সম্পাদকীয়
২৮ অক্টোবর আর শান্ত থাকল না। সংঘাতও এড়ানো গেল না। বোঝাই যাচ্ছে, সরকারি ও বিরোধী দলের শক্তি প্রয়োগের চারণভূমি হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকা। ঘটনাকে যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, বর্তমান সংকটটি হচ্ছে একদিকে সরকার পতনের আন্দোলন, অন্যদিকে বিরোধীদের ঠেকানোর আন্দোলন। এই দুইমুখী সংঘর্ষে মূলত বিপাকে পড়েছে সাধারণ জনগণ। বিএনপি আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে।
রাজনীতি যদি শুধুই শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হয়ে থাকে, তাহলে তা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির বাইরে চলে যায়। আমাদের দেশে গণতন্ত্র যে ঠিকভাবে কাজ করে না, তার উদাহরণ নিকট অতীতেও রয়েছে। যে দল ক্ষমতায় যায়, তারাই যেন গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ভুলে বসে। সে সময় বিরোধী দলকে যতটা পারা যায়, দমিয়ে রাখার অনুশীলন চলতে থাকে এবং তা-ও চলে গণতন্ত্রের নামে। নির্বাচন কাছাকাছি এলে এই সংকট ঘনীভূত হয়। অতীতেও নানা সময় এ ধরনের অস্থিতিশীল অবস্থায় পড়েছে দেশ। কোন দলের লক্ষ্য কী, সেটা জেনে জনগণ তাতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়েছে। কিন্তু যে দলগুলো এখন পরস্পরের সঙ্গে যুঝছে, তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য কী, সেটাই তো পরিষ্কার হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি আসলেই দেশের মানুষকে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন পরিকল্পনা করেছে, সেটাই জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের উন্নয়নের কথা শোনাচ্ছে বারবার, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির অপকর্মের ফিরিস্তি দিচ্ছে, কিন্তু তাদের শাসনামলে ঘটতে থাকা দুর্নীতি, পাচার ইত্যাদি রোধে তারা কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে কিছু বলছে না। দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে সিন্ডিকেটগুলোই যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, এমন কথা অনেকেই বলছেন। বাজারকে এই অসহনীয় অবস্থা থেকে বের করে আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন আছে।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ সরকার ঠিকভাবে দেশ চালাচ্ছে না, বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে ইত্যাদি অভিযোগ আনলেও ক্ষমতায় এলে কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেবে, কীভাবে দেশের মানুষকে একটি শান্তিপূর্ণ সরকার উপহার দেবে, সে ব্যাপারে মুখ খুলছে না বিএনপি। শেষ বিএনপি সরকারের আমলে হাওয়া ভবনের নির্লজ্জ রাজনীতি, নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়টি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো নারকীয় ঘটনাসহ নানা ধরনের অরাজক যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল, সে বিষয়গুলোতেও বিএনপির অবস্থান মোটেও সন্তোষজনক নয়।
জনগণ চায় এমন একটি দেশে বসবাস করতে, যেখানে থাকবে আইনের শাসন। কোনো স্বাভাবিক কাজে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হস্তক্ষেপের দরকার পড়বে না। আইন চলবে তার স্বাভাবিক পথে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, বছরের পর বছর আমরা দেখতে পাচ্ছি ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার প্রবল অপব্যবহার।
জনগণের জন্য দিক-নির্দেশনামূলক আহ্বান জানানো না হলে জনগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সংঘাত নয়, আলোচনার মাধ্যমে এবং নিজেদের ভুলগুলো জনগণের সামনে স্বীকার করে নিয়েই সামনের পথটা মসৃণ করে তুলতে পারে রাজনৈতিক দলগুলো। অন্য কোনোভাবে নয়।
২৮ অক্টোবর আর শান্ত থাকল না। সংঘাতও এড়ানো গেল না। বোঝাই যাচ্ছে, সরকারি ও বিরোধী দলের শক্তি প্রয়োগের চারণভূমি হয়ে উঠেছে রাজধানী ঢাকা। ঘটনাকে যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, বর্তমান সংকটটি হচ্ছে একদিকে সরকার পতনের আন্দোলন, অন্যদিকে বিরোধীদের ঠেকানোর আন্দোলন। এই দুইমুখী সংঘর্ষে মূলত বিপাকে পড়েছে সাধারণ জনগণ। বিএনপি আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে।
রাজনীতি যদি শুধুই শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হয়ে থাকে, তাহলে তা গণতান্ত্রিক রীতিনীতির বাইরে চলে যায়। আমাদের দেশে গণতন্ত্র যে ঠিকভাবে কাজ করে না, তার উদাহরণ নিকট অতীতেও রয়েছে। যে দল ক্ষমতায় যায়, তারাই যেন গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ভুলে বসে। সে সময় বিরোধী দলকে যতটা পারা যায়, দমিয়ে রাখার অনুশীলন চলতে থাকে এবং তা-ও চলে গণতন্ত্রের নামে। নির্বাচন কাছাকাছি এলে এই সংকট ঘনীভূত হয়। অতীতেও নানা সময় এ ধরনের অস্থিতিশীল অবস্থায় পড়েছে দেশ। কোন দলের লক্ষ্য কী, সেটা জেনে জনগণ তাতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিয়েছে। কিন্তু যে দলগুলো এখন পরস্পরের সঙ্গে যুঝছে, তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য কী, সেটাই তো পরিষ্কার হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি আসলেই দেশের মানুষকে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন পরিকল্পনা করেছে, সেটাই জনগণের কাছে স্পষ্ট নয়।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ তাদের উন্নয়নের কথা শোনাচ্ছে বারবার, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপির অপকর্মের ফিরিস্তি দিচ্ছে, কিন্তু তাদের শাসনামলে ঘটতে থাকা দুর্নীতি, পাচার ইত্যাদি রোধে তারা কী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে কিছু বলছে না। দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে, তাতে সিন্ডিকেটগুলোই যে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, এমন কথা অনেকেই বলছেন। বাজারকে এই অসহনীয় অবস্থা থেকে বের করে আনার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার কতটা আন্তরিক, তা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন আছে।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ সরকার ঠিকভাবে দেশ চালাচ্ছে না, বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে ইত্যাদি অভিযোগ আনলেও ক্ষমতায় এলে কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেবে, কীভাবে দেশের মানুষকে একটি শান্তিপূর্ণ সরকার উপহার দেবে, সে ব্যাপারে মুখ খুলছে না বিএনপি। শেষ বিএনপি সরকারের আমলে হাওয়া ভবনের নির্লজ্জ রাজনীতি, নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়টি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো নারকীয় ঘটনাসহ নানা ধরনের অরাজক যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল, সে বিষয়গুলোতেও বিএনপির অবস্থান মোটেও সন্তোষজনক নয়।
জনগণ চায় এমন একটি দেশে বসবাস করতে, যেখানে থাকবে আইনের শাসন। কোনো স্বাভাবিক কাজে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হস্তক্ষেপের দরকার পড়বে না। আইন চলবে তার স্বাভাবিক পথে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, বছরের পর বছর আমরা দেখতে পাচ্ছি ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার প্রবল অপব্যবহার।
জনগণের জন্য দিক-নির্দেশনামূলক আহ্বান জানানো না হলে জনগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সংঘাত নয়, আলোচনার মাধ্যমে এবং নিজেদের ভুলগুলো জনগণের সামনে স্বীকার করে নিয়েই সামনের পথটা মসৃণ করে তুলতে পারে রাজনৈতিক দলগুলো। অন্য কোনোভাবে নয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে