তানভীর হাসান, শাবিপ্রবি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। সেদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। পরে ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়; কিন্তু দুই বছরেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সেই কমিটি।
এদিকে, আন্দোলনের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছিল। তবে সেই মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে পুলিশ মুখ খুলছে না। তবে মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই সময়ের আন্দোলনের মুখপাত্র।
তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব তৎকালীন রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্তকাজ সম্ভবত শেষ হয়নি। তদন্ত কমিটির সভাপতি (অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার) সে সময় তদন্তের বিষয়ে যতগুলো সভা করেছেন, আমি সবগুলোতেই ছিলাম। যতটুকু জানি, এখনো ওই অবস্থায় আছে। তবে তিনি (তদন্ত কমিটির সভাপতি) ভালো বলতে পারবেন। আমার মতে, তদন্ত শেষ হয়নি। আমি থাকা অবস্থায় এটা শেষ হয়নি।’
২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। ১৬ জানুয়ারি বেলা পৌনে ৩টার দিকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য তাঁর কার্যালয় থেকে বের হয়ে ডিনদের এক সভায় যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়লে সঙ্গে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাঁকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে আশ্রয় নেন। পরে শিক্ষার্থীরা ওই ভবনের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ উপাচার্যকে মুক্ত করতে ভবনের ভেতরে ঢুকতে চাইলে আন্দোলনকারীরা বাধা দেন। তখন বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্যকে মুক্ত করে তাঁর বাসভবনে নিয়ে আসে।
পরে এই আন্দোলন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নানা কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। সে সময় টানা এক মাস আন্দোলনের পর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।
ওই ঘটনায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারকে সভাপতি ও তৎকালীন রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেনকে সদস্যসচিব করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। ওই কমিটির সদস্য করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসী কুমার দাসকে।
এ বিষয়ে জানতে তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি পরে কথা বলবেন জানিয়ে কেটে দেন; কিন্তু পরে কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।
আন্দোলনের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা ৩০০ শিক্ষার্থীর নামে যে মামলা হয়েছিল, তা এখনো তুলে নেওয়া হয়নি। আবার তদন্ত কমিটিরও কোনো প্রতিবেদন জমা হয়েছে কি না, এমন কিছুই জানতে পারিনি।’
ঘটনার দিন অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ। মামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জন অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হান্নান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মামলার আপডেট জানতে হলে (আপনাকে) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমরা মূলত সেভাবে কথা বলতে পারি না। সমস্যা আমাদেরও।’
পরে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলে তিনি প্রতিবারই মামলার আপডেট জেনে পরে জানাবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব ধরনের মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে।’
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে। সেদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে পুলিশ। পরে ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়; কিন্তু দুই বছরেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি সেই কমিটি।
এদিকে, আন্দোলনের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছিল। তবে সেই মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে কি না, সে বিষয়ে পুলিশ মুখ খুলছে না। তবে মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই সময়ের আন্দোলনের মুখপাত্র।
তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব তৎকালীন রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তদন্তকাজ সম্ভবত শেষ হয়নি। তদন্ত কমিটির সভাপতি (অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার) সে সময় তদন্তের বিষয়ে যতগুলো সভা করেছেন, আমি সবগুলোতেই ছিলাম। যতটুকু জানি, এখনো ওই অবস্থায় আছে। তবে তিনি (তদন্ত কমিটির সভাপতি) ভালো বলতে পারবেন। আমার মতে, তদন্ত শেষ হয়নি। আমি থাকা অবস্থায় এটা শেষ হয়নি।’
২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। ১৬ জানুয়ারি বেলা পৌনে ৩টার দিকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্য তাঁর কার্যালয় থেকে বের হয়ে ডিনদের এক সভায় যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়লে সঙ্গে থাকা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাঁকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে আশ্রয় নেন। পরে শিক্ষার্থীরা ওই ভবনের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ উপাচার্যকে মুক্ত করতে ভবনের ভেতরে ঢুকতে চাইলে আন্দোলনকারীরা বাধা দেন। তখন বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিপেটা করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে উপাচার্যকে মুক্ত করে তাঁর বাসভবনে নিয়ে আসে।
পরে এই আন্দোলন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে নানা কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। সে সময় টানা এক মাস আন্দোলনের পর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।
ওই ঘটনায় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারকে সভাপতি ও তৎকালীন রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেনকে সদস্যসচিব করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। ওই কমিটির সদস্য করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক তুলসী কুমার দাসকে।
এ বিষয়ে জানতে তদন্ত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদারকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি পরে কথা বলবেন জানিয়ে কেটে দেন; কিন্তু পরে কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি।
আন্দোলনের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, ‘অজ্ঞাতনামা ৩০০ শিক্ষার্থীর নামে যে মামলা হয়েছিল, তা এখনো তুলে নেওয়া হয়নি। আবার তদন্ত কমিটিরও কোনো প্রতিবেদন জমা হয়েছে কি না, এমন কিছুই জানতে পারিনি।’
ঘটনার দিন অবরুদ্ধ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল পুলিশ। মামলায় ২০০ থেকে ৩০০ জন অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়। সিলেট মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হান্নান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মামলার আপডেট জানতে হলে (আপনাকে) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমরা মূলত সেভাবে কথা বলতে পারি না। সমস্যা আমাদেরও।’
পরে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল করা হলে তিনি প্রতিবারই মামলার আপডেট জেনে পরে জানাবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।’ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘শিক্ষার্থীদের সব ধরনের মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে