কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।
প্রকল্পটির আওতায় পুরোনো গোমতি নদী এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন পুকুরের উন্নয়ন করে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে রূপ দেওয়া হবে। নতুন করে ৩০৫ কিলোমিটার সড়ক, ১৩ কিলোমিটার ফুটপাথ, একটি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ এবং বিদ্যমান একটি বাস টার্মিনাল উন্নয়ন করা হবে। এতে নগরের যানজট নিরসন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ১৫ তলাবিশিষ্ট আধুনিক সেবাসম্বলিত নগরভবন, ৬ তলা বিশিষ্ট দুটি সেবক কলোনি, আঞ্চলিক অফিসগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ১৪৬টি কবরস্থান উন্নয়ন, ২০৩ কিলোমিটার বিস্তৃত ও প্রশস্ত নালা নির্মাণ, সাতটি আধুনিক পাবলিক শৌচাগার নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে, নগরীর জলাবদ্ধতা ও যানজন দূরীকরণ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ। এ জন্য ওইসবের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন সেতু, নদী শাসন, নালা নির্মাণ, রাস্তাঘাটের আধুনিকায়ন ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে নগরীর আধুনিকায়ন করা হবে।
কুমিল্লা নগরীর উন্নয়ন চাহিদাকে একত্রিত করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নির্দেশনায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কর্মকর্তারা প্রকল্পটি তৈরি করেন।
কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে কুসিকের মেয়র, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা প্রায় এক বছর ধরে নগরীর উন্নয়নের জন্য বৃহৎ এই প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করেছেন। প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের সন্তানদের জন্য আগামীর বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক, উন্নত, বাসযোগ্য নগরী গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।’
প্রকল্পটি অনুমোদন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নগরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু।
কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘মিল্লা সিটির উন্নয়নে মেগা প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ জানাই স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে। তাঁরা প্রকল্প অনুমোদনে সার্বিক নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কুমিল্লা নগরীর সামগ্রিক উন্নয়ন হবে। আরও বাসযোগ্য, আধুনিক, উন্নত শহরে পরিণত হবে কুমিল্লা।’
কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, ‘কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ ও কুমিল্লার জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। নতুন সিটি করপোরেশন হিসেবে ফান্ডের অভাবে কুমিল্লা সিটির অবকাঠামো এখনোও দাঁড় করানো যায়নি, এটি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে প্রকল্পের জন্য রাজি করিয়েছেন। এটি এই সিটিতে সরকারি প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন হলে আমাদের প্রধান সমস্যাগুলো সমাধান হবে।’
২০১১ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক অধ্যাদেশ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা হয়। এর আগে কুমিল্লা পৌরসভা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পৌরসভা নামে দুটি পৌরসভা ছিল।
আদর্শ সদর উপজেলা ঘিরে সিটি করপোরেশনটির অবস্থান। এর পশ্চিমে দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ও দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন, উত্তরে গোমতী নদী ও আমড়াতলী ইউনিয়ন, উত্তর-পূর্বে পাঁচথুবী ইউনিয়ন, পূর্বে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়ন ও বিজয়পুর ইউনিয়ন অবস্থিত।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।
প্রকল্পটির আওতায় পুরোনো গোমতি নদী এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন পুকুরের উন্নয়ন করে ঢাকার হাতিরঝিলের আদলে রূপ দেওয়া হবে। নতুন করে ৩০৫ কিলোমিটার সড়ক, ১৩ কিলোমিটার ফুটপাথ, একটি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ এবং বিদ্যমান একটি বাস টার্মিনাল উন্নয়ন করা হবে। এতে নগরের যানজট নিরসন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ১৫ তলাবিশিষ্ট আধুনিক সেবাসম্বলিত নগরভবন, ৬ তলা বিশিষ্ট দুটি সেবক কলোনি, আঞ্চলিক অফিসগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ১৪৬টি কবরস্থান উন্নয়ন, ২০৩ কিলোমিটার বিস্তৃত ও প্রশস্ত নালা নির্মাণ, সাতটি আধুনিক পাবলিক শৌচাগার নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে, নগরীর জলাবদ্ধতা ও যানজন দূরীকরণ, রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ। এ জন্য ওইসবের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন সেতু, নদী শাসন, নালা নির্মাণ, রাস্তাঘাটের আধুনিকায়ন ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে নগরীর আধুনিকায়ন করা হবে।
কুমিল্লা নগরীর উন্নয়ন চাহিদাকে একত্রিত করে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের নির্দেশনায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কর্মকর্তারা প্রকল্পটি তৈরি করেন।
কুসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে কুসিকের মেয়র, প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা প্রায় এক বছর ধরে নগরীর উন্নয়নের জন্য বৃহৎ এই প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করেছেন। প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আমাদের সন্তানদের জন্য আগামীর বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক, উন্নত, বাসযোগ্য নগরী গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।’
প্রকল্পটি অনুমোদন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নগরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু।
কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘মিল্লা সিটির উন্নয়নে মেগা প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ জানাই স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে। তাঁরা প্রকল্প অনুমোদনে সার্বিক নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কুমিল্লা নগরীর সামগ্রিক উন্নয়ন হবে। আরও বাসযোগ্য, আধুনিক, উন্নত শহরে পরিণত হবে কুমিল্লা।’
কুমিল্লা-৬ আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, ‘কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ ও কুমিল্লার জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। নতুন সিটি করপোরেশন হিসেবে ফান্ডের অভাবে কুমিল্লা সিটির অবকাঠামো এখনোও দাঁড় করানো যায়নি, এটি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে প্রকল্পের জন্য রাজি করিয়েছেন। এটি এই সিটিতে সরকারি প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন হলে আমাদের প্রধান সমস্যাগুলো সমাধান হবে।’
২০১১ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক অধ্যাদেশ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা হয়। এর আগে কুমিল্লা পৌরসভা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পৌরসভা নামে দুটি পৌরসভা ছিল।
আদর্শ সদর উপজেলা ঘিরে সিটি করপোরেশনটির অবস্থান। এর পশ্চিমে দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন ও দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন, উত্তরে গোমতী নদী ও আমড়াতলী ইউনিয়ন, উত্তর-পূর্বে পাঁচথুবী ইউনিয়ন, পূর্বে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়ন ও বিজয়পুর ইউনিয়ন অবস্থিত।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে