জিয়াউল হক, যশোর
শীত তখন আসি আসি করছে। বর্ষা চলে গেছে তা-ও চার মাস হয়েছে। তারপরও বাড়ির উঠোনে পানি। শোয়ার ঘর থেকে রান্নাঘরে কিংবা বাড়ির অন্য প্রান্তে যেতে পানি ভাঙতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথটা যেন একটি নদী। সেখানে সাঁকো পাতা হয়েছে। যশোরের অভয়নগর উপজেলার মশিয়াহাটী গ্রামের একটি বাড়ির গত নভেম্বরের শেষদিকের দৃশ্য এটি।
এ পরিস্থিতি শুধু ওই বাড়িরই নয়, পুরো ভবদহ অঞ্চলের অধিকাংশ বাড়ির। বছরের ৫-৮ মাস এই জনপদের মানুষ পানিবন্দী থাকেন। এ সমস্যা গত তিন দশকের। এতে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি দিনে দিনে লবণাক্ত হয়ে উঠছে মাটি। পলি জমে নদী হারাচ্ছে নাব্যতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সমস্যার সমাধান করা না হলে দেশের গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভবিষ্যৎ হবে ভবদহের মতোই।
যশোর জেলার অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর ও সদর উপজেলার আংশিক অংশ, খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা এবং সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আংশিক অংশ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। ৩৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে ২৩টি ইউনিয়ন। এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মুক্তেশ্বরী, টেকা, হরি, আপারভদ্রা, হরিহর ও বুড়িভদ্রা নদী। এই নদীগুলোর পানি কেশবপুরের কাশিমপুরে মিলিত হয়ে তেলিগাতি-গ্যাংরাইল নামে শিবসা নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়ে। এসব নদীর সঙ্গে ২৭টি বিল প্রত্যক্ষ এবং ২৬টি বিল পরোক্ষভাবে যুক্ত।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ভবদহ অঞ্চলের স্বাভাবিক নিষ্কাশনব্যবস্থা সাগরের জোয়ার-ভাটা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। শুষ্ক মৌসুমে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার নদীর মাধ্যমে ভবদহ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পলি ও লবণ আসে। ষাটের দশকে এ অঞ্চলে পোল্ডার নির্মাণের পর জমিতে লবণাক্ত পানি আসা রোধ হয়। ফলে জমির উর্বরতা বাড়ে, কৃষিকাজে উন্নতি ঘটে। কিন্তু ১৯৭৪ সালে প্রতিবেশী দেশ ভারত
এরপর পৃষ্ঠা ২ কলাম ১
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করলে পদ্মায় পানির প্রবাহ কমে যায়। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর ওপর। পলি জমে নদীগুলো পদ্মা নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গবেষণা বলছে, অতীতে পদ্মা থেকে বিভিন্ন নদীতে আসা পানির মাধ্যমে পোল্ডার নিয়ন্ত্রিত নদীগুলোয় সাগর থেকে আসা পলি ধুয়ে যেত। কিন্তু ভবদহ অঞ্চলের নদীগুলো পদ্মা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় পলি অপসারণের পথ। মুক্তেশ্বরী, হরি, টেকা, আপারভদ্রা, ভদ্রা ও বুড়িভদ্রা পলি জমে নাব্যতা হারিয়েছে। বেড়েছে মাটির লবণাক্ততা।
যশোর সরকারি এম এম কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছোলজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছরের পর বছর পলি জমায় ধীরে ধীরে যশোরের পাশাপাশি খুলনা, সাতক্ষীরায়ও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পদ্মার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখানকার নদীগুলো নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে এই নদীগুলোর সঙ্গে যুক্ত খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে ভবদহ সমস্যা।
সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, মানুষের বাড়ির উঠানে থইথই পানি। অনেকেই যাতায়াতের জন্য উঠানে সাঁকো তৈরি করেছেন। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। আর্থিক দৈন্যদশায় এসব গ্রামের অনেক মানুষই যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় গিয়েছেন দিনমজুরের কাজ করতে।
কেশবপুরের শানতলা গ্রামের আসমা বেগম বলেন, আগস্ট মাস থেকে পানি বাড়তে থাকে। বৃষ্টি একটু বেশি হলে পানি আর নামতে চায় না। কোনো কোনো বছর পানি নামতে নামতে মার্চ-এপ্রিলও হয়ে যায়।
অভয়নগরের দামুখালী গ্রামের রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চাষবাস নেই। এলাকায় কোনো কাজ নেই। বাধ্য হয়ে যশোর, নড়াইলসহ অন্য জেলায় গিয়ে দিনমজুরের কাজ করতে হয়। গ্রামের অন্তত অর্ধেক মানুষ কাজের সন্ধানে অন্যত্র রয়েছে। তারা টাকা পাঠালেই কেবল পরিবারে চুলা জ্বলে।’
মশিয়াহাটি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকৃতি মন্ডল ও মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনিশান্ত মন্ডল জানান, এ অঞ্চলের প্রায় ৩০-৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত নভেম্বরেও পানিতে ডুবে ছিল। ফলে বন্ধ ছিল শিক্ষা কার্যক্রম।
সমস্যার আপাত সমাধানে টিআরএম প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় নির্দিষ্ট বিলের চারপাশে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ওই বাঁধের একটি অংশ উন্মুক্ত করে বিলে চালু রাখা হয় নদীর জোয়ার-ভাটার প্রবাহ। এই ব্যবস্থাকে ‘টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট’ সংক্ষেপে টিআরএম বলে। এই পদ্ধতিতে ভাটি থেকে জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি পড়ে বিল ভরাট হয়ে যায়। কিন্তু প্রকল্পটির সুফল পুরোপুরি এখনো পাওয়া যায়নি।
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ভবদহ এলাকাটি বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে। টিআরএমের পূর্ণাঙ্গ সফলতা আসে সাগর থেকে কাছের অংশে নদীসংলগ্ন বিলে। প্রকল্প যত বেশি উজানে ও নদী থেকে দূরে হবে, ততই সফলতার হার কমবে।
এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবদহের স্থায়ী সমাধান রয়েছে পদ্মায়। অধ্যাপক ছোলজার রহমান বলেন, মেহেরপুরে পাশ দিয়ে একটি কৃত্রিম খাল তৈরির মাধ্যমে মাথাভাঙ্গার সঙ্গে পদ্মার সংযোগ ঘটানো গেলে কিংবা জিকে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প) প্রকল্পের একটি খালের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা কিংবা দর্শনায় পদ্মার সঙ্গে বিকল্প সংযোগ স্থাপন করতে হবে। অপর একটি খাল দিয়ে ভৈরবকে যুক্ত করতে হবে। এতে ভবদহে উজানের পানিপ্রবাহ বাড়বে।
সার্বিক বিষয়ে ভবদহ পানি নিষ্কাশন আন্দোলন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরু থেকেই সমস্যা নিরসনে সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও নিজেদের স্বার্থরক্ষায় বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখেন। অথচ আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকে যখনই সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তখনই যদি সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেওয়া যেত, তাহলে ভবদহ অভিশাপ না হয়ে আশীর্বাদ হয়েই থাকত।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আনোয়ার হোসেন (মনিরামপুর প্রতিনিধি), রবিউল ইসলাম (অভয়নগর প্রতিনিধি) ও কামরুজ্জামান রাজু (কেশবপুর প্রতিনিধি)]
শীত তখন আসি আসি করছে। বর্ষা চলে গেছে তা-ও চার মাস হয়েছে। তারপরও বাড়ির উঠোনে পানি। শোয়ার ঘর থেকে রান্নাঘরে কিংবা বাড়ির অন্য প্রান্তে যেতে পানি ভাঙতে হয়। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথটা যেন একটি নদী। সেখানে সাঁকো পাতা হয়েছে। যশোরের অভয়নগর উপজেলার মশিয়াহাটী গ্রামের একটি বাড়ির গত নভেম্বরের শেষদিকের দৃশ্য এটি।
এ পরিস্থিতি শুধু ওই বাড়িরই নয়, পুরো ভবদহ অঞ্চলের অধিকাংশ বাড়ির। বছরের ৫-৮ মাস এই জনপদের মানুষ পানিবন্দী থাকেন। এ সমস্যা গত তিন দশকের। এতে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি দিনে দিনে লবণাক্ত হয়ে উঠছে মাটি। পলি জমে নদী হারাচ্ছে নাব্যতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সমস্যার সমাধান করা না হলে দেশের গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভবিষ্যৎ হবে ভবদহের মতোই।
যশোর জেলার অভয়নগর, মনিরামপুর, কেশবপুর ও সদর উপজেলার আংশিক অংশ, খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা এবং সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আংশিক অংশ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। ৩৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে ২৩টি ইউনিয়ন। এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মুক্তেশ্বরী, টেকা, হরি, আপারভদ্রা, হরিহর ও বুড়িভদ্রা নদী। এই নদীগুলোর পানি কেশবপুরের কাশিমপুরে মিলিত হয়ে তেলিগাতি-গ্যাংরাইল নামে শিবসা নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়ে। এসব নদীর সঙ্গে ২৭টি বিল প্রত্যক্ষ এবং ২৬টি বিল পরোক্ষভাবে যুক্ত।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ভবদহ অঞ্চলের স্বাভাবিক নিষ্কাশনব্যবস্থা সাগরের জোয়ার-ভাটা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। শুষ্ক মৌসুমে জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার নদীর মাধ্যমে ভবদহ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পলি ও লবণ আসে। ষাটের দশকে এ অঞ্চলে পোল্ডার নির্মাণের পর জমিতে লবণাক্ত পানি আসা রোধ হয়। ফলে জমির উর্বরতা বাড়ে, কৃষিকাজে উন্নতি ঘটে। কিন্তু ১৯৭৪ সালে প্রতিবেশী দেশ ভারত
এরপর পৃষ্ঠা ২ কলাম ১
ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করলে পদ্মায় পানির প্রবাহ কমে যায়। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোর ওপর। পলি জমে নদীগুলো পদ্মা নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
গবেষণা বলছে, অতীতে পদ্মা থেকে বিভিন্ন নদীতে আসা পানির মাধ্যমে পোল্ডার নিয়ন্ত্রিত নদীগুলোয় সাগর থেকে আসা পলি ধুয়ে যেত। কিন্তু ভবদহ অঞ্চলের নদীগুলো পদ্মা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় পলি অপসারণের পথ। মুক্তেশ্বরী, হরি, টেকা, আপারভদ্রা, ভদ্রা ও বুড়িভদ্রা পলি জমে নাব্যতা হারিয়েছে। বেড়েছে মাটির লবণাক্ততা।
যশোর সরকারি এম এম কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছোলজার রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বছরের পর বছর পলি জমায় ধীরে ধীরে যশোরের পাশাপাশি খুলনা, সাতক্ষীরায়ও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পদ্মার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় এখানকার নদীগুলো নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে এই নদীগুলোর সঙ্গে যুক্ত খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে ভবদহ সমস্যা।
সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, মানুষের বাড়ির উঠানে থইথই পানি। অনেকেই যাতায়াতের জন্য উঠানে সাঁকো তৈরি করেছেন। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। আর্থিক দৈন্যদশায় এসব গ্রামের অনেক মানুষই যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় গিয়েছেন দিনমজুরের কাজ করতে।
কেশবপুরের শানতলা গ্রামের আসমা বেগম বলেন, আগস্ট মাস থেকে পানি বাড়তে থাকে। বৃষ্টি একটু বেশি হলে পানি আর নামতে চায় না। কোনো কোনো বছর পানি নামতে নামতে মার্চ-এপ্রিলও হয়ে যায়।
অভয়নগরের দামুখালী গ্রামের রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চাষবাস নেই। এলাকায় কোনো কাজ নেই। বাধ্য হয়ে যশোর, নড়াইলসহ অন্য জেলায় গিয়ে দিনমজুরের কাজ করতে হয়। গ্রামের অন্তত অর্ধেক মানুষ কাজের সন্ধানে অন্যত্র রয়েছে। তারা টাকা পাঠালেই কেবল পরিবারে চুলা জ্বলে।’
মশিয়াহাটি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকৃতি মন্ডল ও মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনিশান্ত মন্ডল জানান, এ অঞ্চলের প্রায় ৩০-৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত নভেম্বরেও পানিতে ডুবে ছিল। ফলে বন্ধ ছিল শিক্ষা কার্যক্রম।
সমস্যার আপাত সমাধানে টিআরএম প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় নির্দিষ্ট বিলের চারপাশে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ওই বাঁধের একটি অংশ উন্মুক্ত করে বিলে চালু রাখা হয় নদীর জোয়ার-ভাটার প্রবাহ। এই ব্যবস্থাকে ‘টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট’ সংক্ষেপে টিআরএম বলে। এই পদ্ধতিতে ভাটি থেকে জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি পড়ে বিল ভরাট হয়ে যায়। কিন্তু প্রকল্পটির সুফল পুরোপুরি এখনো পাওয়া যায়নি।
যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ভবদহ এলাকাটি বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে। টিআরএমের পূর্ণাঙ্গ সফলতা আসে সাগর থেকে কাছের অংশে নদীসংলগ্ন বিলে। প্রকল্প যত বেশি উজানে ও নদী থেকে দূরে হবে, ততই সফলতার হার কমবে।
এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবদহের স্থায়ী সমাধান রয়েছে পদ্মায়। অধ্যাপক ছোলজার রহমান বলেন, মেহেরপুরে পাশ দিয়ে একটি কৃত্রিম খাল তৈরির মাধ্যমে মাথাভাঙ্গার সঙ্গে পদ্মার সংযোগ ঘটানো গেলে কিংবা জিকে (গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প) প্রকল্পের একটি খালের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা কিংবা দর্শনায় পদ্মার সঙ্গে বিকল্প সংযোগ স্থাপন করতে হবে। অপর একটি খাল দিয়ে ভৈরবকে যুক্ত করতে হবে। এতে ভবদহে উজানের পানিপ্রবাহ বাড়বে।
সার্বিক বিষয়ে ভবদহ পানি নিষ্কাশন আন্দোলন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুরু থেকেই সমস্যা নিরসনে সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও নিজেদের স্বার্থরক্ষায় বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখেন। অথচ আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকে যখনই সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তখনই যদি সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেওয়া যেত, তাহলে ভবদহ অভিশাপ না হয়ে আশীর্বাদ হয়েই থাকত।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আনোয়ার হোসেন (মনিরামপুর প্রতিনিধি), রবিউল ইসলাম (অভয়নগর প্রতিনিধি) ও কামরুজ্জামান রাজু (কেশবপুর প্রতিনিধি)]
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে