১৫ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ৩১

চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুতার অভিযোগে ১৬ জনকে আটক করেছে র‍্যাব-৭। তাঁদের মধ্যে নুরুল কবির বাহিনীটির প্রধান ও মো. মামুন তাঁর সেকেন্ড ইন কমান্ড। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টায় র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সময় র‍্যাব-৭ প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম ইউসুফ বলেন, ‘চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের পেকুয়া-কুতুবদিয়াসহ উপকূলীয় অঞ্চলের সমুদ্রপথ আপাতত জলদস্যুমুক্ত। এরপরও যদি সমুদ্রপথে ছোটো ছোটো কোনো গ্রুপ টিকে থাকে তাহলে আমরা ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে এসব অপরাধ নির্মূল করব।’

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডান্ডিবাজার এলাকা ওই জলদস্যুদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৬টি ওয়ানশুটার গান, ৪টি কার্তুজ, ৫টি কিরিচ, ১টি ছুরি, ১টি রামদা, ২টি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়। র‍্যাব বলছে, বাহিনীর প্রধান কবিরের আস্তানা থেকে এসব অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন নুরুল কবির (২৯), আব্দুল হামিদ ওরফে কালা মিয়া (৩০), আবু বক্কর (৩১), মো. ইউসুফ (৪৬), গিয়াস উদ্দিন (৩৭), মো. সফিউল আলম ওরফে মানিক (৩৬), আব্দুল খালেক (৪৪), রুবেল উদ্দিন (২৭), সাইফুল ইসলাম জিকু (২৮), মো. সুলতান (৩৬), মো. মনজুর আলম, নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, শফিউল আলম, হাসান ও মো. মামুন।

সংবাদ সম্মেলনে এস এম ইউসুফ বলেন, ‘২০১৮ সালে ১ নভেম্বর সুন্দরবন এলাকা জলদস্যু মুক্ত করা হয়। তবে কিছুদিন ধরে আমাদের কাছে খবর আসছে সমুদ্রপথে কিছু গ্রুপ আবারও সক্রিয় হচ্ছে। তাঁরা সমুদ্রপথে ডাকাতি-অপহরণসহ নানা অপরাধ করছে। র‍্যাব-৮ বরিশালের পটুয়াখালীর পাথরঘাটায় সম্প্রতি একটি অভিযান চালায়। সেখানে গুলিবিনিময়ে তিন জলদস্যু নিহত হয়। ৭ জন গ্রেপ্তার হয়। তাঁদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারি, সমুদ্রপথে জলদস্যুদের প্রধান গ্রুপটি মূলত চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়ায় অবস্থান করছে। আর তখন থেকেই আমরা তাঁদের বিষয়ে নজরদারি বাড়াই।’

র‍্যাব-৭ প্রধান বলেন, এর মধ্যে গত ১৪ জানুয়ারি নোয়াখালী থেকে ১৭ জেলে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে যায়। তাঁদের অপহরণ করে মাছ লুটের পাশাপাশি ট্রলারগুলো নিয়ে যায় জলদস্যুরা। পরে মালিকদের কাছ থেকে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবি করা হয়। বোটমালিকেরা দুই লাখ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ দেন।

এই ঘটনাটি জানার পর র‍্যাব-৭ ও র‍্যাব-৮ সমুদ্রপথে সম্মিলিত একটি অভিযান চালায়। এর খবর পেয়ে জলদস্যুরা ১৬ জেলেকে মুক্তি দেয়। তবে আনোয়ার নামের এক জেলে নিখোঁজ ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর জলদস্যুরা জানান, নির্যাতনের পর আনোয়ার অসুস্থ হয়ে পরলে ১৬ জানুয়ারি রাতে তাঁকে সাগরে নিক্ষেপ করা হয়।

এস এম ইউসুফ বলেন, ‘এই ডাকাতির ঘটনায় মূলত কবির বাহিনী জড়িত। গত ২১ জানুয়ারি কক্সবাজার ও চকরিয়াসহ তিন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কবির বাহিনীর প্রধানসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাঁরা নৌকা ভাড়া করে তখন চকরিয়া থেকে আরেকটি ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডুপ্লেক্স বাড়ি থেকে পর্যটন স্পট, কী নেই কম্পিউটার অপারেটর নাজমুলের

তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থেকে ট্রেনে হামলা, কয়েকজন জখম, ট্রেন চলাচল বন্ধ

ঢাকার যানজট নিরসনে ৫ কোটির সিগন্যাল ব্যবস্থা, বাস্তবায়নে লাগবে ৬ মাস

মহাখালী সড়ক ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা, সচিবালয়ে প্রতিনিধিদল

সীতাকুণ্ডে বাসচাপায় নারী নিহত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত