ক্রীড়া ডেস্ক
এ বছরের শেষদিকে কাতারে হতে যাচ্ছে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ। নভেম্বর-ডিসেম্বরের সূচিই বলে দিচ্ছে, একটু অস্বাভাবিক সময়ে হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। নতুন এক বাস্তবতায় হতে যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপ। একদিকে মহামারির থাবা, অন্যদিকে কাতারের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টিকিট ও হোটেল পাওয়া নিয়ে সংকট। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনে কঠিন এক পথ পাড়ি দিতে হবে কাতারকে। মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটির সামনে অপেক্ষা করছে অনেক চ্যালেঞ্জ।
টিকিট নিয়ে সমস্যা
এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ৩২ দলের নাম। তার আগেই বাজারে ছাড়া হয়েছে বিশ্বকাপের টিকিট। তবে কোন দলের খেলা দেখার জন্য টিকিট কিনবেন—সেটি ঠিক করতেই হিমশিম খাচ্ছেন দর্শকেরা। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কিংবা বড় ম্যাচগুলোর টিকিটের জন্য আবার তুমুল প্রতিযোগিতা। টিকিট নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনায় হতাশ ও বিভ্রান্ত অনেক দর্শক।
হোটেল স্বল্পতা
হয়তো ভাগ্যগুণে টিকিট পেয়ে যেতে পারেন; কিন্তু হোটেলে রুম পাওয়া হয়ে উঠতে পারে সোনার হরিণ। এই মুহূর্তে কাতারে বরাদ্দ দেওয়ার মতো কোনো হোটেল খালি নেই। সব হোটেল আগে থেকেই বরাদ্দ দেওয়া হয়ে গেছে। হোটেলগুলো বরাদ্দ দিয়েছে মূলত বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটিই। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া দলগুলো, পৃষ্ঠপোষক এবং সংবাদমাধ্যমগুলোর যেন হোটেল পেতে সমস্যা না হয় এবং বেশি দামে ঘর ভাড়া করতে না হয়, সে জন্য এ কাজটি করেছে তারা। কিন্তু বড় সমস্যা হতে পারে দর্শক-সমর্থকদের জন্য। জানা গেছে, ওয়েবসাইটের মধ্য দিয়ে ৯০ হাজার রুম ভাড়া পেতে পারেন সাধারণ দর্শকেরা। যেটা কিছুতেই পর্যাপ্ত নয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপ দেখতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ১২ লাখ দর্শক কাতার আসতে পারেন।
করোনা আতঙ্ক
বিশ্বকাপ আয়োজনে আরেকটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত তার রূপ বা ধরন বদলাচ্ছে। বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, সেটা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। তবে এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারে ২০২১ সালের ইউরো ও কোপা আমেরিকা। করোনাভীতি জয় করে এই দুটি মহাদেশীয় ফুটবলযজ্ঞ বেশ ভালোভাবেই হয়েছে।
সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির শুরু থেকেই সমালোচনার কেন্দ্রে কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকেরা। বিশেষ করে স্টেডিয়ামের অবকাঠামোর কাজে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর শ্রমিকদের যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। এমনকি কাতারের মানবাধিকারবিরোধী কাজের জন্য নরওয়ে ফুটবল দলকে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে ৬ হাজার ৫০০ অভিবাসী শ্রমিক মারা গেছেন। এঁদের ৩৭ জন সরাসরি স্টেডিয়াম তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তারকাদের বিশ্বকাপ বর্জন
ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার এরিক ক্যান্টোনা কাতার বিশ্বকাপের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘এই ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। এটা আমার কাছে আসল বিশ্বকাপ নয়। কাতার ফুটবলের দেশ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা বা যুক্তরাষ্ট্র—যেখানে ফুটবলের বিশ্বকাপ ও উন্নতি সাধন সম্ভব, সেখানে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু কাতারে তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এখানে টাকাটাই সবকিছু।’ ক্যান্টোনা একাই নন, সামনের দিনগুলো এই বর্জনের তালিকায় আরও অনেক তারকার যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে জশুয়া কিমিখ, থিয়েরি অঁরিদের মতো তারকারা আয়োজকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এ বছরের শেষদিকে কাতারে হতে যাচ্ছে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ। নভেম্বর-ডিসেম্বরের সূচিই বলে দিচ্ছে, একটু অস্বাভাবিক সময়ে হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। নতুন এক বাস্তবতায় হতে যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপ। একদিকে মহামারির থাবা, অন্যদিকে কাতারের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টিকিট ও হোটেল পাওয়া নিয়ে সংকট। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনে কঠিন এক পথ পাড়ি দিতে হবে কাতারকে। মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশটির সামনে অপেক্ষা করছে অনেক চ্যালেঞ্জ।
টিকিট নিয়ে সমস্যা
এখনো চূড়ান্ত হয়নি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ৩২ দলের নাম। তার আগেই বাজারে ছাড়া হয়েছে বিশ্বকাপের টিকিট। তবে কোন দলের খেলা দেখার জন্য টিকিট কিনবেন—সেটি ঠিক করতেই হিমশিম খাচ্ছেন দর্শকেরা। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা কিংবা বড় ম্যাচগুলোর টিকিটের জন্য আবার তুমুল প্রতিযোগিতা। টিকিট নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনায় হতাশ ও বিভ্রান্ত অনেক দর্শক।
হোটেল স্বল্পতা
হয়তো ভাগ্যগুণে টিকিট পেয়ে যেতে পারেন; কিন্তু হোটেলে রুম পাওয়া হয়ে উঠতে পারে সোনার হরিণ। এই মুহূর্তে কাতারে বরাদ্দ দেওয়ার মতো কোনো হোটেল খালি নেই। সব হোটেল আগে থেকেই বরাদ্দ দেওয়া হয়ে গেছে। হোটেলগুলো বরাদ্দ দিয়েছে মূলত বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটিই। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া দলগুলো, পৃষ্ঠপোষক এবং সংবাদমাধ্যমগুলোর যেন হোটেল পেতে সমস্যা না হয় এবং বেশি দামে ঘর ভাড়া করতে না হয়, সে জন্য এ কাজটি করেছে তারা। কিন্তু বড় সমস্যা হতে পারে দর্শক-সমর্থকদের জন্য। জানা গেছে, ওয়েবসাইটের মধ্য দিয়ে ৯০ হাজার রুম ভাড়া পেতে পারেন সাধারণ দর্শকেরা। যেটা কিছুতেই পর্যাপ্ত নয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপ দেখতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ১২ লাখ দর্শক কাতার আসতে পারেন।
করোনা আতঙ্ক
বিশ্বকাপ আয়োজনে আরেকটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত তার রূপ বা ধরন বদলাচ্ছে। বিশ্বকাপ আয়োজনের সময় পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, সেটা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। তবে এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারে ২০২১ সালের ইউরো ও কোপা আমেরিকা। করোনাভীতি জয় করে এই দুটি মহাদেশীয় ফুটবলযজ্ঞ বেশ ভালোভাবেই হয়েছে।
সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির শুরু থেকেই সমালোচনার কেন্দ্রে কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকেরা। বিশেষ করে স্টেডিয়ামের অবকাঠামোর কাজে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর শ্রমিকদের যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে শুরু থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। এমনকি কাতারের মানবাধিকারবিরোধী কাজের জন্য নরওয়ে ফুটবল দলকে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে ৬ হাজার ৫০০ অভিবাসী শ্রমিক মারা গেছেন। এঁদের ৩৭ জন সরাসরি স্টেডিয়াম তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
তারকাদের বিশ্বকাপ বর্জন
ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার এরিক ক্যান্টোনা কাতার বিশ্বকাপের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘এই ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। এটা আমার কাছে আসল বিশ্বকাপ নয়। কাতার ফুটবলের দেশ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা বা যুক্তরাষ্ট্র—যেখানে ফুটবলের বিশ্বকাপ ও উন্নতি সাধন সম্ভব, সেখানে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু কাতারে তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। এখানে টাকাটাই সবকিছু।’ ক্যান্টোনা একাই নন, সামনের দিনগুলো এই বর্জনের তালিকায় আরও অনেক তারকার যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে জশুয়া কিমিখ, থিয়েরি অঁরিদের মতো তারকারা আয়োজকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে