মো. শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ননিয়েই নৌকার প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু নবীনগর উপজেলা পরিষদের গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করে নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে এবার তারাই আবার নৌকায় উঠতে চাচ্ছেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তারা। এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগ। ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেন উপজেলার শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার হোসেন জামাল, রসুল্লাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর, সাতমোড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, নবীনগর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়া, ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা, সলিমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম। যদিও এর আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁরা।
এই ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জহিরউদ্দীন সিদ্দিক টিটোর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাঁরা। এর ফলে ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন টিটো। তবে এবার তাঁরা আবারও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন ওই ছয়জন। এ নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগকারী টিটো তাঁদের মনোনয়ন দাখিল নিয়ে বলেন, এঁরা সরাসরি নৌকার বিরোধিতা করেছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকার বিরোধিতা করে তাঁরা এবার আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাচ্ছে। এঁরা মূলত সুবিধাবাদী। মনেপ্রাণে আওয়ামী লীগের কেউ নন। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর সরাসরি বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা কেন নৌকা চাইবেন? তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা তাঁদের নৌকা থেকে এবার বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
জহিরউদ্দীন সিদ্দিক টিটো আরও বলেন, ‘তাঁদের ব্যাপারে আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে জানিয়েছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, এবার ১৩ টি ইউনিয়ন থেকে ১০৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন। তাদের মধ্যে ১০৪ জন তাদের মনোনয়ন ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন। ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ১১ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানরা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন। এদের মধ্য রয়েছেন ওই নেতারাও। তবে রসুল্লাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর নৌকার বিরোধিতা কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যেন নৌকার মনোনয়ন না পাই সেই জন্য এলাকার কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ২১ ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্যানেল তৈরির লক্ষ্যে নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল জানান, বিগত নির্বাচনে যারা দলের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন কিংবা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের আমলনামা তৈরি করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। কেন্দ্র যা ভালো মনে করবে, তাই করবে।
জানতে চাইলে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, দলীয় মনোনয়ন ফরমের মন্তব্য কলামে প্রত্যেকের আমলনামা লিখে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্র থেকে যেহেতু দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হচ্ছে, সেহেতু কেন্দ্র এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, অভিযোগ থাকা প্রার্থীদের বিষয়ে স্ব-স্ব উপজেলা আওয়ামী লীগকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ননিয়েই নৌকার প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু নবীনগর উপজেলা পরিষদের গত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করে নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে হারিয়েছেন বলে অভিযোগ। তবে এবার তারাই আবার নৌকায় উঠতে চাচ্ছেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তারা। এ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগ। ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেন উপজেলার শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার হোসেন জামাল, রসুল্লাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর, সাতমোড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, নবীনগর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়া, ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মুছা, সলিমগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম। যদিও এর আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁরা।
এই ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জহিরউদ্দীন সিদ্দিক টিটোর বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাঁরা। এর ফলে ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন টিটো। তবে এবার তাঁরা আবারও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন ওই ছয়জন। এ নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগকারী টিটো তাঁদের মনোনয়ন দাখিল নিয়ে বলেন, এঁরা সরাসরি নৌকার বিরোধিতা করেছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকার বিরোধিতা করে তাঁরা এবার আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাচ্ছে। এঁরা মূলত সুবিধাবাদী। মনেপ্রাণে আওয়ামী লীগের কেউ নন। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর সরাসরি বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা কেন নৌকা চাইবেন? তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা তাঁদের নৌকা থেকে এবার বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
জহিরউদ্দীন সিদ্দিক টিটো আরও বলেন, ‘তাঁদের ব্যাপারে আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে জানিয়েছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, এবার ১৩ টি ইউনিয়ন থেকে ১০৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন কিনেছেন। তাদের মধ্যে ১০৪ জন তাদের মনোনয়ন ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন। ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে ১১ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানরা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন। এদের মধ্য রয়েছেন ওই নেতারাও। তবে রসুল্লাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর নৌকার বিরোধিতা কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যেন নৌকার মনোনয়ন না পাই সেই জন্য এলাকার কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ২১ ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্যানেল তৈরির লক্ষ্যে নবীনগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ফয়জুর রহমান বাদল জানান, বিগত নির্বাচনে যারা দলের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন কিংবা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের আমলনামা তৈরি করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। কেন্দ্র যা ভালো মনে করবে, তাই করবে।
জানতে চাইলে নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, দলীয় মনোনয়ন ফরমের মন্তব্য কলামে প্রত্যেকের আমলনামা লিখে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্র থেকে যেহেতু দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হচ্ছে, সেহেতু কেন্দ্র এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, অভিযোগ থাকা প্রার্থীদের বিষয়ে স্ব-স্ব উপজেলা আওয়ামী লীগকে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে