তানিম আহমেদ, ঢাকা
বিএনপিবিহীন নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে নানা কৌশলে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে সুবিধামতো আসনে দলের ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলটির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের পরিচিত মুখ প্রার্থী নেই, এমন আসনে দলের ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীরা ছাড় পাবেন। আবার আওয়ামী লীগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের বসানো হবে।
তবে এই কৌশলে বিপত্তির শঙ্কাও আছে। অনেক প্রার্থী এখন বলছেন, দল থেকে বলা হয়েছিল বলেই তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন। এখন সরে যেতে বললেই তাঁরা সরবেন কেন। আবার শেষ পর্যন্ত যদি একই দলের একাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠে থেকে যান, তাহলে বেড়ে যাবে সংঘাতের আশঙ্কা।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী নিয়ে একাধিক কৌশলে এগোবেন তাঁরা। এরই মধ্যে জোট কিংবা নির্বাচনে আসা দলগুলোকে ছাড় দেওয়া আসনে দলের শক্তিশালী ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী রাখা হবে না। সেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য দলের প্রার্থী থাকবেন। আর যেসব আসনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের পরিচিত মুখ প্রার্থী নেই, সেখানে এই স্বতন্ত্র বিষয়ে ছাড় থাকবে। আবার আওয়ামী লীগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের বসানো হবে, তবে সেখানে অবশ্যই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ‘ঢালাওভাবে সবাই স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে, বিষয়টা এমন নয়। ১৬ তারিখ পর্যন্ত দলীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, এমপি হতে ৩০০টি আসনে ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। এ ছাড়া ৩২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১ হাজার ৯৬৬টি। এগুলোর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ৭৪৭টি; যার অধিকাংশই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া নেতা।
গত ২৬ নভেম্বর গণভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ডামি প্রার্থীর কথা বলা হয়েছিল আওয়ামী লীগ থেকে। এরপরেই মনোনয়ন না পাওয়া নেতারা ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
আওয়ামী লীগ থেকে পরিকল্পনা ছিল, দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী নিজ পছন্দ অনুযায়ী ডামি প্রার্থী দেবেন। কয়েকটি আসনে সেই অনুযায়ী হলেও অধিকাংশ আসনে এমপির বিরোধীরাই প্রার্থী হয়েছেন। এতে নৌকার প্রার্থী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে আসন ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট থেকে সরাতে তৎপর হয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে শেষ পর্যন্ত কতটি আসনে সম্ভব হবে, তা নিয়েও সন্দেহ আছে কয়েকজন নেতার মধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে আমরা দলীয় ডামি প্রার্থী দিতে বলেছিলাম। কিন্তু প্রায় ৯০ শতাংশ আসনেই ডামির বদলে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেছে। এখন তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু আসনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বসানোর চেষ্টা করা হবে। শেষ পর্যন্ত তা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, সময়ই বলে দেবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইচ্ছেমতো বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কথা কখনোই বলা হয়নি। অনেকে হয়তো বুঝতে ভুল করেছে বা ভুল ব্যাখ্যা করেছে। কৌশলগত বিষয়টি আস্তে আস্তে পরিষ্কার করে দেওয়া হবে এবং ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়ে যাবে।’
তবে ভিন্ন কথা বলছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দল তো ভোট করার জন্য বলেছে। আবার প্রত্যাহার করার জন্য বলবে কেন? সেটার সুযোগ নেই। একজনকে কাপড় পরিয়ে আবার খুলে ফেলার সুযোগ নেই।’
নির্বাচনের পরে ‘বিদ্রোহীদের’ বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের সরাতে চেষ্টা বহু হয়েছে। যখন দাঁড়িয়েছে, দাঁড়াক। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিএনপিবিহীন নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে নানা কৌশলে এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর অংশ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে সুবিধামতো আসনে দলের ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলটির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের পরিচিত মুখ প্রার্থী নেই, এমন আসনে দলের ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীরা ছাড় পাবেন। আবার আওয়ামী লীগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের বসানো হবে।
তবে এই কৌশলে বিপত্তির শঙ্কাও আছে। অনেক প্রার্থী এখন বলছেন, দল থেকে বলা হয়েছিল বলেই তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন। এখন সরে যেতে বললেই তাঁরা সরবেন কেন। আবার শেষ পর্যন্ত যদি একই দলের একাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠে থেকে যান, তাহলে বেড়ে যাবে সংঘাতের আশঙ্কা।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী নিয়ে একাধিক কৌশলে এগোবেন তাঁরা। এরই মধ্যে জোট কিংবা নির্বাচনে আসা দলগুলোকে ছাড় দেওয়া আসনে দলের শক্তিশালী ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী রাখা হবে না। সেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য দলের প্রার্থী থাকবেন। আর যেসব আসনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের পরিচিত মুখ প্রার্থী নেই, সেখানে এই স্বতন্ত্র বিষয়ে ছাড় থাকবে। আবার আওয়ামী লীগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আসনে ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীদের বসানো হবে, তবে সেখানে অবশ্যই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ‘ঢালাওভাবে সবাই স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে, বিষয়টা এমন নয়। ১৬ তারিখ পর্যন্ত দলীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যমতে, এমপি হতে ৩০০টি আসনে ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। এ ছাড়া ৩২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১ হাজার ৯৬৬টি। এগুলোর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ৭৪৭টি; যার অধিকাংশই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়া নেতা।
গত ২৬ নভেম্বর গণভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ডামি প্রার্থীর কথা বলা হয়েছিল আওয়ামী লীগ থেকে। এরপরেই মনোনয়ন না পাওয়া নেতারা ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
আওয়ামী লীগ থেকে পরিকল্পনা ছিল, দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী নিজ পছন্দ অনুযায়ী ডামি প্রার্থী দেবেন। কয়েকটি আসনে সেই অনুযায়ী হলেও অধিকাংশ আসনে এমপির বিরোধীরাই প্রার্থী হয়েছেন। এতে নৌকার প্রার্থী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে আসন ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট থেকে সরাতে তৎপর হয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে শেষ পর্যন্ত কতটি আসনে সম্ভব হবে, তা নিয়েও সন্দেহ আছে কয়েকজন নেতার মধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে আমরা দলীয় ডামি প্রার্থী দিতে বলেছিলাম। কিন্তু প্রায় ৯০ শতাংশ আসনেই ডামির বদলে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেছে। এখন তাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু আসনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বসানোর চেষ্টা করা হবে। শেষ পর্যন্ত তা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে, সময়ই বলে দেবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইচ্ছেমতো বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কথা কখনোই বলা হয়নি। অনেকে হয়তো বুঝতে ভুল করেছে বা ভুল ব্যাখ্যা করেছে। কৌশলগত বিষয়টি আস্তে আস্তে পরিষ্কার করে দেওয়া হবে এবং ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়ে যাবে।’
তবে ভিন্ন কথা বলছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দল তো ভোট করার জন্য বলেছে। আবার প্রত্যাহার করার জন্য বলবে কেন? সেটার সুযোগ নেই। একজনকে কাপড় পরিয়ে আবার খুলে ফেলার সুযোগ নেই।’
নির্বাচনের পরে ‘বিদ্রোহীদের’ বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের সরাতে চেষ্টা বহু হয়েছে। যখন দাঁড়িয়েছে, দাঁড়াক। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে