তারাগঞ্জ প্রতিনিধি
তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোছা. শামছুন্নাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্য সহকারী ধীমান রায়।
ধীমানকে হেনস্তা করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে রংপুরের সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায়কে জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করোনার টিকাদান কার্যক্রমের শুরু থেকে স্বাস্থ্য সহকারী ধীমান হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত ‘এমটি ইপিআই’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি টিকা সরবরাহ ও বিতরণ, কোল্ড চেইন ম্যানেজমেন্ট, টিকার বর্জ্য অপসারণ ও বিনষ্টের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি টিকা সরবরাহ ও কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার পরিবহন ব্যয় নিজের পকেট থেকে মিটিয়েছেন। পরে এ বিষয়ে সরকারি বরাদ্দ এলে তা তাঁকে না দিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসুন্নাহার উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ধীমান গত ১০ আগস্ট রংপুর জেলা সিভিল সার্জন এবং ৩১ আগস্ট রংপুর বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলামের নির্দেশে ৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা ১২ সেপ্টেম্বর তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত করেন।
তদন্ত কমিটি চলে যাওয়ার পর থেকে ধীমানকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর থেকে অভিযোগ তুলে নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে সমঝোতা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ধীমানকে তাঁর কর্মস্থল রহিমাপুর চাকলা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুজন নেতা-কর্মী। এ সময় ধীমানের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা হেনস্তা করার পর ধীমান মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ধীমান গতকাল বৃহস্পতিবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সত্যের পথে লড়তে গিয়ে আমি পদে পদে হুমকির সম্মুখে পড়ছি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তিনি ও তাঁরলোকজন আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এত আমি শঙ্কিত। জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামছুন্নাহারের বিরুদ্ধে গত ৮ আগস্ট চিকিৎসক এবং ২৪ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবীরা টাকা আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের তদন্তও হয়েছে। তিন সদস্যের কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জামা হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে শামসুন্নাহারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, ‘স্বাস্থ্য সহকারী ধীমান রায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আমাকে দিয়েছেন। খুব শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোছা. শামছুন্নাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে বিপাকে পড়েছেন স্বাস্থ্য সহকারী ধীমান রায়।
ধীমানকে হেনস্তা করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে রংপুরের সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায়কে জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, করোনার টিকাদান কার্যক্রমের শুরু থেকে স্বাস্থ্য সহকারী ধীমান হাসপাতালে ভারপ্রাপ্ত ‘এমটি ইপিআই’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি টিকা সরবরাহ ও বিতরণ, কোল্ড চেইন ম্যানেজমেন্ট, টিকার বর্জ্য অপসারণ ও বিনষ্টের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি টিকা সরবরাহ ও কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার পরিবহন ব্যয় নিজের পকেট থেকে মিটিয়েছেন। পরে এ বিষয়ে সরকারি বরাদ্দ এলে তা তাঁকে না দিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসুন্নাহার উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় ধীমান গত ১০ আগস্ট রংপুর জেলা সিভিল সার্জন এবং ৩১ আগস্ট রংপুর বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলামের নির্দেশে ৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা ১২ সেপ্টেম্বর তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত করেন।
তদন্ত কমিটি চলে যাওয়ার পর থেকে ধীমানকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মোবাইল ফোন নম্বর থেকে অভিযোগ তুলে নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে সমঝোতা করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ধীমানকে তাঁর কর্মস্থল রহিমাপুর চাকলা কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুজন নেতা-কর্মী। এ সময় ধীমানের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা হেনস্তা করার পর ধীমান মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ধীমান গতকাল বৃহস্পতিবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সত্যের পথে লড়তে গিয়ে আমি পদে পদে হুমকির সম্মুখে পড়ছি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তিনি ও তাঁরলোকজন আমাকে নানাভাবে হেনস্তা করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এত আমি শঙ্কিত। জীবন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামছুন্নাহারের বিরুদ্ধে গত ৮ আগস্ট চিকিৎসক এবং ২৪ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবীরা টাকা আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের তদন্তও হয়েছে। তিন সদস্যের কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জামা হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে শামসুন্নাহারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায় বলেন, ‘স্বাস্থ্য সহকারী ধীমান রায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শামসুন্নাহারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আমাকে দিয়েছেন। খুব শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে