প্রযোজক বনি কাপুরকে বিয়ের পর চেন্নাইয়ের আক্কাইয়ে একটি বিশাল বাড়ি কেনেন অভিনেত্রী শ্রীদেবী। সমুদ্রের তীরে চার একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এ প্রাসাদ। সামনে মার্বেলের ভাস্কর্য, ফোয়ারা, সুইমিংপুল, পামের বাগান, সূর্যাস্ত দেখার জন্য নান্দনিক লোকেশন—কী নেই এ বাড়িতে! শ্রীদেবী যত দিন বেঁচেছিলেন, চেন্নাইয়ের এ বাড়িটি ছিল তাঁর অবসরের সঙ্গী। বেশির ভাগ সময় গরমের ছুটি কাটাতে এখানেই হাজির হতো কাপুর পরিবার। ২০১৮ সালে মৃত্যুর আগপর্যন্ত শ্রীদেবীর চাওয়া ছিল, বাড়িটিকে তিনি হোটেলে রূপ দেবেন। কিন্তু তাঁর জীবদ্দশায় সেটা হয়নি। মায়ের সে স্বপ্ন এত দিনে পূরণ করলেন মেয়ে জাহ্নবী কাপুর।

জাহ্নবী সম্প্রতি জানিয়েছেন, ১২ মে থেকে চেন্নাইয়ের এ বাড়িটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে। শ্রীদেবীকে যাঁরা ভালোবাসেন, প্রিয় অভিনেত্রীর স্মৃতিবিজড়িত এ বাড়িতে ভ্রমণ করতে পারবেন তাঁরা। ভাগ্য ভালো হলে দেখা হয়ে যেতে পারে জাহ্নবীর সঙ্গেও, পেতে পারেন তাঁর আতিথেয়তা। আর এ জন্য কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না।

জাহ্নবী কাপুর বলেন, ‘এ বাড়িতে আমরা যে কত সময় কাটিয়েছি! মায়ের জন্মদিন, আমার জন্মদিন, বাবার জন্মদিন—সবই পালন করা হতো সেখানে। তবে সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় বেশি দিন আমরা সেখানে কাটাতে পারিনি। মা সব সময় চাইতেন এটাকে হোটেল বানাতে।’

শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর বাড়ির সংস্কারের কাজে হাত দেন বনি কাপুর। এতদিনে সে কাজ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি ভ্যাকেশন রেন্টাল কোম্পানি এয়ারবিএনবিকে বাড়িটির দায়িত্ব দিয়েছেন জাহ্নবী। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক আমনপ্রীত বাজাজ বলেন, ‘শ্রীদেবীর এ বাড়িতে ছুটি কাটানোর জন্য কোনো অর্থ দিতে হবে না। এটা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে রাখা হয়েছে। তবে তার জন্য আমাদের কাছে আবেদন করতে হবে। কিছু শর্তসাপেক্ষে এ অনুমতি দেওয়া হবে।’

এর মধ্যে নির্বাচিত কিছু অতিথিকে জাহ্নবী নিজেই ঘুরে দেখাবেন বাড়িটি। সেই সঙ্গে দেখাবেন তাঁর স্কিনকেয়ার রুটিন, যা শ্রীদেবী তাঁকে শিখিয়ে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া দক্ষিণ ভারতীয় খাবার তো আছেই! তবে এ বাড়িতে যাঁরা বেড়াতে আসবেন, তাঁদের জন্য কিছু সতর্কতাও দিয়েছেন জাহ্নবী, ‘এখানে মায়ের অনেক স্মৃতি আছে। দয়া করে এখান থেকে কিছু নিয়ে যাবেন না। আমি আমার ভক্তদের অনেক বিশ্বাস করি। পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি সব সময় চাই, আমাদের এ বাড়ির সৌন্দর্য সবাই উপভোগ করুক।’