নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাসপোর্ট পেতে এত যে মানুষের ভোগান্তি, সেটা কবে শেষ হবে? দেশে আর কত উন্নয়ন হলে মানুষ ঝামেলা ছাড়া নিজের পাসপোর্ট নিতে পারবে? এই দুটি প্রশ্নই পাসপোর্ট নিতে আসা এক ব্যক্তির। নিজের পাসপোর্টের জন্য সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রান তিনি। আবদুস সালাম নামের এই ব্যক্তির আক্ষেপ, পাসপোর্ট অফিসের লোকজন কেন মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না?
মাগুরা থেকে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে আসা এমন আরেক ভুক্তভোগী রাজু বিশ্বাস। ট্যুরিস্ট ভিসায় তিনি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। পরে সেখানে গিয়ে কাজের জন্য নতুন করে পাসপোর্ট নেন। সেই পাসপোর্টে তাঁর নাম ছিল রাজু বিশ্বাস। মালয়েশিয়া থেকে ফিরে আসেন তিন মাসের ছুটিতে।
ভিসার মেয়াদ আছে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত। এখন তাঁর ভোটার আইডির সঙ্গে পাসপোর্টের নাম মিলছে না। ভোটার আইডিতে তাঁর নাম মো. আছে। তিনি ভোটার আইডি কার্ডের নাম অনুসারে পাসপোর্ট সংশোধন করতে চান। কিন্তু পাসপোর্ট অফিস ঘুরে ঘুরে তার সমাধান হয়নি। রাজু বিশ্বাস বললেন, গতকাল তিন ঘণ্টা বসে থাকার পর তাঁকে জানানো হয় এটা এখানে হবে না, নিজ জেলায় যেতে হবে।
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টার আগেই লাইন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের মধ্যে সেবাপ্রার্থীদের অপেক্ষাও বাড়তে থাকে। কিন্তু অপেক্ষমাণ সেবাপ্রার্থীদের বসা তো দূরের কথা ঠিকঠাক দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে অফিসের ভেতর ঢুকলে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ, ভুল সংশোধনের, পুলিশ ভেরিফিকেশন সবগুলো রুমের সামনে মানুষের ভিড়। এসব রুমের সমনে থেকে অফিসের সিঁড়ি বেয়ে নিচের দিকে নামতে থাকে মানুষের দাঁড়িয়ে থাকার লাইন।
সরকারি এবং গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি প্রতিষ্ঠানে সেবার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ মানুষ। চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবেন রোকসানা খাতুন। তাঁর দরকার জরুরি পাসপোর্ট। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসে আসার পর নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বললেন, ‘আমি এখানে পাসপোর্টের জন্য এসেছি, কোনো দুর্যোগের পর ত্রাণ নিতে আসিনি। টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। অন্তত একটু বসার জায়গা থাকা উচিত।’
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রাহকেরা পাসপোর্টে এমন ধরনের তথ্যের পরিবর্তন করতে চায়, যা আসলে অনেক কঠিন এবং জটিল সমস্যা। তখন তার পাসপোর্ট পেতে জটিলতা তৈরি হয়। কেউ যদি সঠিক তথ্য দেয়, তাহলে তার ই-পাসপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে না’।
রাজধানীর পল্লবী থেকে আগারগাঁও এসেছিলেন নালিক আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর ছেলে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে। ছেলের জন্য পাসপোর্ট করতে দিয়েছেন, কিন্তু সময়মতো ডেলিভারি না পাওয়ায় ঘুরছেন। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে যখন টাকা জমা দিয়ে ই-পাসপোর্টের আবেদন করি, তার এক মাস পর এল আবেদনপত্র জমা দেওয়ার তারিখ। সব কাজ শেষ করার পর ২২ মার্চ ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি পাব এমনই বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখে এসে পাইনি। কেন হয়নি তার ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি। এপ্রিলেও একবার এসেছিলাম কোনো আপডেট পাইনি, বলা হয়েছিল তখনো রেডি হয়নি। প্রায় পাঁচ মাস ঘোরার পর রোববার ২২ মে পাসপোর্ট অফিসে এসে জানতে পারি ছেলের পাসপোর্ট হয়ে গেছে। পাসপোর্ট ডেলিভারি নেওয়াও একটা যুদ্ধ। পদে পদে ভোগান্তি।’
পাসপোর্ট অফিসজুড়ে এমন নানা ধরনের ভোগান্তির গল্প। এখানে কাউকে কোনো কিছু বলার সুযোগ নেই। কেউ কারও কথা শুনে না। বর্তমানে নতুন আবেদনকারী প্রত্যেক নাগরিক ই-পাসপোর্ট পাচ্ছেন। তাই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এমআরপির মেয়াদ শেষ হওয়ায় যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁরাও ই-পাসপোর্ট পাচ্ছেন।
জানতে চাইলে আগারগাঁও পাসপোর্ট কার্যালয়ের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই পাসপোর্ট পাচ্ছেন, কেউ পাসপোর্ট পাচ্ছেন না এটা বলা যাবে না। তবে না পাওয়ার সংখ্যা খুবই কম। তা ছাড়া গ্রাহকদের তুলনায় আমাদের জনবল কম, ফলে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়।’
পাসপোর্ট পেতে এত যে মানুষের ভোগান্তি, সেটা কবে শেষ হবে? দেশে আর কত উন্নয়ন হলে মানুষ ঝামেলা ছাড়া নিজের পাসপোর্ট নিতে পারবে? এই দুটি প্রশ্নই পাসপোর্ট নিতে আসা এক ব্যক্তির। নিজের পাসপোর্টের জন্য সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে হয়রান তিনি। আবদুস সালাম নামের এই ব্যক্তির আক্ষেপ, পাসপোর্ট অফিসের লোকজন কেন মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না?
মাগুরা থেকে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে আসা এমন আরেক ভুক্তভোগী রাজু বিশ্বাস। ট্যুরিস্ট ভিসায় তিনি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। পরে সেখানে গিয়ে কাজের জন্য নতুন করে পাসপোর্ট নেন। সেই পাসপোর্টে তাঁর নাম ছিল রাজু বিশ্বাস। মালয়েশিয়া থেকে ফিরে আসেন তিন মাসের ছুটিতে।
ভিসার মেয়াদ আছে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত। এখন তাঁর ভোটার আইডির সঙ্গে পাসপোর্টের নাম মিলছে না। ভোটার আইডিতে তাঁর নাম মো. আছে। তিনি ভোটার আইডি কার্ডের নাম অনুসারে পাসপোর্ট সংশোধন করতে চান। কিন্তু পাসপোর্ট অফিস ঘুরে ঘুরে তার সমাধান হয়নি। রাজু বিশ্বাস বললেন, গতকাল তিন ঘণ্টা বসে থাকার পর তাঁকে জানানো হয় এটা এখানে হবে না, নিজ জেলায় যেতে হবে।
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল ৮টার আগেই লাইন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের মধ্যে সেবাপ্রার্থীদের অপেক্ষাও বাড়তে থাকে। কিন্তু অপেক্ষমাণ সেবাপ্রার্থীদের বসা তো দূরের কথা ঠিকঠাক দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে অফিসের ভেতর ঢুকলে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ছবি তোলা, আঙুলের ছাপ, ভুল সংশোধনের, পুলিশ ভেরিফিকেশন সবগুলো রুমের সামনে মানুষের ভিড়। এসব রুমের সমনে থেকে অফিসের সিঁড়ি বেয়ে নিচের দিকে নামতে থাকে মানুষের দাঁড়িয়ে থাকার লাইন।
সরকারি এবং গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি প্রতিষ্ঠানে সেবার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ মানুষ। চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবেন রোকসানা খাতুন। তাঁর দরকার জরুরি পাসপোর্ট। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসে আসার পর নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বললেন, ‘আমি এখানে পাসপোর্টের জন্য এসেছি, কোনো দুর্যোগের পর ত্রাণ নিতে আসিনি। টাকা দিয়ে আবেদন করেছি। অন্তত একটু বসার জায়গা থাকা উচিত।’
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্রাহকেরা পাসপোর্টে এমন ধরনের তথ্যের পরিবর্তন করতে চায়, যা আসলে অনেক কঠিন এবং জটিল সমস্যা। তখন তার পাসপোর্ট পেতে জটিলতা তৈরি হয়। কেউ যদি সঠিক তথ্য দেয়, তাহলে তার ই-পাসপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে না’।
রাজধানীর পল্লবী থেকে আগারগাঁও এসেছিলেন নালিক আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী। তাঁর ছেলে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ে। ছেলের জন্য পাসপোর্ট করতে দিয়েছেন, কিন্তু সময়মতো ডেলিভারি না পাওয়ায় ঘুরছেন। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে যখন টাকা জমা দিয়ে ই-পাসপোর্টের আবেদন করি, তার এক মাস পর এল আবেদনপত্র জমা দেওয়ার তারিখ। সব কাজ শেষ করার পর ২২ মার্চ ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি পাব এমনই বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখে এসে পাইনি। কেন হয়নি তার ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়নি। এপ্রিলেও একবার এসেছিলাম কোনো আপডেট পাইনি, বলা হয়েছিল তখনো রেডি হয়নি। প্রায় পাঁচ মাস ঘোরার পর রোববার ২২ মে পাসপোর্ট অফিসে এসে জানতে পারি ছেলের পাসপোর্ট হয়ে গেছে। পাসপোর্ট ডেলিভারি নেওয়াও একটা যুদ্ধ। পদে পদে ভোগান্তি।’
পাসপোর্ট অফিসজুড়ে এমন নানা ধরনের ভোগান্তির গল্প। এখানে কাউকে কোনো কিছু বলার সুযোগ নেই। কেউ কারও কথা শুনে না। বর্তমানে নতুন আবেদনকারী প্রত্যেক নাগরিক ই-পাসপোর্ট পাচ্ছেন। তাই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এমআরপির মেয়াদ শেষ হওয়ায় যাঁরা আবেদন করছেন, তাঁরাও ই-পাসপোর্ট পাচ্ছেন।
জানতে চাইলে আগারগাঁও পাসপোর্ট কার্যালয়ের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবাই পাসপোর্ট পাচ্ছেন, কেউ পাসপোর্ট পাচ্ছেন না এটা বলা যাবে না। তবে না পাওয়ার সংখ্যা খুবই কম। তা ছাড়া গ্রাহকদের তুলনায় আমাদের জনবল কম, ফলে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে