সংবাদ সম্মেলনে জয় দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬: ৩৭
আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ১৬

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সমান ভোট পাওয়ায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের চন্দ্রপুর ইউপির চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম (মোটরসাইকেল প্রতীক) সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গত সোমবার রাত ৮টায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন নির্বাচনে তিনিই জয় পেয়েছেন।

গত রোববার তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহবুবর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুজনেই ৯ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে সমান অবস্থানে রয়েছেন। এর ফলে এ ইউপিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা। বাকি ৭টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ৩ টিতে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ টিতে নির্বাচিত হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে নৌকায় সিল মারা ২০টি ব্যালট পেপার প্রদর্শন করে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গোসাইরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ রুমের ভেতর থেকে নৌকার সিল মারা ২০টি ভুয়া ব্যালট পেপার স্থানীয়রা উদ্ধার করেছেন। এগুলো ব্যালট নৌকার প্রার্থী মাহাবুবর রহমানের। এসব নৌকার কর্মীরা ভোটবাক্সে রাখার সময় না পেয়ে ফেলে রেখেছেন। এভাবে ভুয়া ব্যালট দিয়ে নৌকার ভোট বাড়িয়ে সমান অবস্থানের ফলাফল তৈরি করে ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।’

জাহাঙ্গীর লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, ‘চন্দ্রপুর ইউপির ভোটগ্রহণ শেষে ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে যখন ৮টি কেন্দ্রের ফলাফলে আমি এগিয়ে ছিলাম তখন উত্তর বালাপাড়া ভোট কেন্দ্র দখল করে প্রিসাইডিং অফিসারকে তালাবদ্ধ রেখে এবং পোলিং এজেন্টকে মারধর করে বিভিন্ন অনিয়ম করে ইচ্ছেমতো ফলাফল সিট তৈরি করে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর গ্রহণ করে। এ বিষয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ করলেও তারা কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এ ছাড়া কোনো কেন্দ্রে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভোটের কোনো মিল নেই।’ নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করেন, ‘আমাকে বিজয়ী করা হোক। আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করা না হলে আমি ট্রাইব্যুনালে যাব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাহাবুবর রহমানের বলেন, স্থানীয় সমর্থকদের মাধ্যমে নৌকায় সিল মারা ব্যালটের বিষয়ে শুনেছি। এসব ব্যালট তাঁদের কাছে কেন? এটা তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উদ্ধার করার কথা। তাঁরা নৌকার ভোট কমাতে ব্যালট চুরি করেছে। তাঁদের কাছে থাকা ব্যালটগুলো উদ্ধার করে গণনায় সম্পৃক্ত করতে প্রশাসনে মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছি। আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবা রহমান জানিয়েছেন, ভুয়া ব্যালট পেপার উদ্ধারের বিষয়ে কিছু জানি না। নিয়মানুযায়ী ওই ইউনিয়নে আবারও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাইনি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত