হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
দুই মাস আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নগরের সব বাজার পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এরপর দুই মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত বাজারগুলো পলিথিনমুক্ত হয়নি। নগরের প্রতিটি বাজারে এখনো পলিথিন ব্যাগে পণ্য বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। প্রতিদিন বাজার তদারক করছেন দাবি করলেও এখনো কোনো মার্কেটকে সম্পূর্ণ পলিথিনমুক্ত করতে পারেনি চসিক।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা একটি করে বাজার মনিটর করছি। বাজারে গিয়ে আমরা দেখি, কেউ পলিথিনে পণ্য বিক্রি করছে না। আমরা মনিটর করতে গেলে ব্যবসায়ীরা পলিথিন লুকিয়ে পেলে। চলে আসার পর আবারও তারা পলিথিন ব্যাগে পণ্য বিক্রি করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মারুফা বেগম নেলী বলেন, ‘সবাই পলিথিনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এভাবে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে গেলে একসময় হয়তো মানুষ পলিথিন ব্যবহার ছেড়ে দেবে।’
পলিথিনের কারণে নগরের খাল, নালা পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে। পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। এতে নালা-নর্দমায় পানি জমে মশার প্রজনন বৃদ্ধিসহ নগরের পরিবেশ হুমকিতে পড়ছে। এসব কারণকে সামনে এনে গত বছরের ১ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি, চকবাজার কাঁচাবাজার ও আগ্রাবাদ কর্ণফুলী মার্কেটসহ তিনটি কাঁচাবাজারকে পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এরপর গত ২৬ জানুয়ারি নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাজার কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নগরীর সবগুলো বাজারকে পলিথিন মুক্ত ঘোষণা করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। ওই দিন মেয়র ঘোষণা দেন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজারে কোনো পলিথিন পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী জরিমানা করাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এরপর গত দুই মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বাজারকে সম্পূর্ণ পলিথিন মুক্ত করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার নগরের একাধিক কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাজারে পলিথিন ব্যাগে পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে। সকালে পাহাড়তলী বাজারে গিয়ে বাজারটি পলিথিন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এমন কোনো চিহ্ন চোখে পড়েনি। মুদি দোকান থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, সবজি সব দোকানেই প্রকাশ্যে পলিথিন ব্যাগে পণ্য বিক্রি করছেন দোকানিরা। বিক্রেতারা বলছেন, তাঁরা পলিথিন ব্যাগ দিতে না চাইলেও ক্রেতাদের চাপাচাপিতে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ অনেক ক্রেতাই বাজারে ব্যাগ নিয়ে যান না। তাই পণ্য বিক্রি করতে হলে তখন বাধ্য হয়েই পলিথিন ব্যাগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পাহাড়তলী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। আমরা করপোরেশনের নির্দেশনা অনুসরণ করতে চাই। কিন্তু ক্রেতাদের কারণে পারছি না। তারা ব্যাগ ছাড়া বাজারে চলে আসেন, পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে তখন বাধ্য হয়ে আমরা পলিথিন ব্যাগ দিই। পলিথিন ব্যাগ না দিয়ে থাকতে পারলে আমাদেরই লাভ। কারণ তখন এর পেছনে খরচ করা টাকাগুলো বেঁচে যেত।’
একই কথা বলেছেন চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেটের দোকানদার রুবেল। তিনি বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগে পণ্য বিক্রি করতে আমরাও চাই না। কিন্তু পণ্য কিনেই ক্রেতারা পলিথিন ব্যাগ চায়, তখন আমাদের বাধ্য হয়ে দিতে হয়।’
বিক্রেতাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ক্রেতারাও। তাঁরা বলছেন, অনেকে অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার পথে বাজার নিয়ে যান। সেই ক্ষেত্রে সঙ্গে ব্যাগ থাকে না, তাই পলিথিন ব্যাগ না থাকলে তাদের জন্য বাজার নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।
পাহাড়তলী বাজার থেকে পলিথিন ব্যাগে পণ্য নিয়ে বের হচ্ছেন সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন পরাগ। পলিথিন ব্যাগে কেন পণ্য নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বাজার করার পরিকল্পনা ছিল না। তাই ব্যাগ ছাড়াই বাজারে এসেছি। এ কারণে পলিথিন ব্যাগে বাজার নিতে হচ্ছে।’
দুই মাস আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নগরের সব বাজার পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এরপর দুই মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত বাজারগুলো পলিথিনমুক্ত হয়নি। নগরের প্রতিটি বাজারে এখনো পলিথিন ব্যাগে পণ্য বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। প্রতিদিন বাজার তদারক করছেন দাবি করলেও এখনো কোনো মার্কেটকে সম্পূর্ণ পলিথিনমুক্ত করতে পারেনি চসিক।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা একটি করে বাজার মনিটর করছি। বাজারে গিয়ে আমরা দেখি, কেউ পলিথিনে পণ্য বিক্রি করছে না। আমরা মনিটর করতে গেলে ব্যবসায়ীরা পলিথিন লুকিয়ে পেলে। চলে আসার পর আবারও তারা পলিথিন ব্যাগে পণ্য বিক্রি করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মারুফা বেগম নেলী বলেন, ‘সবাই পলিথিনে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এভাবে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে গেলে একসময় হয়তো মানুষ পলিথিন ব্যবহার ছেড়ে দেবে।’
পলিথিনের কারণে নগরের খাল, নালা পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে। পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। এতে নালা-নর্দমায় পানি জমে মশার প্রজনন বৃদ্ধিসহ নগরের পরিবেশ হুমকিতে পড়ছে। এসব কারণকে সামনে এনে গত বছরের ১ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি, চকবাজার কাঁচাবাজার ও আগ্রাবাদ কর্ণফুলী মার্কেটসহ তিনটি কাঁচাবাজারকে পলিথিনমুক্ত ঘোষণা করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এরপর গত ২৬ জানুয়ারি নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাজার কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নগরীর সবগুলো বাজারকে পলিথিন মুক্ত ঘোষণা করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। ওই দিন মেয়র ঘোষণা দেন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজারে কোনো পলিথিন পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী জরিমানা করাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এরপর গত দুই মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বাজারকে সম্পূর্ণ পলিথিন মুক্ত করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। বৃহস্পতিবার নগরের একাধিক কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাজারে পলিথিন ব্যাগে পণ্য বেচাকেনা হচ্ছে। সকালে পাহাড়তলী বাজারে গিয়ে বাজারটি পলিথিন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এমন কোনো চিহ্ন চোখে পড়েনি। মুদি দোকান থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, সবজি সব দোকানেই প্রকাশ্যে পলিথিন ব্যাগে পণ্য বিক্রি করছেন দোকানিরা। বিক্রেতারা বলছেন, তাঁরা পলিথিন ব্যাগ দিতে না চাইলেও ক্রেতাদের চাপাচাপিতে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ অনেক ক্রেতাই বাজারে ব্যাগ নিয়ে যান না। তাই পণ্য বিক্রি করতে হলে তখন বাধ্য হয়েই পলিথিন ব্যাগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পাহাড়তলী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সিটি করপোরেশন থেকে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন। আমরা করপোরেশনের নির্দেশনা অনুসরণ করতে চাই। কিন্তু ক্রেতাদের কারণে পারছি না। তারা ব্যাগ ছাড়া বাজারে চলে আসেন, পণ্য বিক্রি করতে গিয়ে তখন বাধ্য হয়ে আমরা পলিথিন ব্যাগ দিই। পলিথিন ব্যাগ না দিয়ে থাকতে পারলে আমাদেরই লাভ। কারণ তখন এর পেছনে খরচ করা টাকাগুলো বেঁচে যেত।’
একই কথা বলেছেন চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেটের দোকানদার রুবেল। তিনি বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগে পণ্য বিক্রি করতে আমরাও চাই না। কিন্তু পণ্য কিনেই ক্রেতারা পলিথিন ব্যাগ চায়, তখন আমাদের বাধ্য হয়ে দিতে হয়।’
বিক্রেতাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন ক্রেতারাও। তাঁরা বলছেন, অনেকে অফিস থেকে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার পথে বাজার নিয়ে যান। সেই ক্ষেত্রে সঙ্গে ব্যাগ থাকে না, তাই পলিথিন ব্যাগ না থাকলে তাদের জন্য বাজার নিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।
পাহাড়তলী বাজার থেকে পলিথিন ব্যাগে পণ্য নিয়ে বের হচ্ছেন সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন পরাগ। পলিথিন ব্যাগে কেন পণ্য নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বাজার করার পরিকল্পনা ছিল না। তাই ব্যাগ ছাড়াই বাজারে এসেছি। এ কারণে পলিথিন ব্যাগে বাজার নিতে হচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে