আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় চট্টগ্রাম নগরীতে চাপ বেড়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেলের ওপর। তবে চাহিদার অনুপাতে সেখানে কম পণ্য মিলছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয় না বলেও জানান তাঁরা। এ দিকে এসব পণ্য কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগও উঠেছে। এ সব অভিযোগের বিষয়ে টিসিবি কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল সংকটের কারণে তাঁরা ডিলারদের কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকি করতে পারছেন না।
গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর জামাল খানে দেখা যায়, সেখানে পণ্য নিয়ে আসেনি টিসিবির ট্রাক। প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ লাইন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, টিসিবির পণ্যাগার থেকে স্পটে আসার আগেই ডিলারেরা কালোবাজারে বিক্রির জন্য পণ্য নিজেদের গুদামে সরিয়ে ফেলেন। পরে যে পণ্য বিক্রি করা হয়, তা ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
চট্টেশ্বরী থেকে আসা সবিতা বডুয়া বলেন, অনেকক্ষণ ধরে সেখানে এসেছেন। কিন্তু ট্রাকের দেখা পাননি। এর আগেও দীর্ঘ অপেক্ষা করেও পণ্য পাননি তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাজীর দেউড়ি মোড়ের টিসিবির পণ্য বিতরণ স্পটে দেখা যায় একই চিত্র। লাইনে অনেক লোক অপেক্ষা করলেও ট্রাক এসে পৌঁছায়নি।
সেখানে পণ্য কিনতে এসেছিলেন দেওয়ানহাটের বাসিন্দা গালেব হাইসান। তাঁর অভিযোগ, ট্রাকগুলো প্রায় সময়ই দেরি করে আসে।
মুরাদপুর থেকে আসা মো. জহির বলেন, টিসিবির পণ্যের ট্রাক স্পটে আসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় মানা হয় না। তিনিও ট্রাকে পণ্য কম আনার অভিযোগ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের জন্য মাত্র ১২টি খোলা ট্রাকে ভোগ্যপণ্য বিক্রির কার্যক্রম চালাচ্ছে টিসিবি। এ ছাড়া চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলায় আরও ৮টি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হয়। সব মিলিয়ে জেলায় মাত্র ২০টি ট্রাকে এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অথচ এক সময় শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মহানগরীতেই ২২টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হতো। গত ২৬ জুলাই থেকে তা কমিয়ে ফেলা হয়। ওই সময় থেকে ৮টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু হয়। চলতি ডিসেম্বরে আরও ৪টি ট্রাক বাড়ানো হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই বিপাকে রয়েছে সাধারণ মানুষ। এর ওপর টিসিবি ট্রাকে বিক্রি কমিয়ে দেওয়ায় ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। ফলে সকাল থেকেই তাঁদের দীর্ঘ লাইন ধরতে হচ্ছে। তাঁদের অনেককেই পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা।
টিসিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান মো. জামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহানগরীতে ১২টি ট্রাকে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, পেঁয়াজ ও চিনি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রাকে ৫০০ লিটার সয়াবিন তেল, ২০০ কেজি চিনি, ৪০০ কেজি মসুর ডাল ও ৪০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা ও পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। একজন ক্রেতা ২ কেজি করে পণ্য কিনতে পারেন।
টিসিবির পণ্য কালো বাজারে বিক্রির ব্যাপারে জামাল উদ্দিন বলেন, ‘অনিয়ম পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। ইতিমধ্যে কালোবাজারে পণ্য বিক্রির অপরাধে একজনের ডিলারশিপ বাতিল করেছি। এ ছাড়া আরও কয়েকজন ডিলারকে শোকজ করেছি।’
টিসিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান আরও বলেন, ‘জনবলের অভাবে আমাদের তদারকি কম। তবে আমরা মাঝে মাঝে যাই। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও তদারকি করেন।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভর্তুকি দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু অতি মুনাফাখোর ডিলারেরা এসব পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করে জনগণের হক মেরে দিচ্ছেন। আমি এসব দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ স ম জামশেদ খোন্দকার বলেন, ‘আমরা টিসিবির পণ্য বিক্রি তদারকি করে থাকি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই।’
টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রির কথা স্বীকার করেন টিসিবি ডিলার সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম রাশেদ। তিনি বলেন, একজন ডিলার টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করেছিলেন। এ অভিযোগে তাঁর ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় চট্টগ্রাম নগরীতে চাপ বেড়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাক সেলের ওপর। তবে চাহিদার অনুপাতে সেখানে কম পণ্য মিলছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। এ ছাড়া নির্ধারিত সময়ে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয় না বলেও জানান তাঁরা। এ দিকে এসব পণ্য কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগও উঠেছে। এ সব অভিযোগের বিষয়ে টিসিবি কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল সংকটের কারণে তাঁরা ডিলারদের কার্যক্রম সঠিকভাবে তদারকি করতে পারছেন না।
গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর জামাল খানে দেখা যায়, সেখানে পণ্য নিয়ে আসেনি টিসিবির ট্রাক। প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ লাইন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন। তাঁদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, টিসিবির পণ্যাগার থেকে স্পটে আসার আগেই ডিলারেরা কালোবাজারে বিক্রির জন্য পণ্য নিজেদের গুদামে সরিয়ে ফেলেন। পরে যে পণ্য বিক্রি করা হয়, তা ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
চট্টেশ্বরী থেকে আসা সবিতা বডুয়া বলেন, অনেকক্ষণ ধরে সেখানে এসেছেন। কিন্তু ট্রাকের দেখা পাননি। এর আগেও দীর্ঘ অপেক্ষা করেও পণ্য পাননি তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাজীর দেউড়ি মোড়ের টিসিবির পণ্য বিতরণ স্পটে দেখা যায় একই চিত্র। লাইনে অনেক লোক অপেক্ষা করলেও ট্রাক এসে পৌঁছায়নি।
সেখানে পণ্য কিনতে এসেছিলেন দেওয়ানহাটের বাসিন্দা গালেব হাইসান। তাঁর অভিযোগ, ট্রাকগুলো প্রায় সময়ই দেরি করে আসে।
মুরাদপুর থেকে আসা মো. জহির বলেন, টিসিবির পণ্যের ট্রাক স্পটে আসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় মানা হয় না। তিনিও ট্রাকে পণ্য কম আনার অভিযোগ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের জন্য মাত্র ১২টি খোলা ট্রাকে ভোগ্যপণ্য বিক্রির কার্যক্রম চালাচ্ছে টিসিবি। এ ছাড়া চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলায় আরও ৮টি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হয়। সব মিলিয়ে জেলায় মাত্র ২০টি ট্রাকে এই কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অথচ এক সময় শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মহানগরীতেই ২২টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হতো। গত ২৬ জুলাই থেকে তা কমিয়ে ফেলা হয়। ওই সময় থেকে ৮টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু হয়। চলতি ডিসেম্বরে আরও ৪টি ট্রাক বাড়ানো হয়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই বিপাকে রয়েছে সাধারণ মানুষ। এর ওপর টিসিবি ট্রাকে বিক্রি কমিয়ে দেওয়ায় ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। ফলে সকাল থেকেই তাঁদের দীর্ঘ লাইন ধরতে হচ্ছে। তাঁদের অনেককেই পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা।
টিসিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান মো. জামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, মহানগরীতে ১২টি ট্রাকে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, পেঁয়াজ ও চিনি ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রাকে ৫০০ লিটার সয়াবিন তেল, ২০০ কেজি চিনি, ৪০০ কেজি মসুর ডাল ও ৪০০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা ও পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। একজন ক্রেতা ২ কেজি করে পণ্য কিনতে পারেন।
টিসিবির পণ্য কালো বাজারে বিক্রির ব্যাপারে জামাল উদ্দিন বলেন, ‘অনিয়ম পেলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। ইতিমধ্যে কালোবাজারে পণ্য বিক্রির অপরাধে একজনের ডিলারশিপ বাতিল করেছি। এ ছাড়া আরও কয়েকজন ডিলারকে শোকজ করেছি।’
টিসিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান আরও বলেন, ‘জনবলের অভাবে আমাদের তদারকি কম। তবে আমরা মাঝে মাঝে যাই। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও তদারকি করেন।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভর্তুকি দিয়ে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু অতি মুনাফাখোর ডিলারেরা এসব পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করে জনগণের হক মেরে দিচ্ছেন। আমি এসব দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আ স ম জামশেদ খোন্দকার বলেন, ‘আমরা টিসিবির পণ্য বিক্রি তদারকি করে থাকি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই।’
টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রির কথা স্বীকার করেন টিসিবি ডিলার সমিতি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম রাশেদ। তিনি বলেন, একজন ডিলার টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রি করেছিলেন। এ অভিযোগে তাঁর ডিলারশিপ বাতিল করা হয়েছে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৬ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে