বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার ডক্টরস কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে এক চিকিৎসক ৭৫ টাকার ইনজেকশন পুশ করে তিন হাজার টাকা আদায় করেছেন। ওই চিকিৎসকের নাম মো. শিহাব উদ্দিন শিহাব। তিনি বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
শিহাব উদ্দিন শিহাব বরগুনার কলেজ রোডের ডক্টরস কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে প্রতি মাসের দুইবার রোগী দেখেন। এ উপলক্ষে বরগুনার নিয়মিত মাইকিং করা হয়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আবদুর রাজ্জাক ও রিয়াজুল ইসলাম নামের দুজন ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সাইনোকর্ট নামের ওই ইনজেকশন দিয়ে তাঁদের স্বজনদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে আদায় করেন চিকিৎসক শিহাব। বিভিন্ন ফার্মেসিতে ইনজেকশনটি বিক্রি করা হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।
অভিযোগকারী আবদুর রাজ্জাক বরগুনা সদর উপজেলার লাকুরতলা এলাকার বাসিন্দা। আর রিয়াজুল ইসলাম সদর উপজেলার কুমড়াখালী এলাকার বাসিন্দা।
জানতে চাইলে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। তার মেরুদণ্ড এবং পায়ে ব্যথা। তাই শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ডক্টরস কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে ডাক্তার শিহাব উদ্দিন শিহাবের কাছে যাই। ৬০০ টাকা ভিজিট দিই। চিকিৎসক শিহাব উদ্দিন শিহাব আমার স্ত্রীকে দেখে দুটি এক্স-রে এবং রক্তের জন্য তিনটি টেস্ট দেন।
এ জন্য ব্যয় হয় ১ হাজার ৮০০ টাকা।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপর রিপোর্ট নিয়ে ফের ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি আমার স্ত্রীকে সাইনোকর্ট নামের একটি ইনজেকশন পুশ করার কথা বলেন। ইনজেকশনটি ডাক্তারের কাছেই আছে। এর দাম তিন হাজার টাকা। পুশ করার জন্য কোনো চার্জ দিতে হবে না বলেও জানান তিনি। পরে আমি বাইরে থেকে ইনজেকশনটি কিনে পুশ করতে চাই। এ জন্য ইনজেকশনটির নাম লিখে দিতে বললে তিনি রাজি হননি। পরে আমি ডাক্তারকে তিন হাজার টাকা দিই। ডাক্তার নিজেই আমার স্ত্রীকে ইনজেকশন পুশ করেন।’
রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রীর বোন মোসা. পারভীন আক্তারকে সাইনোকর্ট নামের ইনজেকশন পুশ করে তিন হাজার টাকা নিয়েছেন চিকিৎসক শিহাব উদ্দীন। একজন ডাক্তার এমন প্রতারণা করতে পারেন, তা আমি ভাবতেই পারি না। আমি এমন প্রচারণার বিচার চাই।’
তবে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে চিকিৎসক শিহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, ‘সাইনোকর্ট নামের ইনজেকশনটির দাম কম। বাইরে এটি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় পুশ করা হয়। তবে এটি পুশ করতে সিনিয়র চিকিৎসকেরা তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত নেন। আবার গরিব রোগীদের ফ্রি পুশ করা হয়।’
এ বিষয়ে ডক্টরস কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহীম বলেন, ‘সাইনোকর্ট নামের ইনজেকশনটির দাম বড়জোর ৭৫ টাকা। এটার দামসহ পুশ করার জন্য ডা. শিহাবতিন হাজার টাকা নেন। এই ইনজেকশন তাঁর কাছেই থাকে। এই ইনজেকশনের কথা ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করা হয় না। তবে এই টাকার কোনো ভাগ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পায় না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক বলেন, ‘এই ইনজেকশনে পুশ করার জন্য ঢাকাতেও ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার বেশি নেওয়া হয় না। সিনিয়র ও উচ্চ ডিগ্রিধারী চিকিৎসকেরাও এ ইনজেকশন পুশ করে এক হাজার টাকার বেশি নেন বলে আমার জানা নেই।’
বরগুনার সিভিল সার্জন মুহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব। অভিযোগের যদি সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরগুনার ডক্টরস কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে এক চিকিৎসক ৭৫ টাকার ইনজেকশন পুশ করে তিন হাজার টাকা আদায় করেছেন। ওই চিকিৎসকের নাম মো. শিহাব উদ্দিন শিহাব। তিনি বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
শিহাব উদ্দিন শিহাব বরগুনার কলেজ রোডের ডক্টরস কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে প্রতি মাসের দুইবার রোগী দেখেন। এ উপলক্ষে বরগুনার নিয়মিত মাইকিং করা হয়।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আবদুর রাজ্জাক ও রিয়াজুল ইসলাম নামের দুজন ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সাইনোকর্ট নামের ওই ইনজেকশন দিয়ে তাঁদের স্বজনদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে আদায় করেন চিকিৎসক শিহাব। বিভিন্ন ফার্মেসিতে ইনজেকশনটি বিক্রি করা হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।
অভিযোগকারী আবদুর রাজ্জাক বরগুনা সদর উপজেলার লাকুরতলা এলাকার বাসিন্দা। আর রিয়াজুল ইসলাম সদর উপজেলার কুমড়াখালী এলাকার বাসিন্দা।
জানতে চাইলে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। তার মেরুদণ্ড এবং পায়ে ব্যথা। তাই শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ডক্টরস কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালে ডাক্তার শিহাব উদ্দিন শিহাবের কাছে যাই। ৬০০ টাকা ভিজিট দিই। চিকিৎসক শিহাব উদ্দিন শিহাব আমার স্ত্রীকে দেখে দুটি এক্স-রে এবং রক্তের জন্য তিনটি টেস্ট দেন।
এ জন্য ব্যয় হয় ১ হাজার ৮০০ টাকা।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপর রিপোর্ট নিয়ে ফের ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি আমার স্ত্রীকে সাইনোকর্ট নামের একটি ইনজেকশন পুশ করার কথা বলেন। ইনজেকশনটি ডাক্তারের কাছেই আছে। এর দাম তিন হাজার টাকা। পুশ করার জন্য কোনো চার্জ দিতে হবে না বলেও জানান তিনি। পরে আমি বাইরে থেকে ইনজেকশনটি কিনে পুশ করতে চাই। এ জন্য ইনজেকশনটির নাম লিখে দিতে বললে তিনি রাজি হননি। পরে আমি ডাক্তারকে তিন হাজার টাকা দিই। ডাক্তার নিজেই আমার স্ত্রীকে ইনজেকশন পুশ করেন।’
রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার স্ত্রীর বোন মোসা. পারভীন আক্তারকে সাইনোকর্ট নামের ইনজেকশন পুশ করে তিন হাজার টাকা নিয়েছেন চিকিৎসক শিহাব উদ্দীন। একজন ডাক্তার এমন প্রতারণা করতে পারেন, তা আমি ভাবতেই পারি না। আমি এমন প্রচারণার বিচার চাই।’
তবে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে চিকিৎসক শিহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, ‘সাইনোকর্ট নামের ইনজেকশনটির দাম কম। বাইরে এটি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় পুশ করা হয়। তবে এটি পুশ করতে সিনিয়র চিকিৎসকেরা তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত নেন। আবার গরিব রোগীদের ফ্রি পুশ করা হয়।’
এ বিষয়ে ডক্টরস কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহীম বলেন, ‘সাইনোকর্ট নামের ইনজেকশনটির দাম বড়জোর ৭৫ টাকা। এটার দামসহ পুশ করার জন্য ডা. শিহাবতিন হাজার টাকা নেন। এই ইনজেকশন তাঁর কাছেই থাকে। এই ইনজেকশনের কথা ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করা হয় না। তবে এই টাকার কোনো ভাগ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পায় না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক বলেন, ‘এই ইনজেকশনে পুশ করার জন্য ঢাকাতেও ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার বেশি নেওয়া হয় না। সিনিয়র ও উচ্চ ডিগ্রিধারী চিকিৎসকেরাও এ ইনজেকশন পুশ করে এক হাজার টাকার বেশি নেন বলে আমার জানা নেই।’
বরগুনার সিভিল সার্জন মুহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব। অভিযোগের যদি সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে