পটুয়াখালী ও রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি
‘আগে সকাল বেলা আব্বার লগে মাছ ধরতে যাইতাম। এহন সকালে নৌকায় করে বোট স্কুলে যাই। আমি পড়ালেখা কইরা পুলিশ হমু। আমার আব্বারে আর মাছ ধরতে দিমু না।’ কথা গুলো বলছিল রাঙ্গাবালীর মানতা পল্লির শিশু রাকিব হোসেন (৮)। নদী, নৌকা আর জালের মধ্যেই যাদের জীবনচক্র। সেই মানতা সম্প্রদায়ের শিশুরা এখন পড়ালেখা শিখছে। শিক্ষার সুযোগ পেয়ে পিছিয়ে পরা এই জনগোষ্ঠীর শিশুরা অনেক খুশি।
একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে তাঁদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ভাসমান বোট স্কুল। এখানে শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম খেলাধুলা, গান, কবিতা এবং ছড়া বলার সুযোগ থাকায় রাকিবের মতো আরও ৫০টি শিশু বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
জলে ভাসা এই জনগোষ্ঠীর শিশুরা কখনই লেখাপড়া করতো না কিংবা স্কুলে যেত না। তবে গত দুই বছর আগে এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। মানতা পরিবারের ৫০ শিশুর জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের অর্থে পরিচালিত ‘মুসলিম চ্যারিটি’ এবং স্থানীয় ‘জাগো নারী’ নামে একটি এনজিওর উদ্যোগে একটি বোট স্কুল নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়। ফলে সকাল হতেই মানতা পরিবারের মায়েরা শিশুদের বোট স্কুলে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করে দিয়ে মাছ শিকারে নেমে পরেন।
মানতা পল্লির শিশু রাকিব হোসেনের বাবা ফারুক সর্দারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এহন প্রত্যেকদিন সকালে পোলারে স্কুলে দিয়া মাছ ধরতে যাই। আগে ভাবতাম জাইল্লার পোলা জাইল্লা হইবে। কিন্তু আমার পোলা এহন লেহাপড়া করে।’
মানতা শিশুদের শিক্ষক নাজমুন নাহার বলেন, ‘এই বোট স্কুল হওয়ার মাধ্যমে ৫০ জন শিশু শিক্ষার আলো পেয়েছে। ওদের হাতে খড়িটা আমরা দিয়ে থাকি। এই পর্যন্ত আমরা ১২ জন শিশুকে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করেছি। তবে প্রাইমারি স্কুল এখান থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ওরা এখান থেকে স্কুলে যেতে চায় না। যদি এখানে প্রাইমারি স্কুল করা হয়, তাহলে মানতা শিশুদের জীবনমান পাল্টে যাবে।’
তবে এই বোট স্কুলের প্রজেক্টটি ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ১ তারিখে শুরু হলেও শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এ বছরের ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ। যদিও করোনার কারণে দীর্ঘ সময় শিশুদের পাঠদান বন্ধ ছিল, তবে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে আবারও পিছিয়ে পড়বে এই মানতা শিশুরা।
জাগো নারীর প্রকল্প সমন্বয়কারী হানিফ মাহামুদ বলেন, ‘চরমন্তাজ ইউনিয়নে ১০০টি মানতা পরিবার রয়েছে। আমরা ৯০টি পরিবারকে সার্ভে করেছি। এর মধ্যে স্বাক্ষর জানে এমন ১টি পরিবার পাওয়া গেছে। আর এ পরিবারের শিশুরা কখনো শিক্ষার আলো দেখেনি। এর পরেই আমরা শিশুদের শিক্ষার জন্য এই বোট স্কুল করার উদ্যোগ নেই। করোনার কারণে দীর্ঘ দিন পাঠদান বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তাই আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এই প্রজেক্টটি আরও দীর্ঘায়িত করার জন্য।’
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসফাকুর রহমান বলেন, ‘ভাসমান বোট স্কুলে প্রাক–প্রাথমিক পর্যন্ত শিক্ষার সুযোগ থাকায় এবার মানতা শিশুদের জন্য নদী পাড়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে।’
‘আগে সকাল বেলা আব্বার লগে মাছ ধরতে যাইতাম। এহন সকালে নৌকায় করে বোট স্কুলে যাই। আমি পড়ালেখা কইরা পুলিশ হমু। আমার আব্বারে আর মাছ ধরতে দিমু না।’ কথা গুলো বলছিল রাঙ্গাবালীর মানতা পল্লির শিশু রাকিব হোসেন (৮)। নদী, নৌকা আর জালের মধ্যেই যাদের জীবনচক্র। সেই মানতা সম্প্রদায়ের শিশুরা এখন পড়ালেখা শিখছে। শিক্ষার সুযোগ পেয়ে পিছিয়ে পরা এই জনগোষ্ঠীর শিশুরা অনেক খুশি।
একটি বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে তাঁদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ভাসমান বোট স্কুল। এখানে শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন রকম খেলাধুলা, গান, কবিতা এবং ছড়া বলার সুযোগ থাকায় রাকিবের মতো আরও ৫০টি শিশু বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
জলে ভাসা এই জনগোষ্ঠীর শিশুরা কখনই লেখাপড়া করতো না কিংবা স্কুলে যেত না। তবে গত দুই বছর আগে এমন পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। মানতা পরিবারের ৫০ শিশুর জন্য বাংলাদেশি প্রবাসীদের অর্থে পরিচালিত ‘মুসলিম চ্যারিটি’ এবং স্থানীয় ‘জাগো নারী’ নামে একটি এনজিওর উদ্যোগে একটি বোট স্কুল নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়। ফলে সকাল হতেই মানতা পরিবারের মায়েরা শিশুদের বোট স্কুলে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করে দিয়ে মাছ শিকারে নেমে পরেন।
মানতা পল্লির শিশু রাকিব হোসেনের বাবা ফারুক সর্দারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এহন প্রত্যেকদিন সকালে পোলারে স্কুলে দিয়া মাছ ধরতে যাই। আগে ভাবতাম জাইল্লার পোলা জাইল্লা হইবে। কিন্তু আমার পোলা এহন লেহাপড়া করে।’
মানতা শিশুদের শিক্ষক নাজমুন নাহার বলেন, ‘এই বোট স্কুল হওয়ার মাধ্যমে ৫০ জন শিশু শিক্ষার আলো পেয়েছে। ওদের হাতে খড়িটা আমরা দিয়ে থাকি। এই পর্যন্ত আমরা ১২ জন শিশুকে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করেছি। তবে প্রাইমারি স্কুল এখান থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় ওরা এখান থেকে স্কুলে যেতে চায় না। যদি এখানে প্রাইমারি স্কুল করা হয়, তাহলে মানতা শিশুদের জীবনমান পাল্টে যাবে।’
তবে এই বোট স্কুলের প্রজেক্টটি ২০১৯ সালের জুলাই মাসের ১ তারিখে শুরু হলেও শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এ বছরের ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ। যদিও করোনার কারণে দীর্ঘ সময় শিশুদের পাঠদান বন্ধ ছিল, তবে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে আবারও পিছিয়ে পড়বে এই মানতা শিশুরা।
জাগো নারীর প্রকল্প সমন্বয়কারী হানিফ মাহামুদ বলেন, ‘চরমন্তাজ ইউনিয়নে ১০০টি মানতা পরিবার রয়েছে। আমরা ৯০টি পরিবারকে সার্ভে করেছি। এর মধ্যে স্বাক্ষর জানে এমন ১টি পরিবার পাওয়া গেছে। আর এ পরিবারের শিশুরা কখনো শিক্ষার আলো দেখেনি। এর পরেই আমরা শিশুদের শিক্ষার জন্য এই বোট স্কুল করার উদ্যোগ নেই। করোনার কারণে দীর্ঘ দিন পাঠদান বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তাই আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এই প্রজেক্টটি আরও দীর্ঘায়িত করার জন্য।’
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসফাকুর রহমান বলেন, ‘ভাসমান বোট স্কুলে প্রাক–প্রাথমিক পর্যন্ত শিক্ষার সুযোগ থাকায় এবার মানতা শিশুদের জন্য নদী পাড়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে