যশোর প্রতিনিধি
যশোরের সদ্য সমাপ্ত দুই উপজেলার ২২ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৯ টিতেই হেরেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা। এসব স্থানে ছয়টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বাকি দুজন বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ সমমনা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। আর নৌকার জিতেছেন ১৩ জন।
কিন্তু প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি প্রার্থীই কেন হেরে গেলেন এই নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেছে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ।
জেলার শীর্ষ একাধিক নেতা বলছেন, দলের প্রতি আনুগত্য না থাকায় বিদ্রোহীদের প্রার্থীদের কারণেই এমনটি ঘটেছে। এই অবস্থা থেকে জেলার বাকি উপজেলাগুলোর আসন্ন নির্বাচনগুলোতে কীভাবে দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করা যায় সে নিয়েও ভেতরে চলছে নানা আলোচনা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে বেশ কিছু মতামতও তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার চৌগাছা ও ঝিকরগাছায় ইউপি নির্বাচন হয়। এর মধ্যে চৌগাছায় ভরাডুবি হয়েছে নৌকার। সেখানে ৯টি ইউপিতে সরাসরি ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন মাত্র তিনটিতে। আর বিদ্রোহীরা জয় পান চারটিতে। স্বতন্ত্র পায় দুটিতে। এ ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার দুই প্রার্থী আগে জয় নিশ্চিত করেন।
এ নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা হয়। এ জন্য অনেকেই প্রার্থীদের অযোগ্যতা ও নেতাদের অদূরদর্শিতাকে দায়ী করছেন।
কেউ কেউ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। সব মিলিয়ে বিব্রত জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতারাও। তবে বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই মূলত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা হেরেছেন। উপজেলাটিতে আওয়ামী লীগের অন্তত তিনটি পক্ষ প্রকাশ্যে সক্রিয়। মনোনয়নের ক্ষেত্রে পক্ষগুলোর নেতারা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে তুলনামূলক অযোগ্যদের জন্য তদবির ও সুপারিশ করেছেন। যার বিরূপ ফল হয়েছে নৌকার ভরাডুবি।
নেতারা আরও জানান, চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলা মিলে যশোর-২ সংসদীয় আসন। এ আসনটি থেকে বেশির ভাগ সময়ই সাংসদ হয়েছেন ঝিকরগাছার বাসিন্দারা। যে কারণে তাঁরা চৌগাছায় গ্রুপিংয়ের রাজনীতি জিইয়ে রেখেছেন। সাবেক ও বর্তমান সাংসদেরা একই মনোভাব বজায় রেখেছেন অদ্যাবধি। এবারের নির্বাচনেও তার প্রতিফলন দেখা গেছে। নির্বাচনে সেই গ্রুপিংয়ের রাজনীতির বলিই হতে হয়েছে নৌকাকে।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্র তৃণমূলের মতামত একেবারেই পাত্তা দেওয়া হয়নি। এমনকি অবস্থান সম্পর্কেও যাচাই-বাছাই করা হয়নি। এতে অযোগ্য, জনসম্পৃক্ততা নেই, কর্মী বান্ধব নন এমন প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন এখানে। একই অবস্থা ঝিকরগাছার ক্ষেত্রেও। তবে সেখানে বিজয়ী প্রার্থীর স্থানীয় ইমেজের কাছে হেরেছে নৌকার প্রার্থী এমনটাই দাবি তৃণমূলের।
ঝিকরগাছা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ১১ টির মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে পরাজিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা।’
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রের বিষয়। এখানে আমরা শুধু সমর্থন জানিয়ে রেজুলেশন পাঠাতে পারি। এ ছাড়া আমাদের হাতে তেমন কিছুই নেই।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমরা অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রে একটি মতামত পাঠানো হবে। তবে আমার দৃষ্টিতে ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়া উচিত নয়। কেননা আমরা দেখেছি, ক্ষমতাসীন দল হওয়ায় সবাই নির্বাচন করতে চান।’
তিনি আরও বলেন, ‘তা ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তাও একটি বিষয়। সবকিছুই এখন আমরা পর্যালোচনা করছি।’
যশোরের সদ্য সমাপ্ত দুই উপজেলার ২২ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৯ টিতেই হেরেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা। এসব স্থানে ছয়টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। বাকি দুজন বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ সমমনা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। আর নৌকার জিতেছেন ১৩ জন।
কিন্তু প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি প্রার্থীই কেন হেরে গেলেন এই নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেছে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ।
জেলার শীর্ষ একাধিক নেতা বলছেন, দলের প্রতি আনুগত্য না থাকায় বিদ্রোহীদের প্রার্থীদের কারণেই এমনটি ঘটেছে। এই অবস্থা থেকে জেলার বাকি উপজেলাগুলোর আসন্ন নির্বাচনগুলোতে কীভাবে দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত করা যায় সে নিয়েও ভেতরে চলছে নানা আলোচনা। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে বেশ কিছু মতামতও তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার চৌগাছা ও ঝিকরগাছায় ইউপি নির্বাচন হয়। এর মধ্যে চৌগাছায় ভরাডুবি হয়েছে নৌকার। সেখানে ৯টি ইউপিতে সরাসরি ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন মাত্র তিনটিতে। আর বিদ্রোহীরা জয় পান চারটিতে। স্বতন্ত্র পায় দুটিতে। এ ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার দুই প্রার্থী আগে জয় নিশ্চিত করেন।
এ নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে আলোচনা হয়। এ জন্য অনেকেই প্রার্থীদের অযোগ্যতা ও নেতাদের অদূরদর্শিতাকে দায়ী করছেন।
কেউ কেউ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। সব মিলিয়ে বিব্রত জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতারাও। তবে বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই মূলত নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা হেরেছেন। উপজেলাটিতে আওয়ামী লীগের অন্তত তিনটি পক্ষ প্রকাশ্যে সক্রিয়। মনোনয়নের ক্ষেত্রে পক্ষগুলোর নেতারা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে তুলনামূলক অযোগ্যদের জন্য তদবির ও সুপারিশ করেছেন। যার বিরূপ ফল হয়েছে নৌকার ভরাডুবি।
নেতারা আরও জানান, চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলা মিলে যশোর-২ সংসদীয় আসন। এ আসনটি থেকে বেশির ভাগ সময়ই সাংসদ হয়েছেন ঝিকরগাছার বাসিন্দারা। যে কারণে তাঁরা চৌগাছায় গ্রুপিংয়ের রাজনীতি জিইয়ে রেখেছেন। সাবেক ও বর্তমান সাংসদেরা একই মনোভাব বজায় রেখেছেন অদ্যাবধি। এবারের নির্বাচনেও তার প্রতিফলন দেখা গেছে। নির্বাচনে সেই গ্রুপিংয়ের রাজনীতির বলিই হতে হয়েছে নৌকাকে।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্র তৃণমূলের মতামত একেবারেই পাত্তা দেওয়া হয়নি। এমনকি অবস্থান সম্পর্কেও যাচাই-বাছাই করা হয়নি। এতে অযোগ্য, জনসম্পৃক্ততা নেই, কর্মী বান্ধব নন এমন প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন এখানে। একই অবস্থা ঝিকরগাছার ক্ষেত্রেও। তবে সেখানে বিজয়ী প্রার্থীর স্থানীয় ইমেজের কাছে হেরেছে নৌকার প্রার্থী এমনটাই দাবি তৃণমূলের।
ঝিকরগাছা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মূলত অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ১১ টির মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে পরাজিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা।’
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্রের বিষয়। এখানে আমরা শুধু সমর্থন জানিয়ে রেজুলেশন পাঠাতে পারি। এ ছাড়া আমাদের হাতে তেমন কিছুই নেই।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘আমরা অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রে একটি মতামত পাঠানো হবে। তবে আমার দৃষ্টিতে ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়া উচিত নয়। কেননা আমরা দেখেছি, ক্ষমতাসীন দল হওয়ায় সবাই নির্বাচন করতে চান।’
তিনি আরও বলেন, ‘তা ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে জনপ্রিয়তাও একটি বিষয়। সবকিছুই এখন আমরা পর্যালোচনা করছি।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
২ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে