আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কর্তৃপক্ষে (এনটিআরসিএ) ত্রুটিপূর্ণ চাহিদাপত্র পাঠিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করায় মনিরামপুরের চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের তিন মাস করে বেতন ও ভাতার টাকা কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ওই চারজন হলেন টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাস চন্দ্র দাস, সুন্দলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলী, আহমদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান ও কপালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার পাল।
অভিযুক্ত চার প্রধান শিক্ষকের মধ্যে আতিয়ার রহমানের তিন মাসের ও অসীম কুমার পালের দুই মাসের বেতন ও ভাতা কাটা হয়েছে। আর প্রভাস চন্দ্র দাস ও সাহেদ আলীর বেতন ও ভাতা কাটার সিদ্ধান্ত হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি বলে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএতে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদা পাঠানো হয়। এনটিআরসিএর মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে সুপারিশ পাওয়া সত্ত্বেও ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার কারণে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকের এমপিওভুক্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠান চারটিতে ১১ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাপত্র এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়।
এর মধ্যে টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাস চন্দ্র দুজন, সুন্দলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলী দুজন, আহমেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান চারজন ও কপালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম পাল তিনজন সহকারী শিক্ষক চেয়ে এনটিআরসিএতে চাহিদাপত্র পাঠান।
চাহিদা অনুযায়ী এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেন। পরে যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে এ চার প্রধান শিক্ষকের চাহিদাপত্র ত্রুটিপূর্ণ। ফলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাঁরা মাসের পর মাস চাকরি করেও বেতন পাননি। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। পরে এসব অভিযোগ লিখিত আকারে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা পড়ে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুন জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়। এসব পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয় আলাদা আদেশ জারি করার কথা ছিল। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশ প্রকাশিত হওয়ার আগেই শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাপত্র পাঠান। ফলে নিয়োগে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘২০১৮ সালের জনবল কাঠামো অনুযায়ী কোনো মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ প্রাথমিক শিক্ষা না রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংযুক্ত আছে সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের আশপাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।’
বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘মৌখিক এই সিদ্ধান্ত হলেও লিখিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। ফলে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ চেয়ে প্রধান শিক্ষকেরা বিপাকে পড়েন।’
আহমেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বেতন এবং ভাতা বাবদ ১ লাখের বেশি টাকা কাটা করা হয়েছে।’
কপালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার পাল বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমার দুই মাসের বেতন কাটা গেছে।’
সুন্দলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদ আলী বলেন, ‘বেতন কাটার কোনো চিঠি পাইনি। আমি বেতন পাচ্ছি।’
টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাস চন্দ্র একই দাবি করেছেন।
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কর্তৃপক্ষে (এনটিআরসিএ) ত্রুটিপূর্ণ চাহিদাপত্র পাঠিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করায় মনিরামপুরের চারটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের তিন মাস করে বেতন ও ভাতার টাকা কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ওই চারজন হলেন টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাস চন্দ্র দাস, সুন্দলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলী, আহমদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান ও কপালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার পাল।
অভিযুক্ত চার প্রধান শিক্ষকের মধ্যে আতিয়ার রহমানের তিন মাসের ও অসীম কুমার পালের দুই মাসের বেতন ও ভাতা কাটা হয়েছে। আর প্রভাস চন্দ্র দাস ও সাহেদ আলীর বেতন ও ভাতা কাটার সিদ্ধান্ত হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি বলে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই চিঠি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য এনটিআরসিএতে ত্রুটিপূর্ণ চাহিদা পাঠানো হয়। এনটিআরসিএর মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে সুপারিশ পাওয়া সত্ত্বেও ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার কারণে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকের এমপিওভুক্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠান চারটিতে ১১ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাপত্র এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়।
এর মধ্যে টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাস চন্দ্র দুজন, সুন্দলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলী দুজন, আহমেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান চারজন ও কপালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম পাল তিনজন সহকারী শিক্ষক চেয়ে এনটিআরসিএতে চাহিদাপত্র পাঠান।
চাহিদা অনুযায়ী এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেন। পরে যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে এ চার প্রধান শিক্ষকের চাহিদাপত্র ত্রুটিপূর্ণ। ফলে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাঁরা মাসের পর মাস চাকরি করেও বেতন পাননি। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। পরে এসব অভিযোগ লিখিত আকারে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে জমা পড়ে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ জুন জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়। এসব পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয় আলাদা আদেশ জারি করার কথা ছিল। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশ প্রকাশিত হওয়ার আগেই শিক্ষক নিয়োগের চাহিদাপত্র পাঠান। ফলে নিয়োগে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘২০১৮ সালের জনবল কাঠামো অনুযায়ী কোনো মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ প্রাথমিক শিক্ষা না রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয় সংযুক্ত আছে সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের আশপাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।’
বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘মৌখিক এই সিদ্ধান্ত হলেও লিখিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। ফলে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ চেয়ে প্রধান শিক্ষকেরা বিপাকে পড়েন।’
আহমেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমার মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বেতন এবং ভাতা বাবদ ১ লাখের বেশি টাকা কাটা করা হয়েছে।’
কপালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার পাল বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমার দুই মাসের বেতন কাটা গেছে।’
সুন্দলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহেদ আলী বলেন, ‘বেতন কাটার কোনো চিঠি পাইনি। আমি বেতন পাচ্ছি।’
টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাস চন্দ্র একই দাবি করেছেন।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে