নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাশী ৭৯ জন প্রচারণায় নেমেছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিন দিন জমজমাট হয়ে উঠছে জনপদ। গত বৃহস্পতিবার ঘোষিত তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে ২৮ নভেম্বর।

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। গ্রামের চায়ের দোকানগুলো নির্বাচনী আলোচনায় সরগরম হয়ে উঠছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ভোটারদের মাঝে আলোচনা ও হিসেব-নিকাশ চলছে।

দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বর্তমান ও সাবেক সাংসদ সমর্থিত দুই ভাগে বিভক্ত। উভয় গ্রুপের একাধিক প্রার্থীর নামের তালিকা মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নেই রয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা এলাকায় গণসংযোগের পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন পেতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। স্থানীয় সাংসদ এলাকায় এলে তাঁর সঙ্গেও দেখা করছেন।

সরেজমিন তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, লালপুর ইউনিয়নে ৯ জন, ঈশ্বরদী ইউনিয়নে ৯ জন, চংধুপইল ইউনিয়নে ৮ জন, আড়বাব ইউনিয়নে ১১ জন, বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নে ১০ জন, দুয়ারিয়া ইউনিয়নে ৭ জন, ওয়ালিয়া ইউনিয়নে ৭ জন, দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে ৭ জন, অর্জুনপুর-বরমহাটী ইউনিয়নে ৩ জন ও কদিমচিলান ইউনিয়নে ৭ জন প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসাহাক আলী বলেন, দলের জন্য নিবেদিত সৎ, যোগ্য, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে মনোনয়নের ব্যাপারে সুপারিশ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাসিব বিন সাহাব বলেন, ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৯০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হতে পারে। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২ হাজার ৫০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ এক হাজর ৮৭১ জন, নারী ১ লাখ ১৭৯ জন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ নভেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১১ নভেম্বর ও ভোটগ্রহণ ২৮ নভেম্বর।