সম্পাদকীয়
একটা সময় কল্লোল সাময়িকী দারুণ রকম সাড়া ফেলেছিল বাংলা সাহিত্য সমাজে। সে সময় যারা নিজেদের নীতিনিষ্ঠ সাহিত্যিক বলে মনে করতেন, তাঁদের অনেকেই কল্লোল এবং কালি কলম পত্রিকার লেখকদের ‘অশ্লীল’ বলে অভিধা দিয়েছিলেন। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে সজনীকান্ত দাস রবীন্দ্রনাথের কাছে চিঠি লিখে তরুণ সাহিত্যিকদের বকে দিতেও অনুরোধ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য সে প্রস্তাব এড়িয়ে গিয়েছিলেন।
সে এক অন্য আলোচনা। আজ আমরা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি অসাধারণ ছবি কী করে তোলা হলো ‘কল্লোল’-র জন্য, সে কথাই বলব।
সুরেন গাঙ্গুলী কল্লোলে এসে তরুণদের সঙ্গে মিলেমিশে গেলেন। লিখলেন উপন্যাস এবং তারপর লিখলেন ধারাবাহিক শরৎচন্দ্রের জীবনী। জীবনী তো ছাপা হবে কিন্তু শরৎবাবুর ছবি পাওয়া যাবে কোথায়? সে সময় ভূপতি চৌধুরী বললেন, ‘ভাবনা নেই, আমি আছি।’
ভূপতি ছিলেন একাধারে গল্পলেখক, ইঞ্জিনিয়ার এবং ফটোগ্রাফার।
প্রচণ্ড রোদে-পোড়া এক দুপুরে বাজে শিবপুর যাওয়া হলো শরৎচন্দ্রের ছবি তোলার জন্য। তখন সেখানেই তিনি থাকতেন। ভূপতি ছবি তুলবেন। শরৎচন্দ্র যদি ছবি তুলতে না দেন, তিনি যদি গা ঢাকা দিয়ে লুকিয়ে থাকেন, যদি কাউকে দিয়ে বলান, তিনি বাড়িতে নেই, তবে? যে তরুণ সাহিত্যিকেরা ভূপতির সঙ্গে গিয়েছিলেন, সেই শঙ্কা ছিল তাঁদের সবার। কিন্তু করাঘাতের পর দরজা খুলে দিলেন শরৎচন্দ্র নিজেই। মোটেই খাপ্পা হলেন না। স্নেহশীল কথাবার্তা বললেন। কিন্তু ছবি তোলার কথা বলতেই একটু বেঁকে বসলেন। অনেক যুক্তি-তর্ক দিয়ে বোঝানোর পর ছবি তুলতে রাজি হলেন তিনি। রাজি হওয়ার পরই ভূপতি জেগে উঠলেন। ছবি যদি তুলতে হবে তাহলে একটা লিখনরত ভঙ্গি চাই। নিচু লিখবার টেবিল, গড়গড়া, মোটা ফাউন্টেন পেন আর লেখবার প্যাড থাকবে। পাশে থাকবে বইয়ের সারি। পেছনে পৃথিবীর মানচিত্র।
ছবিটি কল্লোলে ছাপা হলো। এই ছবিটি শরৎচন্দ্রের একটি আইকনিক ছবি হিসেবেই টিকে আছে এখনো।
সূত্র: অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, কল্লোল যুগ, পৃষ্ঠা ১৮৬-১৯০
একটা সময় কল্লোল সাময়িকী দারুণ রকম সাড়া ফেলেছিল বাংলা সাহিত্য সমাজে। সে সময় যারা নিজেদের নীতিনিষ্ঠ সাহিত্যিক বলে মনে করতেন, তাঁদের অনেকেই কল্লোল এবং কালি কলম পত্রিকার লেখকদের ‘অশ্লীল’ বলে অভিধা দিয়েছিলেন। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে সজনীকান্ত দাস রবীন্দ্রনাথের কাছে চিঠি লিখে তরুণ সাহিত্যিকদের বকে দিতেও অনুরোধ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য সে প্রস্তাব এড়িয়ে গিয়েছিলেন।
সে এক অন্য আলোচনা। আজ আমরা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি অসাধারণ ছবি কী করে তোলা হলো ‘কল্লোল’-র জন্য, সে কথাই বলব।
সুরেন গাঙ্গুলী কল্লোলে এসে তরুণদের সঙ্গে মিলেমিশে গেলেন। লিখলেন উপন্যাস এবং তারপর লিখলেন ধারাবাহিক শরৎচন্দ্রের জীবনী। জীবনী তো ছাপা হবে কিন্তু শরৎবাবুর ছবি পাওয়া যাবে কোথায়? সে সময় ভূপতি চৌধুরী বললেন, ‘ভাবনা নেই, আমি আছি।’
ভূপতি ছিলেন একাধারে গল্পলেখক, ইঞ্জিনিয়ার এবং ফটোগ্রাফার।
প্রচণ্ড রোদে-পোড়া এক দুপুরে বাজে শিবপুর যাওয়া হলো শরৎচন্দ্রের ছবি তোলার জন্য। তখন সেখানেই তিনি থাকতেন। ভূপতি ছবি তুলবেন। শরৎচন্দ্র যদি ছবি তুলতে না দেন, তিনি যদি গা ঢাকা দিয়ে লুকিয়ে থাকেন, যদি কাউকে দিয়ে বলান, তিনি বাড়িতে নেই, তবে? যে তরুণ সাহিত্যিকেরা ভূপতির সঙ্গে গিয়েছিলেন, সেই শঙ্কা ছিল তাঁদের সবার। কিন্তু করাঘাতের পর দরজা খুলে দিলেন শরৎচন্দ্র নিজেই। মোটেই খাপ্পা হলেন না। স্নেহশীল কথাবার্তা বললেন। কিন্তু ছবি তোলার কথা বলতেই একটু বেঁকে বসলেন। অনেক যুক্তি-তর্ক দিয়ে বোঝানোর পর ছবি তুলতে রাজি হলেন তিনি। রাজি হওয়ার পরই ভূপতি জেগে উঠলেন। ছবি যদি তুলতে হবে তাহলে একটা লিখনরত ভঙ্গি চাই। নিচু লিখবার টেবিল, গড়গড়া, মোটা ফাউন্টেন পেন আর লেখবার প্যাড থাকবে। পাশে থাকবে বইয়ের সারি। পেছনে পৃথিবীর মানচিত্র।
ছবিটি কল্লোলে ছাপা হলো। এই ছবিটি শরৎচন্দ্রের একটি আইকনিক ছবি হিসেবেই টিকে আছে এখনো।
সূত্র: অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, কল্লোল যুগ, পৃষ্ঠা ১৮৬-১৯০
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে