সম্পাদকীয়
জামালপুরের মেলান্দহে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আমাদের সমাজে আমরা কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না। শিশুদের সঙ্গে যে বর্বরতা চলছে, তা ভয়াবহ। মাঝেমধ্যেই এমন সব হৃদয়বিদারক ঘটনার খবর প্রকাশিত হয়, যা আমাদের অমানবিকতার উদাহরণ হিসেবে টিকে থাকে। মানুষের মধ্যে লোভ, রিপুর তাড়না ও নিষ্ঠুরতা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। শুভবুদ্ধি উধাও হয়ে যাচ্ছে সমাজ থেকে।
ফলে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। অভিযুক্ত ইমাম ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে পড়াতেন। তিনি যে মসজিদে ইমামতি করতেন, তার পাশেই একটি ছোট টিনের ঘরে থাকতেন। ১০ মে বিকেলে পড়ার কথা বলে শিশুটিকে ইমাম তাঁর ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হলে তাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠান।
আমরা ইমামের কাছ থেকে ধর্মীয় বিষয়ের শিক্ষা পেয়ে থাকি। সেই সঙ্গে ধর্মীয় নীতি-নৈতিকতা, জীবনচর্চায় ধর্মের পালনীয়-বর্জনীয় বিষয়ের শিক্ষাও পেয়ে থাকি।সে কারণে সমাজে ইমামের একটা সম্মানের জায়গা আছে। কিন্তু সেই ইমাম কর্তৃক যখন শিশু ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, তখন বুঝতে বাকি থাকে না আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধের স্তর কোন পর্যায়ে নেমে গেছে। আর ব্যক্তির চরিত্রের চরম অবক্ষয়ের কারণে যে ব্যক্তি পশুর স্তরে নেমে গেছেন, এ ঘটনা সেটাও প্রমাণ করে।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইমাম পলাতক রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ প্রশাসন গ্রেপ্তার করবে এবং আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাকি জীবনে এ ঘটনার রেশ থেকে যাবে। তা থেকে হয়তো আমরা তাকে মুক্তি দিতে পারব না।
শিশু ধর্ষণ রোধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রতিটি শিশুর প্রতি অভিভাবকদের সচেতনতা। আর এর জন্য দরকার কন্যাশিশুদের প্রতি একটু বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়া। কিন্তু অধিকাংশ অভিভাবক বুঝতে পারেন না যে কন্যাশিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি কী ধরনের সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে মা-বাবার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে শিশুর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে শিশুরা যেকোনো বিষয়ই শেয়ার করার সুযোগ পাবে। ফলে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে মা-বাবা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। আর সঠিক পন্থা হলো শিশুদের শরীরে স্পর্শের ভালো-মন্দ দিকগুলো বুঝিয়ে দেওয়া।
শুধু আইন আর বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের শিশু ধর্ষণের ঘটনা নির্মূল করা যাবে না। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ই এ ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী। সেই সঙ্গে রয়েছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা। আমরা চাই মেলান্দহের এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
জামালপুরের মেলান্দহে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আমাদের সমাজে আমরা কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছি না। শিশুদের সঙ্গে যে বর্বরতা চলছে, তা ভয়াবহ। মাঝেমধ্যেই এমন সব হৃদয়বিদারক ঘটনার খবর প্রকাশিত হয়, যা আমাদের অমানবিকতার উদাহরণ হিসেবে টিকে থাকে। মানুষের মধ্যে লোভ, রিপুর তাড়না ও নিষ্ঠুরতা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। শুভবুদ্ধি উধাও হয়ে যাচ্ছে সমাজ থেকে।
ফলে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। অভিযুক্ত ইমাম ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে পড়াতেন। তিনি যে মসজিদে ইমামতি করতেন, তার পাশেই একটি ছোট টিনের ঘরে থাকতেন। ১০ মে বিকেলে পড়ার কথা বলে শিশুটিকে ইমাম তাঁর ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হলে তাঁরা গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠান।
আমরা ইমামের কাছ থেকে ধর্মীয় বিষয়ের শিক্ষা পেয়ে থাকি। সেই সঙ্গে ধর্মীয় নীতি-নৈতিকতা, জীবনচর্চায় ধর্মের পালনীয়-বর্জনীয় বিষয়ের শিক্ষাও পেয়ে থাকি।সে কারণে সমাজে ইমামের একটা সম্মানের জায়গা আছে। কিন্তু সেই ইমাম কর্তৃক যখন শিশু ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে, তখন বুঝতে বাকি থাকে না আমাদের ধর্মীয় মূল্যবোধের স্তর কোন পর্যায়ে নেমে গেছে। আর ব্যক্তির চরিত্রের চরম অবক্ষয়ের কারণে যে ব্যক্তি পশুর স্তরে নেমে গেছেন, এ ঘটনা সেটাও প্রমাণ করে।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইমাম পলাতক রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ প্রশাসন গ্রেপ্তার করবে এবং আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাকি জীবনে এ ঘটনার রেশ থেকে যাবে। তা থেকে হয়তো আমরা তাকে মুক্তি দিতে পারব না।
শিশু ধর্ষণ রোধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রতিটি শিশুর প্রতি অভিভাবকদের সচেতনতা। আর এর জন্য দরকার কন্যাশিশুদের প্রতি একটু বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়া। কিন্তু অধিকাংশ অভিভাবক বুঝতে পারেন না যে কন্যাশিশুদের ক্ষেত্রে বাড়তি কী ধরনের সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে মা-বাবার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে শিশুর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করা। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে শিশুরা যেকোনো বিষয়ই শেয়ার করার সুযোগ পাবে। ফলে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে মা-বাবা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। আর সঠিক পন্থা হলো শিশুদের শরীরে স্পর্শের ভালো-মন্দ দিকগুলো বুঝিয়ে দেওয়া।
শুধু আইন আর বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের শিশু ধর্ষণের ঘটনা নির্মূল করা যাবে না। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ই এ ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী। সেই সঙ্গে রয়েছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা। আমরা চাই মেলান্দহের এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে