আসাদুজ্জামান রিপন, নরসিংদী
শুধু সামান্য মেরামত ও কলের অভাবে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বেহাল নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের সুপেয় পানির ব্লক। তা সত্ত্বেও সেটি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে নেই কোনো উদ্যোগ। ব্লকের ছাদের ওপর পানির ট্যাংক থাকলেও নিচে নেই কোনো ট্যাব। এ কারণে সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন যাত্রীরা। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে পানির ব্লকের মেরামত করে সুপেয় পানি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সুপেয় পানির ব্লকটি। ব্লকের ওপরে দুটি কালো রঙের পানির ট্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত পাইপ ও পাইপের আউটপুট সচল থাকলেও নিচে নেই ট্যাব। বেসিনের ড্রেনে পড়ে আছে ইটের টুকরো, কফির মগ, সিগারেটের অবশিষ্টাংশ। ব্লকের দেয়ালের তিন পাশ ছেয়ে গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক পোস্টারে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে সুপেয় পানি পান ও হাত ধোয়ার জন্য ব্লকটি স্থাপন করা হয়। ব্লকে যুক্ত করা হয় ৫০০ লিটারের দুটি পানির ট্যাংক ও এ ছাড়া বেসিনসহ তিনটি ট্যাব স্থাপন করা হয়। দুই বছর পার না হতেই ২০১৬ সালে ট্যাবগুলো চুরি হওয়ায় অচল হয়ে পড়ে এই পানির ব্লক। এতে যাত্রীদের কোনো কাজে আসছে না সুপেয় পানির ব্লকটি।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, স্টেশনে মোট ২৮টি ট্রেনের যাত্রাবিরতি রয়েছে। প্রতিদিন ৩ হাজারের কমবেশি যাত্রী এই স্টেশন হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনের একমাত্র ওয়াশ ব্লকটি অকেজো থাকায় যাত্রী সাধারণের কোনো উপকারে আসছে না। করোনা পরিস্থিতিতে হাত ধোয়াও যাচ্ছে না। শুধু সামান্য মেরামত ও তিনটি ট্যাবের অভাবে ব্লকের এমন দশায় ক্ষোভ জানিয়েছেন রেলের যাত্রীরা।
মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন যাত্রী বলেন, এই ব্লকে ট্রেন যাত্রীরা ফ্রেশ হতেন এবং পানি পান করতেন। কিন্তু এটা এখন পুরোপুরি অচল। নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে আর কোনো সুপেয় পানির ব্লক নেই। মাত্র ৩টি ট্যাব লাগিয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ এটা মেরামত করতে পারেন। অথচ সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই তাঁদের। তাজিমুল হাসান জিহান নামে নরসিংদী সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ট্রেনেই বেশির ভাগ সময় যাতায়াত করতে হয়। পুরো স্টেশনে পানি নেই, ওয়াশ ব্লকটি অচল হওয়ায় হাত ধোয়ার জন্য হলেও পানি কিনতে হয়। সাধারণ যাত্রীদের অনেকের পানি কিনে পান করার ক্ষমতা নেই।
ফাহিম মোনায়েম নামের অন্য এক যাত্রী বলেন, আমি ২০১৫ সাল থেকে নরসিংদী থেকে ঢাকার নিয়মিত ট্রেন যাত্রী। প্রথমে এখান থেকে পানি খাওয়া যেতো। হাতমুখ ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল। গত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে ব্লকের বাজে অবস্থা।
এ বিষয়ে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এ টি এম মুসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়াশ ব্লকটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থাপন করেনি। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর কোম্পানি রবির সৌজন্যে স্থাপিত হয়েছিল। ৫ বছর ধরে এটাতে পানির সংযোগ নেই। ভেতরের মোটর, ট্যাংক এবং অন্যান্য সবই ঠিক আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৩টি ট্যাব লাগিয়ে সামান্য মেরামত করলেই হয়তো ব্লকটি আবার চালু হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মেরামত করে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
শুধু সামান্য মেরামত ও কলের অভাবে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বেহাল নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের সুপেয় পানির ব্লক। তা সত্ত্বেও সেটি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে নেই কোনো উদ্যোগ। ব্লকের ছাদের ওপর পানির ট্যাংক থাকলেও নিচে নেই কোনো ট্যাব। এ কারণে সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন যাত্রীরা। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে পানির ব্লকের মেরামত করে সুপেয় পানি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পশ্চিম পাশে অবস্থিত সুপেয় পানির ব্লকটি। ব্লকের ওপরে দুটি কালো রঙের পানির ট্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত পাইপ ও পাইপের আউটপুট সচল থাকলেও নিচে নেই ট্যাব। বেসিনের ড্রেনে পড়ে আছে ইটের টুকরো, কফির মগ, সিগারেটের অবশিষ্টাংশ। ব্লকের দেয়ালের তিন পাশ ছেয়ে গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক পোস্টারে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে সুপেয় পানি পান ও হাত ধোয়ার জন্য ব্লকটি স্থাপন করা হয়। ব্লকে যুক্ত করা হয় ৫০০ লিটারের দুটি পানির ট্যাংক ও এ ছাড়া বেসিনসহ তিনটি ট্যাব স্থাপন করা হয়। দুই বছর পার না হতেই ২০১৬ সালে ট্যাবগুলো চুরি হওয়ায় অচল হয়ে পড়ে এই পানির ব্লক। এতে যাত্রীদের কোনো কাজে আসছে না সুপেয় পানির ব্লকটি।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, স্টেশনে মোট ২৮টি ট্রেনের যাত্রাবিরতি রয়েছে। প্রতিদিন ৩ হাজারের কমবেশি যাত্রী এই স্টেশন হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনের একমাত্র ওয়াশ ব্লকটি অকেজো থাকায় যাত্রী সাধারণের কোনো উপকারে আসছে না। করোনা পরিস্থিতিতে হাত ধোয়াও যাচ্ছে না। শুধু সামান্য মেরামত ও তিনটি ট্যাবের অভাবে ব্লকের এমন দশায় ক্ষোভ জানিয়েছেন রেলের যাত্রীরা।
মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন যাত্রী বলেন, এই ব্লকে ট্রেন যাত্রীরা ফ্রেশ হতেন এবং পানি পান করতেন। কিন্তু এটা এখন পুরোপুরি অচল। নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে আর কোনো সুপেয় পানির ব্লক নেই। মাত্র ৩টি ট্যাব লাগিয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ এটা মেরামত করতে পারেন। অথচ সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই তাঁদের। তাজিমুল হাসান জিহান নামে নরসিংদী সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ট্রেনেই বেশির ভাগ সময় যাতায়াত করতে হয়। পুরো স্টেশনে পানি নেই, ওয়াশ ব্লকটি অচল হওয়ায় হাত ধোয়ার জন্য হলেও পানি কিনতে হয়। সাধারণ যাত্রীদের অনেকের পানি কিনে পান করার ক্ষমতা নেই।
ফাহিম মোনায়েম নামের অন্য এক যাত্রী বলেন, আমি ২০১৫ সাল থেকে নরসিংদী থেকে ঢাকার নিয়মিত ট্রেন যাত্রী। প্রথমে এখান থেকে পানি খাওয়া যেতো। হাতমুখ ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল। গত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে ব্লকের বাজে অবস্থা।
এ বিষয়ে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার এ টি এম মুসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়াশ ব্লকটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থাপন করেনি। মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর কোম্পানি রবির সৌজন্যে স্থাপিত হয়েছিল। ৫ বছর ধরে এটাতে পানির সংযোগ নেই। ভেতরের মোটর, ট্যাংক এবং অন্যান্য সবই ঠিক আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৩টি ট্যাব লাগিয়ে সামান্য মেরামত করলেই হয়তো ব্লকটি আবার চালু হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মেরামত করে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে