আক্তার হোসেন, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় গত শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের কারণে স্নাতক পাস কোর্সে (ডিগ্রি) ভর্তি জটিলতায় পড়েছেন ২৯২ শিক্ষার্থী। দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজে পর্যাপ্ত আসন না থাকায় এসব শিক্ষার্থীর এক বছর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার পথে। এদিকে কলেজটিতে ডিগ্রি উন্মুক্ত আসন সম্পূর্ণ হওয়ায় সেখানেও ভর্তি হতে পারবেন না এসব শিক্ষার্থী।
করোনার কারণে অটো প্রমোশন দেওয়ায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার শতভাগ। এর অংশ হিসেবে দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ১ হাজার ২৪৮, কুজেন্দ্র মডার্ন কলেজে ৩৪ ও বাবুছড়া কলেজ ৭৭ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। এই শিক্ষার্থীরা দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন।
এদিকে দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজে এ বছর ডিগ্রিতে পড়ার জন্য আবেদন করেছেন ৭১২ জন। কিন্তু দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ আসনসংখ্যা আছে ৪২০। এর মধ্যে প্রথম মেধাতালিকায় ৩৯৯ শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন পেয়েছেন। পরবর্তী দ্বিতীয় মেধাতালিকায় ২১ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি অনুমোদন দেওয়া হবে। কলেজে আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় ভর্তি জটিলতায় পড়েছেন ২৯২ জন শিক্ষার্থী। দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ডিগ্রি উন্মুক্ত আসনসংখ্যায় ভর্তি সম্পূর্ণ হওয়ায় সেখানেও ভর্তি হতে পারবেন না এসব শিক্ষার্থী।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিএ ৬০, বিএসএস ১০০ ও বিবিএস ২৬০ আসনসংখ্যা রয়েছে। এর মধ্যে বিএসএস ২৬০, বিএ ৫৬ ও বিবিএস ৮৩ জনকে কলেজে ভর্তি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিএ ৪ ও বিবিএস ১৭ জন শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় মেধাতালিকায় ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হবে। এতে বিএসএসের ২৯২ শিক্ষার্থী ডিগ্রি ভর্তি জটিলতায় পড়েছেন।
দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাড়াও উপজেলায় বাবুছড়া কলেজ ও কুজেন্দ্র মল্লিকা মডার্ন কলেজ রয়েছে। এই দুটি কলেজে ডিগ্রি পাস কোর্সের কোনো বিষয় নেই। তাই এতসংখ্যক শিক্ষার্থীর ডিগ্রিতে ভর্তির জন্য দীঘিনালা সরকারি কলেজেই আসতে হয়।
উপজেলার তিনটি কলেজের এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী পাহাড়ি দুর্গম এলাকার ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পড়তে আসেন। তাঁদের মধ্যে সাজেক, দাঙ্গাবাজার, নাড়াইছড়ি বাবুছড়া, লম্বাছড়া এলাকার শিক্ষার্থীও রয়েছেন। তা ছাড়া দীঘিনালা কলেজ ছাড়াও খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। সামর্থ্যের কারণে এত দূরে গিয়ে পড়ালেখা করা অসম্ভব মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী রূপম চন্দ্রনাথ বলেন, ‘আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় ও বাড়ির কাছাকাছি হওয়ায় দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজে আবেদন করেছি। এখন কলেজে আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ভর্তির সুযোগ না থাকায় দীঘিনালার বাইরে গিয়ে ডিগ্রির লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। এমন জটিলতার কারণে আমরা ভর্তি হতে না পারলে আমাদের এক বছর পড়ালেখা বন্ধ থাকবে। সরকার আমাদের কথা বিবেচনা করে দীঘিনালা সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা বাড়ালে ভর্তি হতে পারব।’
কলেজের উপাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি চাকমা জানান, কলেজের আসনসংখ্যা সীমিত রয়েছে। করোনাকালে ২০২০-২১ এইচএসসি পরীক্ষার্থী শতভাগ শিক্ষার্থী পাসের হার থাকায় ডিগ্রিতে ভর্তি আবেদন বেশি পড়েছে। এ কারণে ২০২১-২২ ডিগ্রি ভর্তি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
উপাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি বলেন, ‘কলেজে ডিগ্রি আসনসংখ্যা ৪২০। এর অতিরিক্ত ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই। যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৯২ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি করে, তাহলে ভর্তি করা সম্ভব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, ‘আমরা দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে এসব শিক্ষার্থীকে ডিগ্রিতে ভর্তি করানো যায়, তা আলোচনা করব।’
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় গত শিক্ষাবর্ষে এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাসের কারণে স্নাতক পাস কোর্সে (ডিগ্রি) ভর্তি জটিলতায় পড়েছেন ২৯২ শিক্ষার্থী। দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজে পর্যাপ্ত আসন না থাকায় এসব শিক্ষার্থীর এক বছর লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার পথে। এদিকে কলেজটিতে ডিগ্রি উন্মুক্ত আসন সম্পূর্ণ হওয়ায় সেখানেও ভর্তি হতে পারবেন না এসব শিক্ষার্থী।
করোনার কারণে অটো প্রমোশন দেওয়ায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার শতভাগ। এর অংশ হিসেবে দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ১ হাজার ২৪৮, কুজেন্দ্র মডার্ন কলেজে ৩৪ ও বাবুছড়া কলেজ ৭৭ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। এই শিক্ষার্থীরা দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন।
এদিকে দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজে এ বছর ডিগ্রিতে পড়ার জন্য আবেদন করেছেন ৭১২ জন। কিন্তু দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজ আসনসংখ্যা আছে ৪২০। এর মধ্যে প্রথম মেধাতালিকায় ৩৯৯ শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন পেয়েছেন। পরবর্তী দ্বিতীয় মেধাতালিকায় ২১ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি অনুমোদন দেওয়া হবে। কলেজে আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় ভর্তি জটিলতায় পড়েছেন ২৯২ জন শিক্ষার্থী। দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজে ডিগ্রি উন্মুক্ত আসনসংখ্যায় ভর্তি সম্পূর্ণ হওয়ায় সেখানেও ভর্তি হতে পারবেন না এসব শিক্ষার্থী।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বিএ ৬০, বিএসএস ১০০ ও বিবিএস ২৬০ আসনসংখ্যা রয়েছে। এর মধ্যে বিএসএস ২৬০, বিএ ৫৬ ও বিবিএস ৮৩ জনকে কলেজে ভর্তি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিএ ৪ ও বিবিএস ১৭ জন শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় মেধাতালিকায় ভর্তির অনুমোদন দেওয়া হবে। এতে বিএসএসের ২৯২ শিক্ষার্থী ডিগ্রি ভর্তি জটিলতায় পড়েছেন।
দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাড়াও উপজেলায় বাবুছড়া কলেজ ও কুজেন্দ্র মল্লিকা মডার্ন কলেজ রয়েছে। এই দুটি কলেজে ডিগ্রি পাস কোর্সের কোনো বিষয় নেই। তাই এতসংখ্যক শিক্ষার্থীর ডিগ্রিতে ভর্তির জন্য দীঘিনালা সরকারি কলেজেই আসতে হয়।
উপজেলার তিনটি কলেজের এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী পাহাড়ি দুর্গম এলাকার ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পড়তে আসেন। তাঁদের মধ্যে সাজেক, দাঙ্গাবাজার, নাড়াইছড়ি বাবুছড়া, লম্বাছড়া এলাকার শিক্ষার্থীও রয়েছেন। তা ছাড়া দীঘিনালা কলেজ ছাড়াও খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। সামর্থ্যের কারণে এত দূরে গিয়ে পড়ালেখা করা অসম্ভব মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী রূপম চন্দ্রনাথ বলেন, ‘আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় ও বাড়ির কাছাকাছি হওয়ায় দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজে আবেদন করেছি। এখন কলেজে আসনসংখ্যার অতিরিক্ত ভর্তির সুযোগ না থাকায় দীঘিনালার বাইরে গিয়ে ডিগ্রির লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। এমন জটিলতার কারণে আমরা ভর্তি হতে না পারলে আমাদের এক বছর পড়ালেখা বন্ধ থাকবে। সরকার আমাদের কথা বিবেচনা করে দীঘিনালা সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে আসনসংখ্যা বাড়ালে ভর্তি হতে পারব।’
কলেজের উপাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি চাকমা জানান, কলেজের আসনসংখ্যা সীমিত রয়েছে। করোনাকালে ২০২০-২১ এইচএসসি পরীক্ষার্থী শতভাগ শিক্ষার্থী পাসের হার থাকায় ডিগ্রিতে ভর্তি আবেদন বেশি পড়েছে। এ কারণে ২০২১-২২ ডিগ্রি ভর্তি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
উপাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি বলেন, ‘কলেজে ডিগ্রি আসনসংখ্যা ৪২০। এর অতিরিক্ত ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই। যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২৯২ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি করে, তাহলে ভর্তি করা সম্ভব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, ‘আমরা দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। কীভাবে এসব শিক্ষার্থীকে ডিগ্রিতে ভর্তি করানো যায়, তা আলোচনা করব।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে