শাকিলা ববি, সিলেট
সিলেট মহানগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার একটি ছোট খাবার দোকানে শিঙারা, ডালপুরি, পরোটা তৈরি করেন প্রাণকৃষ্ণ দাশ। স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত কয়েক মাস ধরে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
প্রাণকৃষ্ণ বলেন, ‘চাল, ডাল, তেল, নুন, গ্যাস, বিদ্যুৎ সবকিছুরই দাম বাড়ছে। এই চড়া বাজারে পরিবার নিয়ে কোনোরকমে খেয়ে বাঁচাই দায় হয়ে গেছে। সবকিছুরই দাম বাড়ছে, কিন্তু আমাদের শ্রমের মূল্য বাড়ছে না। তাহলে কীভাবে সামঞ্জস্য করব?’
নগরীর একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মাফরোহা সাথী বলেন, ‘আজকে পেঁয়াজের দাম বাড়ে তো কাল তেলের দাম বাড়ে। পরশু গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়ে, এর পরদিন আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ে। সব ঊর্ধ্বমুখীর মাঝে নিম্নমুখী শুধু আমাদের আয়। যে হারে আর দ্রুততার সঙ্গে সবকিছুর দাম বাড়ছে তাতে মনে হয় ১৯৭৪-এর মতো আবার দেশে দুর্ভিক্ষ হবে।’
কয়েক মাস ধরে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনিসহ প্রায় সব পণ্যের দর ঊর্ধ্বমুখী। শীতের মৌসুমে কোনো সবজির দামও কমেনি। বিভিন্ন অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বাড়ছে নিত্যপণ্যের। এ অবস্থায় শুধু বাজার তদারকি নয়, নিয়ন্ত্রণেও সরকারের কার্যকর ভূমিকা চায় সাধারণ মানুষ।
সাংবাদিক মাধব কর্মকার বলেন, ‘যখন বলা হচ্ছে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন কেন আমাদের মুদ্রার মান কমছে? অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা না করলে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে জিডিপি বলি কিংবা অবকাঠামো উন্নয়ন বলি, সেটা সাধারণ মানুষের কোনো কাজেই আসবে না, যদি না জীবনধারণ সহজলভ্য হয়।’
তিনি আরও বলেন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে হারে দাম বেড়েই চলেছে, তাতে করে জীবনধারণ কতটুকু সম্ভব। সরকার যতটুকু দাম বাড়াচ্ছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আরও অধিক দাম বাড়াচ্ছে। বিষয়টি হচ্ছে, সরকার দুদিক থেকেই ব্যর্থ, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা এবং ব্যবসায়ী চক্র না ভাঙতে পারা। বিপদে আছে সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত মানুষেরা। বিশেষ করে আমরা যাঁরা গণমাধ্যমকর্মী আমাদের বেতনে এই বাজারে সংসার চালানো দায়।’
নাট্যকর্মী হুমায়ুন কবির জুয়েল বলেন, ‘খালি বিনোদনে পেট ভরে না। বিভিন্ন অজুহাতে সবকিছুর দাম বাড়ছে ক্রমবর্ধমান হারে। বই, খাতা, কাগজ কলম কোনো কিছুই বাদ পড়ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে এর প্রভাব সর্বক্ষেত্রে পড়বে। সামাজিক দুর্বৃত্তায়ন বাড়বে।’
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নিত্যপণ্যে মূল্যের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ হবে। এটা সরকার চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কারণ দেশের সবচেয়ে বিত্তশালী মানুষ ব্যবসায়ীদের একাংশ আমাদের জাতীয় সংসদে আছে। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কার্যকরী নীতি নির্ধারণ ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সিলেট মহানগরীর মদিনা মার্কেট এলাকার একটি ছোট খাবার দোকানে শিঙারা, ডালপুরি, পরোটা তৈরি করেন প্রাণকৃষ্ণ দাশ। স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত কয়েক মাস ধরে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
প্রাণকৃষ্ণ বলেন, ‘চাল, ডাল, তেল, নুন, গ্যাস, বিদ্যুৎ সবকিছুরই দাম বাড়ছে। এই চড়া বাজারে পরিবার নিয়ে কোনোরকমে খেয়ে বাঁচাই দায় হয়ে গেছে। সবকিছুরই দাম বাড়ছে, কিন্তু আমাদের শ্রমের মূল্য বাড়ছে না। তাহলে কীভাবে সামঞ্জস্য করব?’
নগরীর একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মাফরোহা সাথী বলেন, ‘আজকে পেঁয়াজের দাম বাড়ে তো কাল তেলের দাম বাড়ে। পরশু গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়ে, এর পরদিন আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ে। সব ঊর্ধ্বমুখীর মাঝে নিম্নমুখী শুধু আমাদের আয়। যে হারে আর দ্রুততার সঙ্গে সবকিছুর দাম বাড়ছে তাতে মনে হয় ১৯৭৪-এর মতো আবার দেশে দুর্ভিক্ষ হবে।’
কয়েক মাস ধরে বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, চিনিসহ প্রায় সব পণ্যের দর ঊর্ধ্বমুখী। শীতের মৌসুমে কোনো সবজির দামও কমেনি। বিভিন্ন অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বাড়ছে নিত্যপণ্যের। এ অবস্থায় শুধু বাজার তদারকি নয়, নিয়ন্ত্রণেও সরকারের কার্যকর ভূমিকা চায় সাধারণ মানুষ।
সাংবাদিক মাধব কর্মকার বলেন, ‘যখন বলা হচ্ছে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন কেন আমাদের মুদ্রার মান কমছে? অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তা না করলে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে জিডিপি বলি কিংবা অবকাঠামো উন্নয়ন বলি, সেটা সাধারণ মানুষের কোনো কাজেই আসবে না, যদি না জীবনধারণ সহজলভ্য হয়।’
তিনি আরও বলেন, এই সময়ে দাঁড়িয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের যে হারে দাম বেড়েই চলেছে, তাতে করে জীবনধারণ কতটুকু সম্ভব। সরকার যতটুকু দাম বাড়াচ্ছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আরও অধিক দাম বাড়াচ্ছে। বিষয়টি হচ্ছে, সরকার দুদিক থেকেই ব্যর্থ, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারা এবং ব্যবসায়ী চক্র না ভাঙতে পারা। বিপদে আছে সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত মানুষেরা। বিশেষ করে আমরা যাঁরা গণমাধ্যমকর্মী আমাদের বেতনে এই বাজারে সংসার চালানো দায়।’
নাট্যকর্মী হুমায়ুন কবির জুয়েল বলেন, ‘খালি বিনোদনে পেট ভরে না। বিভিন্ন অজুহাতে সবকিছুর দাম বাড়ছে ক্রমবর্ধমান হারে। বই, খাতা, কাগজ কলম কোনো কিছুই বাদ পড়ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে এর প্রভাব সর্বক্ষেত্রে পড়বে। সামাজিক দুর্বৃত্তায়ন বাড়বে।’
এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নিত্যপণ্যে মূল্যের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ হবে। এটা সরকার চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কারণ দেশের সবচেয়ে বিত্তশালী মানুষ ব্যবসায়ীদের একাংশ আমাদের জাতীয় সংসদে আছে। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কার্যকরী নীতি নির্ধারণ ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে