চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা হর্টিকালচার সেন্টার (উদ্যানকর্ষণ কেন্দ্র) আয় করেছে এমন নজির নেই। শুরু থেকেই লোকসানে আছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। অথচ এ জেলায় নার্সারি করে লোকসান হয়েছে-এমন খবর নেই। নার্সারি মালিকদের মতে নার্সারি সব সময় লাভজনক হলেও, হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তারা প্রতি বছরের এ লোকসানকে সরকারের ভর্তুকি বলে মনে করছেন।
চুয়াডাঙ্গা হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তারা জানান, ৩৭ শতাংশ জমির ওপর এর অবস্থান। ১০টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন আটজন। দুটি পদ শূন্য। অনিয়মিত শ্রমিক আছেন একজন। চারা ও কলম উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা, তা পূরণ হয় প্রতিবছরই। গত অর্থবছরে কেন্দ্রটি মোট ব্যয় করেছে ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ৪১৫ টাকা। বিপরীতে আয় করেছে ৩ লাখ ২২ হাজার ২৯ টাকা। লোকসান হয়েছে ৩২ লাখ ১৯ হাজার ৩৮৬ টাকা। প্রতিষ্ঠানের খরচের মধ্যে আছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, নার্সারি পরিচর্যা এবং চারা ও কলমের উৎপাদন ব্যয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে নার্সারি পরিচর্যা, চারা ও কলম তৈরিতে খরচ হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার টাকা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে হয়েছে ২৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৩৫ টাকা। গত কয়েক বছর প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ৩০ লাখ টাকা করে লোকসান করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কেন্দ্রটি ব্যয় করেছিল ৩৯ লাখ ৪৫২ টাকা। আয় করে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫ টাকা অর্থাৎ লোকসান ৩৭ লাখ ১ হাজার ৪১৭ টাকা। এখানে লিচু, কতবেল, নারিকেল, পেয়ারা, কোরিয়ান জাম, মিষ্টি তেঁতুল, জলপাই, কামরাঙা, লেবু, বাতাবি লেবু প্রভৃতি গাছের চারা পাওয়া যায়। তবে জমি কম হওয়ায় বেশির ভাগ সময় চারার চাহিদা পূরণ করা যায় না।
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ার সেলিমুল হাবিব বেশ কয়েকটি বড় ফলের বাগান তৈরি করেছেন। তিনি জানান, সরকারি কেন্দ্র থেকে তিনি কোনো চারা কেনেননি। এখানে আধুনিক জাতের চারা পাওয়া যায় না। আধুনিক জাতের চারা কেনার জন্য তিনি অন্য জেলায় গিয়েছিলেন।
চুয়াডাঙ্গার ফেরিঘাট রোডের হেলাল হোসেন জোয়ার্দার একজন সফল নার্সারি ব্যবসায়ী। ১৯৮৪ সাল থেকে এ ব্যবসা করেন। আগ্রহীদের নার্সারি তৈরিতে সহযোগিতার জন্য তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছেন। হেলাল জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠান না হলে চুয়াডাঙ্গার হর্টিকালচার সেন্টারটিকে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। এখানে জমি আছে ৩৭ শতাংশ। ৩৩ শতাংশ (এক বিঘা) জমি নিয়ে কেউ যদি নার্সারি করে, তাহলেও তাঁর বছরে সব খরচ বাদে আয় হবে পাঁচ লাখ টাকা। তিনি বলেন, ‘বাগান করতে আগ্রহীরা ভালো জাত এবং ফলন বেশি হবে, এমন ধরনের চারা নিতে আগ্রহী। এমন চারা তৈরির জন্য সরকারি কেন্দ্রে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবস্থা নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নার্সারি মালিক বলেন, ‘যে স্থানে চুয়াডাঙ্গা হর্টিকালচার সেন্টারটির অবস্থান, সেখানে পরিধি বাড়ানোর সুযোগ নেই। এ জন্য কর্তৃপক্ষ শহরের বাইরে আলাদাভাবে জমি নিয়ে বৃহৎ আকারে উদ্যানকর্ষণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে একই লোকবলে সরকার লাভের মুখ দেখতে পারে।’
এসব বিষয়ে কেন্দ্রের নার্সারি তত্ত্বাবধায়ক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আওলাদ হোসেন জানান, মেহেরপুরের হর্টিকালচার সেন্টার ৩২ একর জমিতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের হর্টিকালচারে জমি আছে ৪৫ একর। এখানে জমি কম। প্রশিক্ষণকক্ষ নেই। গ্রিন হাউসের জায়গা নেই। শেডের চারা ১০ দিন রাখার পর রোদে দিলে ভালো হয়, এ ব্যবস্থাও নেই। কেন্দ্রের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বড় গাছ থাকায় চারার ওপর ছায়া পড়ে। এতে চারা উৎপাদন ব্যাহত হয়। এসব সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাগান তৈরিতে আগ্রহীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এখান থেকে সরকার নির্ধারিত স্বল্প মূল্যে চারা বিক্রি করা হয়, সেটাই মূল লক্ষ্য। লাভ-লোকসান বড় করে দেখা হয় না।’
চুয়াডাঙ্গা হর্টিকালচার সেন্টার (উদ্যানকর্ষণ কেন্দ্র) আয় করেছে এমন নজির নেই। শুরু থেকেই লোকসানে আছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। অথচ এ জেলায় নার্সারি করে লোকসান হয়েছে-এমন খবর নেই। নার্সারি মালিকদের মতে নার্সারি সব সময় লাভজনক হলেও, হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তারা প্রতি বছরের এ লোকসানকে সরকারের ভর্তুকি বলে মনে করছেন।
চুয়াডাঙ্গা হর্টিকালচার সেন্টারের কর্মকর্তারা জানান, ৩৭ শতাংশ জমির ওপর এর অবস্থান। ১০টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন আটজন। দুটি পদ শূন্য। অনিয়মিত শ্রমিক আছেন একজন। চারা ও কলম উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা, তা পূরণ হয় প্রতিবছরই। গত অর্থবছরে কেন্দ্রটি মোট ব্যয় করেছে ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ৪১৫ টাকা। বিপরীতে আয় করেছে ৩ লাখ ২২ হাজার ২৯ টাকা। লোকসান হয়েছে ৩২ লাখ ১৯ হাজার ৩৮৬ টাকা। প্রতিষ্ঠানের খরচের মধ্যে আছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, নার্সারি পরিচর্যা এবং চারা ও কলমের উৎপাদন ব্যয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে নার্সারি পরিচর্যা, চারা ও কলম তৈরিতে খরচ হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার টাকা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে হয়েছে ২৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৩৫ টাকা। গত কয়েক বছর প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ৩০ লাখ টাকা করে লোকসান করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কেন্দ্রটি ব্যয় করেছিল ৩৯ লাখ ৪৫২ টাকা। আয় করে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫ টাকা অর্থাৎ লোকসান ৩৭ লাখ ১ হাজার ৪১৭ টাকা। এখানে লিচু, কতবেল, নারিকেল, পেয়ারা, কোরিয়ান জাম, মিষ্টি তেঁতুল, জলপাই, কামরাঙা, লেবু, বাতাবি লেবু প্রভৃতি গাছের চারা পাওয়া যায়। তবে জমি কম হওয়ায় বেশির ভাগ সময় চারার চাহিদা পূরণ করা যায় না।
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ার সেলিমুল হাবিব বেশ কয়েকটি বড় ফলের বাগান তৈরি করেছেন। তিনি জানান, সরকারি কেন্দ্র থেকে তিনি কোনো চারা কেনেননি। এখানে আধুনিক জাতের চারা পাওয়া যায় না। আধুনিক জাতের চারা কেনার জন্য তিনি অন্য জেলায় গিয়েছিলেন।
চুয়াডাঙ্গার ফেরিঘাট রোডের হেলাল হোসেন জোয়ার্দার একজন সফল নার্সারি ব্যবসায়ী। ১৯৮৪ সাল থেকে এ ব্যবসা করেন। আগ্রহীদের নার্সারি তৈরিতে সহযোগিতার জন্য তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছেন। হেলাল জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠান না হলে চুয়াডাঙ্গার হর্টিকালচার সেন্টারটিকে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো। এখানে জমি আছে ৩৭ শতাংশ। ৩৩ শতাংশ (এক বিঘা) জমি নিয়ে কেউ যদি নার্সারি করে, তাহলেও তাঁর বছরে সব খরচ বাদে আয় হবে পাঁচ লাখ টাকা। তিনি বলেন, ‘বাগান করতে আগ্রহীরা ভালো জাত এবং ফলন বেশি হবে, এমন ধরনের চারা নিতে আগ্রহী। এমন চারা তৈরির জন্য সরকারি কেন্দ্রে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবস্থা নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নার্সারি মালিক বলেন, ‘যে স্থানে চুয়াডাঙ্গা হর্টিকালচার সেন্টারটির অবস্থান, সেখানে পরিধি বাড়ানোর সুযোগ নেই। এ জন্য কর্তৃপক্ষ শহরের বাইরে আলাদাভাবে জমি নিয়ে বৃহৎ আকারে উদ্যানকর্ষণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে একই লোকবলে সরকার লাভের মুখ দেখতে পারে।’
এসব বিষয়ে কেন্দ্রের নার্সারি তত্ত্বাবধায়ক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আওলাদ হোসেন জানান, মেহেরপুরের হর্টিকালচার সেন্টার ৩২ একর জমিতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের হর্টিকালচারে জমি আছে ৪৫ একর। এখানে জমি কম। প্রশিক্ষণকক্ষ নেই। গ্রিন হাউসের জায়গা নেই। শেডের চারা ১০ দিন রাখার পর রোদে দিলে ভালো হয়, এ ব্যবস্থাও নেই। কেন্দ্রের পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বড় গাছ থাকায় চারার ওপর ছায়া পড়ে। এতে চারা উৎপাদন ব্যাহত হয়। এসব সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাগান তৈরিতে আগ্রহীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এখান থেকে সরকার নির্ধারিত স্বল্প মূল্যে চারা বিক্রি করা হয়, সেটাই মূল লক্ষ্য। লাভ-লোকসান বড় করে দেখা হয় না।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে