খান রফিক, বরিশাল
বরিশালের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পানি সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত তিন দিন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত পানি থাকছে না। আবার কোনো ওয়ার্ডে দুপুর কিংবা রাতেও হঠাৎ পানি পাওয়া যায় না। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন হাসপাতালে দৈনিক থাকা দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ রোগী। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের চাপে সংকট আরও বাড়ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের সর্বোচ্চ ফোরাম স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় পানিসংকটের কথা উত্থাপন করা হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের ডি ব্লকের (মেডিসিন-২) একাধিক রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, শুক্রবার ভোরে বাথরুমে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে পানি সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু বেলা ১টা থেকে আবার সংকট দেখা দেয়। এতে ওয়ার্ডের শতাধিক রোগী বিপাকে পড়েন। এমন ঘটনা গত তিন দিন ধরে হচ্ছে। একই অভিযোগ পাওয়া গেছে হাসপাতালের লেবার ও গাইনি ওয়ার্ড থেকে। রোগীর স্বজনেরা জানিয়েছেন, পানি না থাকায় অনেক সময় হাসপাতালের নিচে গিয়ে কল থেকে সংগ্রহ করতে হয়। তবে এমনটা সারা দিন নয় বলে জানান রোগীরা।
জানতে চাইলে বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের শেবাচিম হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, হাসপাতালে পানি সরবরাহ চলমান আছে। তবে কয়েক দিন বিদ্যুতের সমস্যা থাকায় সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। অনেক সময় আবার লাইনে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে তিনি দাবি করেন মেডিসিন, লেবার, গাইনি ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি। তাই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ট্যাংকের পানিও শেষ হয়ে যেতে পারে।
প্রকৌশলী ফিরোজ জানান, ডি ব্লকের মোটর আলাদা, সেখানে ডায়ালাইসিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা থাকায় পানির দরকার। ওইসব ওয়ার্ডে পানিসংকট কেন হচ্ছে, তা তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
তবে শুক্রবার দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালে এভাবে পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে দীর্ঘদিন। এখানকার বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। সম্প্রতি স্বরূপকাঠির এক গর্ভবতী নারী বাথরুমে প্রসব করায় নবজাতক টয়লেটের পাইপের ভেতরে ঢুকে যায়। পরে নবজাতকের বাবা পাইপ ভেঙে উদ্ধার করেন। এ নিয়ে হাসপাতালে তোলপাড় ঘটে।
অবশ্য শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দৈনিক রোগী ভর্তি থাকেন ১৫০০ থেকে ১৮০০ জন। এর সঙ্গে রোগীর স্বজন থাকেন দ্বিগুণ। এই বাড়তি লোকের চাপ বহন করার সামর্থ্য নেই গণপূর্ত বিভাগের।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য স্বীকার করে বলেন, পানিসংকট হাসপাতালে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতি সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর কাছে পানিসংকটের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। সভায় পানিসংকট নিরসনে লাইন সংস্কার, মোটর স্থাপন, বাথরুম সংস্কার এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি পরিচালক ডা. সাইফুল অকপটে স্বীকার করে বলেন, রোগীদের কষ্টের কথা জেনে ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি নিরসনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এদিকে ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পানিসংকটসহ নানা বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সদস্যরা।
এ ব্যাপারে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, পানির মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতে না পরায় শেবাচিম হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা কমিটির এ বিষয়টি কি আগে থেকে জানা ছিল না? শেবাচিম হাসপাতালের পানিসংকট দূরীকরণে দীর্ঘমেয়াদি পানি ব্যবস্থাপনা সৃষ্টির আহ্বান জানান।
বরিশালের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পানি সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গত তিন দিন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত পানি থাকছে না। আবার কোনো ওয়ার্ডে দুপুর কিংবা রাতেও হঠাৎ পানি পাওয়া যায় না। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন হাসপাতালে দৈনিক থাকা দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ রোগী। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের চাপে সংকট আরও বাড়ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালের সর্বোচ্চ ফোরাম স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় পানিসংকটের কথা উত্থাপন করা হয়েছে।
শেবাচিম হাসপাতালের ডি ব্লকের (মেডিসিন-২) একাধিক রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, শুক্রবার ভোরে বাথরুমে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে পানি সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু বেলা ১টা থেকে আবার সংকট দেখা দেয়। এতে ওয়ার্ডের শতাধিক রোগী বিপাকে পড়েন। এমন ঘটনা গত তিন দিন ধরে হচ্ছে। একই অভিযোগ পাওয়া গেছে হাসপাতালের লেবার ও গাইনি ওয়ার্ড থেকে। রোগীর স্বজনেরা জানিয়েছেন, পানি না থাকায় অনেক সময় হাসপাতালের নিচে গিয়ে কল থেকে সংগ্রহ করতে হয়। তবে এমনটা সারা দিন নয় বলে জানান রোগীরা।
জানতে চাইলে বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের শেবাচিম হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, হাসপাতালে পানি সরবরাহ চলমান আছে। তবে কয়েক দিন বিদ্যুতের সমস্যা থাকায় সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। অনেক সময় আবার লাইনে ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে তিনি দাবি করেন মেডিসিন, লেবার, গাইনি ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি। তাই মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ট্যাংকের পানিও শেষ হয়ে যেতে পারে।
প্রকৌশলী ফিরোজ জানান, ডি ব্লকের মোটর আলাদা, সেখানে ডায়ালাইসিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা থাকায় পানির দরকার। ওইসব ওয়ার্ডে পানিসংকট কেন হচ্ছে, তা তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
তবে শুক্রবার দুপুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালে এভাবে পানি সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে দীর্ঘদিন। এখানকার বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। সম্প্রতি স্বরূপকাঠির এক গর্ভবতী নারী বাথরুমে প্রসব করায় নবজাতক টয়লেটের পাইপের ভেতরে ঢুকে যায়। পরে নবজাতকের বাবা পাইপ ভেঙে উদ্ধার করেন। এ নিয়ে হাসপাতালে তোলপাড় ঘটে।
অবশ্য শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দৈনিক রোগী ভর্তি থাকেন ১৫০০ থেকে ১৮০০ জন। এর সঙ্গে রোগীর স্বজন থাকেন দ্বিগুণ। এই বাড়তি লোকের চাপ বহন করার সামর্থ্য নেই গণপূর্ত বিভাগের।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য স্বীকার করে বলেন, পানিসংকট হাসপাতালে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতি সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর কাছে পানিসংকটের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে। সভায় পানিসংকট নিরসনে লাইন সংস্কার, মোটর স্থাপন, বাথরুম সংস্কার এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো ওয়ার্ডে পানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি পরিচালক ডা. সাইফুল অকপটে স্বীকার করে বলেন, রোগীদের কষ্টের কথা জেনে ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি নিরসনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এদিকে ব্যবস্থাপনা কমিটির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পানিসংকটসহ নানা বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সদস্যরা।
এ ব্যাপারে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, পানির মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতে না পরায় শেবাচিম হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা কমিটির এ বিষয়টি কি আগে থেকে জানা ছিল না? শেবাচিম হাসপাতালের পানিসংকট দূরীকরণে দীর্ঘমেয়াদি পানি ব্যবস্থাপনা সৃষ্টির আহ্বান জানান।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৫ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৭ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে