আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
বদরগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ভেতরে বসছে অবৈধ দোকান। এতে করে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াতে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতারা থাকেন আতঙ্কে।
এসব দোকান বসিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগে দুই মাস আগে চাকরিচ্যুত হয়েছেন নকল নবিশ হাফিজুর রহমান ও মনিরুজ্জামান মুন্না। কিন্তু রহস্যজনক কারণে দোকানগুলো আজও তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ মাটিতে চট বিছিয়ে, আবার কেউ ভ্যানের ওপর রেখে নতুন-পুরোনো পোশাক বিক্রি করছেন। সেখানে রয়েছে চা-পানের দোকানসহ ফটোকপির দোকানও।
জানা গেছে, সেখানে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসে সপ্তাহে দুই দিন সোম ও বৃহস্পতিবার। তখন সব মিলিয়ে ৩৫টি দোকান দেখা যায়। আর প্রতিদিন সেখানে থেকে যায় একটি চায়ের দোকান, পানের দোকান ও একটি ফটোকপির দোকান।
মাটিতে চট বিছিয়ে নতুন পোশাক বিক্রি করা মাসুম, ফেরদৌস আলী ও সোহেল জানান, তাঁরা গরিব মানুষ। বাজারে কোথাও জায়গা না পেয়ে এখানে বসে শার্ট-প্যান্ট বিক্রি করছেন। তাঁরা বসলেই তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাট কমিটি ২৫ টাকা এবং সমিতি মসজিদের নামে ১৫ টাকা নেয়।
নাম প্রকাশ না করে দুজন দলিল লেখক বলেন, জমি বেচাকেনার জন্য সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে মানুষ আসেন। তাঁদের মধ্যে অনেক টাকা লেনদেন হয়। এখানে জমি বেচাকেনার মানুষ ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করার কথা নয়। কিন্তু ভেতরে অর্ধশতাধিক দোকানপাট বসায় অনেক বহিরাগত ও অচেনা মুখ ভেতরে প্রবেশ করছেন। এতে যেকোনো সময়ে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের প্রতারকের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব দোকানপাট এখান থেকে তুলে দেওয়া দরকার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নকল নবিশ জানান, সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দোকানপাট বসিয়ে দেন সনদ বাতিল হওয়া দলিল লেখক সমিতির দুই নেতা। সেখান থেকে তাঁরা মসজিদের নামে চাঁদা তোলেন। এই নেতারা আরেক নেতা দলিল লেখক মমিনুল ইসলামকে কার্যালয়ের ভেতর স্থায়ীভাবে ফটোকপির দোকানঘর বসিয়ে দিয়েছেন। আর এসব দোকানপাটের কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছেন নকল নবিশ হাফিজুর রহমান ও মনিরুজ্জামান মুন্না।
চাকরিচ্যুত হাফিজুর বলেন, ‘আমরা নাকি এই দোকান বসিয়ে চাঁদা তুলি। আমাদের দুজনের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়। দায়সারা তদন্ত করে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এখন কে দোকান বসিয়েছেন আর চাঁদা তুলছেন?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান কাজী বলেন, ‘আমি আসার আগে থেকেই এখানে দোকানপাট রয়েছে। তবে জমির ক্রেতা-বিক্রেতার কথা চিন্তা করে কার্যালয়ের ভেতরের অবৈধ স্থাপনা অচিরেই তুলে দেওয়া হবে।’
যোগাযোগ করা হলে রংপুর জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম প্রামানিক বলেন, ‘আমি নিজে গিয়েও ওই কার্যালয়ের ভেতরে দোকানপাট দেখেছি। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাবরেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছি।’
বদরগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ভেতরে বসছে অবৈধ দোকান। এতে করে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াতে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতারা থাকেন আতঙ্কে।
এসব দোকান বসিয়ে চাঁদা তোলার অভিযোগে দুই মাস আগে চাকরিচ্যুত হয়েছেন নকল নবিশ হাফিজুর রহমান ও মনিরুজ্জামান মুন্না। কিন্তু রহস্যজনক কারণে দোকানগুলো আজও তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ মাটিতে চট বিছিয়ে, আবার কেউ ভ্যানের ওপর রেখে নতুন-পুরোনো পোশাক বিক্রি করছেন। সেখানে রয়েছে চা-পানের দোকানসহ ফটোকপির দোকানও।
জানা গেছে, সেখানে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসে সপ্তাহে দুই দিন সোম ও বৃহস্পতিবার। তখন সব মিলিয়ে ৩৫টি দোকান দেখা যায়। আর প্রতিদিন সেখানে থেকে যায় একটি চায়ের দোকান, পানের দোকান ও একটি ফটোকপির দোকান।
মাটিতে চট বিছিয়ে নতুন পোশাক বিক্রি করা মাসুম, ফেরদৌস আলী ও সোহেল জানান, তাঁরা গরিব মানুষ। বাজারে কোথাও জায়গা না পেয়ে এখানে বসে শার্ট-প্যান্ট বিক্রি করছেন। তাঁরা বসলেই তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাট কমিটি ২৫ টাকা এবং সমিতি মসজিদের নামে ১৫ টাকা নেয়।
নাম প্রকাশ না করে দুজন দলিল লেখক বলেন, জমি বেচাকেনার জন্য সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে মানুষ আসেন। তাঁদের মধ্যে অনেক টাকা লেনদেন হয়। এখানে জমি বেচাকেনার মানুষ ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করার কথা নয়। কিন্তু ভেতরে অর্ধশতাধিক দোকানপাট বসায় অনেক বহিরাগত ও অচেনা মুখ ভেতরে প্রবেশ করছেন। এতে যেকোনো সময়ে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাদের প্রতারকের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এসব দোকানপাট এখান থেকে তুলে দেওয়া দরকার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নকল নবিশ জানান, সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দোকানপাট বসিয়ে দেন সনদ বাতিল হওয়া দলিল লেখক সমিতির দুই নেতা। সেখান থেকে তাঁরা মসজিদের নামে চাঁদা তোলেন। এই নেতারা আরেক নেতা দলিল লেখক মমিনুল ইসলামকে কার্যালয়ের ভেতর স্থায়ীভাবে ফটোকপির দোকানঘর বসিয়ে দিয়েছেন। আর এসব দোকানপাটের কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছেন নকল নবিশ হাফিজুর রহমান ও মনিরুজ্জামান মুন্না।
চাকরিচ্যুত হাফিজুর বলেন, ‘আমরা নাকি এই দোকান বসিয়ে চাঁদা তুলি। আমাদের দুজনের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়। দায়সারা তদন্ত করে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এখন কে দোকান বসিয়েছেন আর চাঁদা তুলছেন?’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবরেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান কাজী বলেন, ‘আমি আসার আগে থেকেই এখানে দোকানপাট রয়েছে। তবে জমির ক্রেতা-বিক্রেতার কথা চিন্তা করে কার্যালয়ের ভেতরের অবৈধ স্থাপনা অচিরেই তুলে দেওয়া হবে।’
যোগাযোগ করা হলে রংপুর জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুস সালাম প্রামানিক বলেন, ‘আমি নিজে গিয়েও ওই কার্যালয়ের ভেতরে দোকানপাট দেখেছি। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাবরেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে