সাতক্ষীরা ও কলোরোয়া প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ধস নেমেছে টালিশিল্পে। লোকসানের কারণে গত ছয় বছরে বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ৪০টি টালি কারখানা। বেকার হয়ে পড়েছেন এসব কারখানায় কাজ করা কয়েক হাজার শ্রমিক। কারখানা মালিকদের দাবি, টালি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
সরেজমিন দেখা যায়, ইটালিপাড়া বলে খ্যাত সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৫২টি টালি কারখানার মধ্যে ৪০টি বন্ধ হয়ে গেছে। যে ১২টি কারখানা রয়েছে, তাও চলছে ঢিমেতালে।
কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলারোয়ার পালপাড়া এলাকায় অর্ধশতাধিক কারখানায় তৈরি হতো উন্নতমানের টালি। আকর্ষণীয় এসব টালি কারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল পাঁচ হাজারেরও বেশি শ্রমিকের। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা এখন বেকার। রপ্তানিযোগ্য এমন উন্নত দোআঁশ মাটির টালি দেশের আর কোথাও তৈরি হয় না।
এই মাটির টালিতে নোনা ধরে না বলে বিদেশের বাজারে এর চাহিদা ছিল প্রচুর। বছরে তাই ২৫ কোটি টাকারও বেশি টালি রপ্তানি হতো ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে। তবে এখন সেসব অতীত। টালি এখন বিদেশে সীমিত আকারে রপ্তানি হচ্ছে। আর দেশের বাজারেও টালির চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও কমেছে রুপটালির দাম। এসব কারণে বিগত ৬ বছরে বন্ধ হয়েছে ৪০টি কারখানা।
এ বিষয়ে টালি কারখানার মালিক মোকসেদুল হক জানান, দেশি বাজারে টালির স্থান দখল করেছে অ্যাজবেস্টার টিন। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ নির্মাণে দেশি রুপটালির বাজার দখল করেছে ভারতীয় টালি।
কলারোয়ার টালি কারখানা মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি গোষ্ঠবিহারী পাল জানান, রপ্তানিকারকেরা পাওনা শোধ টাকা করেন না। এসব মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে কারখানা মালিকদের কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। বহু দেনদরবার করেও এসব টাকা পাওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া স্বল্পসুদে ঋণের দাবি বহুদিন করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয় না।
গোষ্ঠবিহারী আরও জানান, কাঠ-কয়লা-মাটিসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়লেও বাড়েনি রুপটালির দাম। এক যুগ আগে যে টালি বিক্রি হতো ৬ টাকায় এখনো তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে পাঁচ টাকা থেকে ৬ টাকায়।
কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, ‘১৫-১৬ বছর আগে এখানকার টালি বিদেশে রপ্তানি করে সরকার রেমিট্যান্স পেত এবং এলাকার ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো। মালিকদের মধ্যে ঐক্য নেই। সরকারও এদিকে নজর দেন না। তা ছাড়া যাঁদের কাছে টালি বিক্রি করা হয়, তাদের কাছে লাখ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এ নিয়ে বহুবার সালিস করেছি। তবে দেনাদাররা টাকা পরিশোধ করেন না।
সাতক্ষীরা বিসিকের (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশন) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইনব লেন, ‘আগে ৫২টি কারখানা ছিল, এখন মাত্র ১২ জন উদ্যোক্তা টাইলস বানাচ্ছেন। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বিসিক বদ্ধপরিকর। আমরা তাঁদের কথা শুনেছি, তাঁদের সংকট নিয়ে আমরা একটি প্রস্তাবনা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাব। তাঁদের প্রশিক্ষণ, তাঁদের মার্কেটিং সুবিধা অথবা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ধস নেমেছে টালিশিল্পে। লোকসানের কারণে গত ছয় বছরে বন্ধ হয়ে গেছে অন্তত ৪০টি টালি কারখানা। বেকার হয়ে পড়েছেন এসব কারখানায় কাজ করা কয়েক হাজার শ্রমিক। কারখানা মালিকদের দাবি, টালি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
সরেজমিন দেখা যায়, ইটালিপাড়া বলে খ্যাত সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৫২টি টালি কারখানার মধ্যে ৪০টি বন্ধ হয়ে গেছে। যে ১২টি কারখানা রয়েছে, তাও চলছে ঢিমেতালে।
কারখানার মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলারোয়ার পালপাড়া এলাকায় অর্ধশতাধিক কারখানায় তৈরি হতো উন্নতমানের টালি। আকর্ষণীয় এসব টালি কারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল পাঁচ হাজারেরও বেশি শ্রমিকের। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা এখন বেকার। রপ্তানিযোগ্য এমন উন্নত দোআঁশ মাটির টালি দেশের আর কোথাও তৈরি হয় না।
এই মাটির টালিতে নোনা ধরে না বলে বিদেশের বাজারে এর চাহিদা ছিল প্রচুর। বছরে তাই ২৫ কোটি টাকারও বেশি টালি রপ্তানি হতো ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে। তবে এখন সেসব অতীত। টালি এখন বিদেশে সীমিত আকারে রপ্তানি হচ্ছে। আর দেশের বাজারেও টালির চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়লেও কমেছে রুপটালির দাম। এসব কারণে বিগত ৬ বছরে বন্ধ হয়েছে ৪০টি কারখানা।
এ বিষয়ে টালি কারখানার মালিক মোকসেদুল হক জানান, দেশি বাজারে টালির স্থান দখল করেছে অ্যাজবেস্টার টিন। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ নির্মাণে দেশি রুপটালির বাজার দখল করেছে ভারতীয় টালি।
কলারোয়ার টালি কারখানা মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি গোষ্ঠবিহারী পাল জানান, রপ্তানিকারকেরা পাওনা শোধ টাকা করেন না। এসব মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে কারখানা মালিকদের কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। বহু দেনদরবার করেও এসব টাকা পাওয়া সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া স্বল্পসুদে ঋণের দাবি বহুদিন করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয় না।
গোষ্ঠবিহারী আরও জানান, কাঠ-কয়লা-মাটিসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়লেও বাড়েনি রুপটালির দাম। এক যুগ আগে যে টালি বিক্রি হতো ৬ টাকায় এখনো তা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে পাঁচ টাকা থেকে ৬ টাকায়।
কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু বলেন, ‘১৫-১৬ বছর আগে এখানকার টালি বিদেশে রপ্তানি করে সরকার রেমিট্যান্স পেত এবং এলাকার ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো। মালিকদের মধ্যে ঐক্য নেই। সরকারও এদিকে নজর দেন না। তা ছাড়া যাঁদের কাছে টালি বিক্রি করা হয়, তাদের কাছে লাখ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এ নিয়ে বহুবার সালিস করেছি। তবে দেনাদাররা টাকা পরিশোধ করেন না।
সাতক্ষীরা বিসিকের (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশন) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইনব লেন, ‘আগে ৫২টি কারখানা ছিল, এখন মাত্র ১২ জন উদ্যোক্তা টাইলস বানাচ্ছেন। এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে বিসিক বদ্ধপরিকর। আমরা তাঁদের কথা শুনেছি, তাঁদের সংকট নিয়ে আমরা একটি প্রস্তাবনা প্রধান কার্যালয়ে পাঠাব। তাঁদের প্রশিক্ষণ, তাঁদের মার্কেটিং সুবিধা অথবা আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে