সম্পাদকীয়
উচ্চ আদালতে মামলাজট ও বিচারপতির সংকট নিয়ে অব্যাহত আলোচনার মুখে আপিল বিভাগে ৩ জন নতুন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২৫ এপ্রিল তাঁরা শপথ নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নতুন তিন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম, বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজের শপথ পাঠ করান।
সুপ্রিম কোর্টে ৯২ জন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন ৩ জন নিয়ে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৮। আর হাইকোর্ট বিভাগে ৮৭ জনের জায়গায় হলো ৮৪ জন। এর মধ্যে ২ জন বিচারপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করছেন।
বছর কয়েক আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আইন কমিশন মামলাজট নিরসন বিষয়ে ২৭ দফা সুপারিশ করেছিল। এর মধ্যে মামলা অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো, ফৌজদারিসহ বেশ কিছু আইন ও বিদ্যমান কয়েকটি আইনের ধারা সংশোধনেরও প্রস্তাব ছিল। কিন্তু এখনো সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি; বরং গত কয়েক বছরে শূন্য হওয়া বিচারপতির পদ পূরণ করা হয়নি। আপিল বিভাগে একসময় ১১ জন ও হাইকোর্ট বিভাগে ১০১ জন বিচারপতি কর্মরত ছিলেন। সেই সংখ্যা এখন কমেছে। আর মামলার সংখ্যা বেড়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত প্রত্যেক বিচারপতির কাছে বিচারাধীন গড় মামলার সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৫টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে ৬ বিচারপতির কাছে রয়েছে ২৪ হাজার ৬১০টি মামলা। অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগে ৮৮ বিচারপতির কাছে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা সোয়া ৫ লাখের বেশি। হাইকোর্ট বিভাগের প্রত্যেক বিচারপতির কাছে ৬ হাজার ৭টি মামলা বিচারাধীন।
শুক্রবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নতুন ৩ বিচারপতিকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম বলেছেন, একটি সমাজ কতটুকু সভ্য, তার সূচক হলো সেই সমাজে ন্যায়বিচার কতটুকু প্রতিষ্ঠিত। আইনের শাসনের ধারণাটি ন্যায়বিচারের সমার্থক।
বিচারপতি শাহিনুরের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার দেশে কতটুকু আছে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তারপরও উচ্চ আদালতকেই মানুষের শেষ আশ্রয় বলে মনে করা হয়। বিচারপতি শাহিনুর তাঁর বক্তৃতায় সংবিধানের প্রতি লক্ষ রেখে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিচারক এবং আইনজীবীদের স্বচ্ছ, কার্যকর ও প্রজ্ঞাসংবলিত ভূমিকার বিষয়টি বিবেচনায় রাখার কথা বলেছেন। কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির স্বার্থ এখানে অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
আমরা নবনিযুক্ত বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ না করে বলতে চাই, মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তি অনুপাতে আদালতে পর্যাপ্তসংখ্যক যোগ্যতাসম্পন্ন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া দরকার। সমস্যার বিষয়টি আমরা সবাই জানি। এখন সমাধানের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। মামলাজট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে। বিচারপ্রার্থী জনগণের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্যই এটি করতে হবে।
উচ্চ আদালতে মামলাজট ও বিচারপতির সংকট নিয়ে অব্যাহত আলোচনার মুখে আপিল বিভাগে ৩ জন নতুন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২৫ এপ্রিল তাঁরা শপথ নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নতুন তিন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম, বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজের শপথ পাঠ করান।
সুপ্রিম কোর্টে ৯২ জন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন ৩ জন নিয়ে আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৮। আর হাইকোর্ট বিভাগে ৮৭ জনের জায়গায় হলো ৮৪ জন। এর মধ্যে ২ জন বিচারপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করছেন।
বছর কয়েক আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আইন কমিশন মামলাজট নিরসন বিষয়ে ২৭ দফা সুপারিশ করেছিল। এর মধ্যে মামলা অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো, ফৌজদারিসহ বেশ কিছু আইন ও বিদ্যমান কয়েকটি আইনের ধারা সংশোধনেরও প্রস্তাব ছিল। কিন্তু এখনো সেগুলো বাস্তবায়ন হয়নি; বরং গত কয়েক বছরে শূন্য হওয়া বিচারপতির পদ পূরণ করা হয়নি। আপিল বিভাগে একসময় ১১ জন ও হাইকোর্ট বিভাগে ১০১ জন বিচারপতি কর্মরত ছিলেন। সেই সংখ্যা এখন কমেছে। আর মামলার সংখ্যা বেড়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত প্রত্যেক বিচারপতির কাছে বিচারাধীন গড় মামলার সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৫টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে ৬ বিচারপতির কাছে রয়েছে ২৪ হাজার ৬১০টি মামলা। অন্যদিকে হাইকোর্ট বিভাগে ৮৮ বিচারপতির কাছে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা সোয়া ৫ লাখের বেশি। হাইকোর্ট বিভাগের প্রত্যেক বিচারপতির কাছে ৬ হাজার ৭টি মামলা বিচারাধীন।
শুক্রবার আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে নতুন ৩ বিচারপতিকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম বলেছেন, একটি সমাজ কতটুকু সভ্য, তার সূচক হলো সেই সমাজে ন্যায়বিচার কতটুকু প্রতিষ্ঠিত। আইনের শাসনের ধারণাটি ন্যায়বিচারের সমার্থক।
বিচারপতি শাহিনুরের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার দেশে কতটুকু আছে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তারপরও উচ্চ আদালতকেই মানুষের শেষ আশ্রয় বলে মনে করা হয়। বিচারপতি শাহিনুর তাঁর বক্তৃতায় সংবিধানের প্রতি লক্ষ রেখে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্থিতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিচারক এবং আইনজীবীদের স্বচ্ছ, কার্যকর ও প্রজ্ঞাসংবলিত ভূমিকার বিষয়টি বিবেচনায় রাখার কথা বলেছেন। কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির স্বার্থ এখানে অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
আমরা নবনিযুক্ত বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ না করে বলতে চাই, মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তি অনুপাতে আদালতে পর্যাপ্তসংখ্যক যোগ্যতাসম্পন্ন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া দরকার। সমস্যার বিষয়টি আমরা সবাই জানি। এখন সমাধানের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। মামলাজট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে। বিচারপ্রার্থী জনগণের দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্যই এটি করতে হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে