. সালেহ উদ্দীন বলেন, তাঁর এলাকায় একেবারে প্রান্তিক লোকজনকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। যাঁরা পাওয়ার যোগ্য তাঁদের কার্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করে আরও বলেন, কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে কোনো স্বজনপ্রীতি করা হয়নি। তবে পাওয়ার যোগ্য অনেককেই তাঁরা দিতে পারেননি। তাঁর ওয়ার্ডে ১ হাজার মানুষকে দেওয়া উচিত, কিন্তু মাত্র ৩০০ জনকে দিতে পেরেছেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইফফাত জাহান বলেন, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে নির্দেশনা ছিল নিম্নবিত্ত পরিবারকে যেন টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়। এ কার্ডের মাধ্যমে নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের লোকজন ন্যায্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। এতে করে বাজার স্থিতিশীল থাকবে। যদি এই কার্ড বিতরণে কোনো অনিয়ম হয়, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে